Netaji Subhas Chandra Bose Biography in Bengali Version নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জীবনী রচনা বাংলায়

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জীবনী বাংলায় প্রবন্ধ রচনা Netaji Subhas Chandra Bose Biography in Bengali

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জীবনী বাংলায় Netaji Subhas Chandra Bose Biography in Bengali: উনিশ শতাব্দীর শেষের দিক। পরাধীন ভারত ছিল ব্রিটিশ শাসনের অধীনে। ভারতীয়রা ছিল ব্রিটিশদের দ্বারা লাঞ্ছিত, বঞ্চিত এবং অত্যাচারিত।

ঠিক এই সময় ভারতের এক বীর এবং সাহসী সন্তান জন্মগ্রহণ করেন, তিনি হলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু।

ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে সুভাষচন্দ্র বসুর অবদানঅসামান্য। তিনি ছিলেন প্রকৃত দেশ প্রেমিক। তিনি তার মা-বাবার উপরে দেশকে রেখেছিলেন এবং সম্পূর্ণ জীবন দেশকে স্বাধীন করার জন্য উৎসর্গ করেন।

ভারতবর্ষের বীর সন্তান নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর কথা মনে পড়লেই আমাদের মনে অনেক প্রশ্ন জেগে ওঠে।

আজ আমরা নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জীবনী বাংলায় ( Netaji Subhas Chandra Bose Biography in Bengali) পড়ব।

নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু রচনা

জন্ম২৩ শে জানুয়ারী, ১৮৯৭
বাবার নামজানকীনাথ বসু
মায়ের নামপ্রভাবতী দেবী
স্ত্রীর নামএমিলি
মেয়ের নামঅনিতা বসু
মৃত্যু১৮ ই অগাস্ট, ১৯৪৫
মৃত্যুর কারণবিমান দুর্ঘটনা (তাইওয়ান)
রাজনৈতিক গুরুচিত্তরঞ্জন দাস
রাজনৈতিক দলভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস, ফরওয়ার্ড ব্লক
সেনাবাহিনীআজাদ হিন্দ ফোর্স
যাদের দ্বারা প্রভাবিত হয়েছেন , চিত্তরঞ্জন দাস
দেশ ভ্ৰমণলন্ডন, জার্মানি, রাশিয়া, জাপান, মায়ানমার, তাইপেন, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, অন্যান্য
সাক্ষাৎ করেছেনহিটলার, , যোসেফ স্টালিন, অন্যান্য
নেতাজীর বিখ্যাত উক্তি“Give me blood, I will give you freedom”
“তোমরা আমাকে রক্ত দাও, আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব।”

Netaji Subhas Chandra Bose Biography in Bengali নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জীবনী রচনা বাংলায়

Subhash Chandra Bose image photo picture, Netaji Subhas Chandra Bose life history in bengali, Netaji Subhas Chandra Bose rachana, Subhash Chandra Bose family, Subhas Chandra Bose paragraph in Bengali, Subhas Chandra Bose Education, Netaji rachana in Bengali, Netaji Subhash Chandra Bose Biography in Bengali, Netaji Subhas Chandra Bose Biography in Bengali, Netaji Subhas Chandra Bose Essay in Bengali, Netaji Subhas Chandra Bose Paragraph in Bengali, নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু প্রবন্ধ রচনা, Biography of Netaji Subhas Chandra Bose, Netaji Subhas Chandra vani bani in bengali

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্ম তারিখ ও জন্মস্থান

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু ১৮৯৭ সালের ২৩ শে জানুয়ারি উড়িষ্যার কটক শহরে জন্ম গ্রহণ করেন।

নেতাজি জয়ন্তী

প্রতি বছর ২৩শে জানুয়ারী নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিন ‘নেতাজি জয়ন্তী’ হিসেবে উদযাপন করা হয়।

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর বাবার নাম কি

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর বাবার নাম জানকীনাথ বসু।

জানকীনাথ ছিলেন কটক শহরের একজন সফল ও বিখ্যাত উকিল, যিনি ‘রায় বাহাদুর’ উপাধি পেয়েছিলেন।

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মায়ের নাম কি

সুভাষচন্দ্র বসুর মায়ের নাম প্রভাবতী দেবী।

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর স্ত্রীর নাম কি

Netaji Subhas Chandra Bose Wife Emili daughter Anita Bose

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর স্ত্রীর নাম এমিলি (Emili)। তাদের একটি কন্যাসন্তান ছিল, নাম অনিতা বসু (Anita Bose)।

প্রাথমিক জীবন

সুভাষচন্দ্র বসু উড়িষ্যার কটক শহরে এক বাঙালি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।

তার সাত ভাই এবং ছয় বোন ছিল। তিনি ছিলেন তার মা-বাবার নবম সন্তান। সুভাষচন্দ্র বসু ও তার ভাই শরৎচন্দ্র খুবই ঘনিষ্ঠ ছিল।

সুভাষচন্দ্র বসুর শিক্ষাগত যোগ্যতা

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনায় খুব ভালো ছিলেন। তিনি ছিলেন কঠোর পরিশ্রমী এবং সমস্ত শিক্ষক তাকে ভালোবাসতেন।

সুভাষচন্দ্র বসু স্কুলের পড়াশোনা কটক থেকে করেন।

এরপর পড়াশোনার জন্য তিনি পড়াশোনার জন্য তিনি কলকাতাতে চলে আসেন।

কলকাতার Presidency College থেকে তিনি Philosophy তে BA পাশ করেন।

সুভাষচন্দ্র বসু সিভিল সার্ভিস নিয়ে পড়াশোনা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ব্রিটিশ শাসনে ভারতীয়দের সিভিল সার্ভিস নিয়ে পড়াশোনা করা খুবই কঠিন ছিল।

তার বাবা জানকিনাথ বসু তাকে সিভিল সার্ভিস পড়ার জন্য ইংল্যান্ডে পাঠিয়ে দেন। সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় নেতাজি চতুর্থ স্থান অধিকার করেন।

কিন্তু তিনি সেই চাকরি কে লাথি মেরে নিজেকে দেশ সেবাই নিয়োজিত করেন।

  • গৌতম বুদ্ধের সংক্ষিপ্ত জীবনী
  • রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবনী

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জীবন কাহিনী Netaji Subhas Chandra Bose Biography in Bengali Language

রাজনৈতিক জীবন

ভারতে ফিরেই তিনি স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেন এবং রাষ্ট্রীয় কংগ্রেস পার্টিতে যোগদান করেন। প্রথমদিকে সুভাষচন্দ্র বসু কলকাতাতে কংগ্রেসের নেতা ছিলেন।

তিনি চিত্তরঞ্জন দাস এর মৃত্যুর পর তার কাজ শুরু করেন। সুভাষচন্দ্র বসু চিত্তরঞ্জন দাসকে তার রাজনৈতিক গুরু মনে করতেন।

১৯২২ সালে চিত্তরঞ্জন দাস মতিলাল নেহেরুর সাথে কংগ্রেস পার্টি ছেড়ে দেন এবং নিজস্ব পার্টি ‘স্বরাজ দল’ গঠন করেন।

যখন চিত্তরঞ্জন দাশ তাঁর নিজস্ব দলের কর্মীদের নিয়ে রণনীতি তৈরি করছিলেন তখন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু কলকাতার যুব সমাজের কাছে ভালোবাসা ও বিশ্বাসের পাত্র হয়ে ওঠেন।

সুভাষচন্দ্র বসু যুব সমাজের কাছে নতুন ধরনের চিন্তাধারা নিয়ে আসেন। যার জন্য সেই সময়ের যুবসম্প্রদায় তার প্রতি ঝুঁকে পড়ে এবং তিনি যুবনেতা হয়ে উঠে ওঠেন।

১৯২৮ সালে গুয়াহাটিতে কংগ্রেসের একটি বৈঠক চলাকালীন দলের নতুন এবং পুরনো কর্মীদের মধ্যে একটি কথা নিয়ে মতভেদ সৃষ্টি হয়।

যুব সম্প্রদায় কোন নিয়ম মানতে অস্বীকার করে এবং নিজস্ব নিয়মে চলতে আগ্রহ প্রকাশ করে।

কিন্তু পুরনো নেতা ব্রিটিশ সরকারের তৈরি নিয়ম মেনে চলার জন্য মত পোষণ করেন।

সুভাষচন্দ্র বসু এবং মহাত্মা গান্ধীর বিচার এবং বিশ্বাস সম্পূর্ণ পৃথক ছিল।

সুভাষচন্দ্র বসু গান্ধীজীর অহিংসা নীতির সাথে একমত পোষণ করতেন না। তার চিন্তাধারা ছিল তরুণ যুবকের মত যিনি প্রয়োজনে হিংসার পথে চলতে আগ্রহী ছিলেন।

কংগ্রেস ত্যাগ

১৯৩৯ সালে সুভাষ চন্দ্র বসু রাষ্ট্রীয় কংগ্রেসের অধ্যক্ষ পদের জন্য নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন।

তার বিপক্ষে মহাত্মা গান্ধী সিতারামাইয়া পট্টভিকে মনোনীত করেন, যিনি নেতাজির কাছে নির্বাচনে হেরে যান। গান্ধীজী এই হারকে নিজের হার বলে মনে করেন এবং দুঃখ পান।

নেতাজি এই কথাটি জানতে পারা মাত্র অধ্যক্ষের পদ থেকে ইস্তফা দেন।

চিন্তা এবং বিচারধারা ভিন্ন হওয়ার জন্য সাধারণ মানুষের কাছে নেতাজি ধীরে ধীরে গান্ধী বিরোধীতে পরিণত হচ্ছিলেন। এজন্য তিনি কংগ্রেস ছেড়ে দেন।

আরও পড়ুন: ডঃ বি আর আম্বেদকরের জীবনী

কারাগারে বন্দি

১৯৩৯ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ হচ্ছিল। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু মনে করেন এটাই সব থেকে উপযুক্ত সময় ইংরেজদের উপর আক্রমণ করে দেশ স্বাধীন করার।

এই বিষয়ে সেই সময় যুব সমাজ তার সাথে একমত ছিল এবং তার সাথে একই পথে চলার জন্য প্রস্তুতি শুরু করে।

যার ফলস্বরূপ ব্রিটিশ সরকারের কাছে সুভাষচন্দ্র বসু চক্ষুশূল হয়ে ওঠেন এবং তারা তাকে কারাগারে বন্দি করে।

কলকাতায় নজরবন্দি

কারাগারে বন্দি থাকাকালীন দুই সপ্তাহ ধরে অন্নজল গ্রহণ না করার জন্য তার স্বাস্থ্য ধীরে ধীরে খারাপ হতে থাকে।

তার এই অবস্থা দেখে দেশের যুব সমাজ জেগে উঠতে শুরু করে এবং তার মুক্তির দাবি তোলেন।

এজন্য ব্রিটিশ সরকার নেতাজীকে কলকাতার একটি বাড়িতে নজরবন্দী থাকার আদেশ দেন।

ছদ্মবেশে পলায়ন

১৯৪১ সালে নেতাজি তার এক আত্মীয় শিশির এর সাহায্যে সেখান থেকে পালিয়ে যান।

সবথেকে প্রথমে তিনি বিহারে যান। তারপর পাকিস্তানের পেশোয়ারে। অতঃপর তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন (বর্তমানে রাশিয়া) হয়ে জার্মানি এসে পৌঁছান।

নেতাজির ভাই ছাড়া আর কেউ জানত না তিনি কোথায় গিয়েছেন। গান্ধীজী, নেহেরু এমনকি ইংরেজরাও চিন্তিত ছিল নেতাজির পলায়ন নিয়ে।

নেতাজি ছদ্মবেশ ধারণে ওস্তাদ ছিলেন। এজন্য তিনি খুব সহজেই ইংরেজদের চোখে ধুলো দিতে পেরেছিলেন।

Also Read: ১৫ টি নীতি কথার গল্প

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু জীবনী বাংলা

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর আজাদ হিন্দ ফৌজ গঠন

ভারতবর্ষের বাইরে থেকেও তিনি একটি শক্তিশালী সেনা গঠন করেন, যা আজাদ হিন্দ ফৌজ নামে পরিচিত।

নেতাজি আজাদ হিন্দ ফৌজ একদিনে তৈরি করেননি। এর পিছনে ছিল তার অক্লান্ত পরিশ্রম এবং চেষ্টা। আর ছিল ভারতবর্ষকে স্বাধীন করার এক অদম্য ইচ্ছা।

রাশিয়াতে নেতাজি জোসেফ স্ট্যালিন এর সাথে দেখা করেন এবং তাঁকে বলেন – ‘আপনি আমার শত্রুর শত্রু। এজন্য আপনি আমার বন্ধু।’

স্ট্যালিন নেতাজি কে জার্মানির মুদ্রা দেন এবং তাকে জার্মানি পাঠিয়ে দেন। তিনি সুভাষচন্দ্র বসুর মধ্যস্থতায় জাপানের সঙ্গে সুসম্পর্ক তৈরি করার কথা ভাবছিলেন। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে জোসেফ স্টালিন খুবই শ্রদ্ধা এবং সম্মান করতেন।

জার্মানিতে এসে নেতাজি হিটলারের সাথে দেখা করেন এবং তার কাছে সাহায্য প্রার্থনা করেন। হিটলার নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে সব রকম সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দেন।

নেতাজি দেশের বাইরে থেকে ‘আজাদ হিন্দ ফৌজ’ গঠন করা শুরু করেন। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জীবনী বাংলায়।

ইংরেজদের হয়ে যে সমস্ত ভারতীয় সৈন্যরা জার্মানির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার সময় যুদ্ধবন্দী হয়েছিল নেতাজি তাদের মুক্ত করে আজাদ হিন্দ ফৌজে যুক্ত করেন।

এইভাবে সারা বিশ্বে যত ভারতীয় যুদ্ধবন্দী ছিল নেতাজি তাদের সবাইকে মুক্ত করে নিজের ফৌজে যুক্ত করেন।

আজাদ হিন্দ ফৌজে মোট ৫৫ হাজার সৈন্য ছিল। সেনা তৈরীর পর এবার সময় ছিল মানুষের সামনে আত্মপ্রকাশ করার।

আরও পড়ুন: এ পি জে আব্দুল কালামের ৫১ টি অনুপ্রেরণামূলক বাণী

বার্লিনে রেডিও মারফত নেতাজির আত্মপ্রকাশ

বার্লিনে নেতাজি রেডিও স্টেশন এর মাধ্যমে সবার সামনে উপস্থিত হয়ে ঘোষণা করেন – ‘আমি সুভাষ বলছি, আমি বেঁচে আছি।’

এই কথা শোনা মাত্র দেশবাসীর চোখে আনন্দ অশ্রুধারা বইতে শুরু করে।

জাপানের কাছে সাহায্য প্রার্থনা

আজাদ হিন্দ ফৌজ গঠনের পর এবার সময় ছিল ভারতবর্ষে ইংরেজদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করার।

এজন্য সুভাষচন্দ্র বসু ভারতবর্ষকে স্বাধীন করার জন্য ইংল্যান্ডের শত্রু জাপানের সাথে হাত মেলান।

জাপানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জেনারেল তোজো সুভাষচন্দ্র বসুকে সব রকম ভাবে সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দেন।

১৬ জুন ১৯৪৩ সালে জেনারেল তোজো জাপানি সংসদে ঘোষণা করেন – ‘ভারতের স্বাধীনতার জন্য আমরা সব রকম ভাবে তাদের সাহায্য করব।’

জাপানের পরিকল্পনা ছিল মায়ানমারের পূর্ব দিক থেকে ব্রিটিশদের ওপর আক্রমণ করা এবং আজাদ হিন্দ বাহিনীর সাথে যুক্ত হয়ে ইংরেজদের ভারত থেকে বিতাড়িত করা।

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু প্রবন্ধ রচনা

সুভাষচন্দ্র বসু ও জাপানের পরিকল্পনা ভেস্তে যায়

১৯৪৪ সালেই আজাদ হিন্দ ফৌজ ও জাপানি সেনা ইংরেজদের ভারত থেকে বিতাড়িত করত।

কিন্তু ভাগ্য বিমুখ ছিল। সেই বছর বর্ষা তাড়াতাড়ি আরম্ভ হয়। ফলস্বরূপ জাপানি সেনা ধীরগতিতে এগোতে থাকে।

১৯৪৪ সালে জাপান দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন বেশ কয়েক বার হারের সম্মুখীন হয়। যার জন্য জাপান সেই সময় ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ না করার সিদ্ধান্ত নেন।

এই সময়টা নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্য খুবই কঠিন ছিল। তাছাড়া আজাদ হিন্দ বাহিনীর কাছে তখন ইংরেজদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার মতো পর্যাপ্ত জন বল এবং যুদ্ধাস্ত্র ছিল না। যার জন্য সমস্ত পরিকল্পনা ভেস্তে যায়।

আরও পড়ুন: শুভ নববর্ষের শুভেচ্ছা বাণী, ছবি, স্ট্যাটাস

ব্রম্ভদেশের রঙ্গুন শহরে সুভাষচন্দ্র বসু

সুভাষচন্দ্র বসু তৎকালীন ব্রহ্মদেশের রঙ্গুণ শহরে ফিরে আসেন।

২৪ অগাস্ট, ১৯৪৪ সালে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু রঙ্গুণ রেডিও স্টেশন থেকে ঘোষণা করেন ইম্ফল সৈন্য কাজ করতে বিফল হয়েছে।

কিন্তু তিনি দেশবাসীকে ইংরেজদের বিরুদ্ধে তাদের সংগ্রাম চালিয়ে যেতে বলেন।

সুভাষ চন্দ্র বসুর এই আহ্বানে প্রথমে British Indian Navy এবং পরে British India র সমস্ত সেনা বাহিনী ইংরেজদের বিরোধিতা শুরু করে।

ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ ভারতীয় সৈন্যদের বিরোধিতা এবং নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর কর্মকাণ্ডে প্রচণ্ড ভয় পান।

ব্রিটিশ সরকার আগামী জন সংগ্ৰাম (Civil War) এর গন্ধ পান এবং এই জন্য ব্রিটিশ সরকার খুব তাড়াতাড়ি ভারতকে স্বাধীন করার কথা ঘোষণা করেন।

জাপানের ওপর পরমাণু আক্রমণ

১৯৪৫ সালে আমেরিকা জাপানের হিরোশিমা ও নাগাসাকি শহরে পরমাণু বোমা নিক্ষেপ করে। এর ফলে জাপান পরাজয় স্বীকার করতে বাধ্য হয়।

ব্রিটেন এবং আমেরিকার সৈন্যদল সিঙ্গাপুর, মালই, থাইল্যান্ড ও ব্রম্ভদেশের দিকে এগোতে থাকে।

জাপানের ওপর পরমাণু আক্রমণকালীন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু (Netaji Subhash Chandra Bose) সিঙ্গাপুরে ছিলেন।

সেখান থেকে এক সপ্তাহ পর ১৬ অগাস্ট ১৯৪৫ সালে নেতাজি থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে পৌঁছান।

আজাদ হিন্দ বাহিনীর মুখ্য কেন্দ্র ছিল ব্যাংকক। সেখানে তিনি জাপানের প্রতিনিধি হেচিয়া তেরু হো র সাথে সাক্ষাৎ করেন।

হেচিয়া নেতাজি কে বলেন ‘জাপানের তরফে তার কাছে আজাদ হিন্দ ফৌজ এর জন্য কোন দিশা নির্দেশ নেয়।’

পরমাণু হামলার পর জাপান একপ্রকার বিধ্বস্ত ছিল। এজন্য নেতাজি আজাদ হিন্দ বাহিনীর পরবর্তী রণনীতি ভাবতে শুরু করেন।

কর্নেল হাবিবুর রহমান বলেন ‘জাপানের সাথে মিটিং এর পর নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু সারারাত ঘুমোতে পারেননি।’

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু জীবনী বাংলা রচনা

বিমান দুর্ঘটনা

১৭ অগাস্ট ১৯৪৫ সালে নেতাজি Indian National Army র বিমানে চড়ে ব্যাংকক থেকে রওনা দেন এবং দুপুরে ভিয়েতনামের হো-চি-মিনহা শহরে অবতরণ করেন। তার সাথে ছিল – কর্নেল প্রীতম সিং, দেবনাথ গুজরাল সিং, কর্নেল হাবিবুর রহমান এবং আবির হোসেন।

সেখানে আরো একটি প্লেন অবতরণ করে, যেটি ছিল জাপানি লেফটেন্যান্ট ইসোবাকার। সেখানে ইসোবাকা নেতাজি কে INR এর প্লেন ছেড়ে তাদের সাথে যাওয়ার প্রস্তাব দেন। নেতাজি এই প্রস্তাবে রাজি হয়ে যান।

কিন্তু তার অন্যান্য সঙ্গীরা তাকে একলা ছাড়তে রাজি হয় না। এজন্য সুভাষচন্দ্র বসু জাপানীদের সাথে কথা বলে কর্নেল হাবিবুর রহমান কে তার সাথে নিয়ে নেন।

ঠিক সন্ধ্যেবেলায় নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু এবং হাবিবুর রহমান জাপানিদের বিমানে চড়েন। কিছু সময় পর প্লেন রওনা হয়।

অন্যান্য সঙ্গীরা তাদেরকে বিদায় জানানোর জন্য প্লেন পর্যন্ত তাদেরকে এগিয়ে দেন। কিছুক্ষণ পর প্লেন সেখান থেকে রওনা হয়।

বলা হয় যে হোচিমিনহা শহর থেকে বেরোনো সেই প্লেন নেতাজীকে নিয়ে সন্ধ্যে সাতটাই ভিয়েতনামের একটি শহর তুরান এ অবতরণ করে।

সেখানে রাত কাটিয়ে পরদিন সকালে সেই প্লেন রওনা হয়। ঠিক দুপুর দুটোর সময় তাইওয়ানের তাইপিন শহরে তাদের বিমান অবতরণ করে।

তাইপিন এ তারা সকালের খাবার খায়। এরপর প্লেন সেখান থেকে ওড়ার জন্য রানওয়েতে চড়ে।

প্লেন ওড়া শুরু করা মাত্রই একটি ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে। জাপানি প্লেনের একটি ইঞ্জিন আলাদা হয়ে যায়। মাটি থেকে উচ্চতা খুব একটা বেশি ছিল না – ৩০ থেকে ৩৫ মিটার হবে। ১০৫০০ কেজি ওজনের প্লেন মাটিতে আছাড় খায়।

জাপানি লেফটেন্যান্ট জেনারেল সেই মুহুর্তেই প্রাণ হারান। কিছু মানুষ দুর্ঘটনাগ্রস্ত প্লেন থেকে বেরিয়ে আসেন।

কর্নেল হাবিবুর রহমানের এক পা জখম হয়ে যায়।

প্লেনের ইঞ্জিন অয়েল গোটা প্লেন এমনকি নেতাজীর সিট পর্যন্ত ছড়িয়ে যায়। ইঞ্জিন অয়েল এ আগুন লেগে যায় এবং নেতাজির শরীরেও আগুন ধরে যায়।

কর্নেল হাবিবুর রহমান নেতাজীকে প্লেন থেকে বাইরে আসার জন্য বলেন এবং তারা দুজনে একসাথে প্রেন থেকে বেরিয়ে আসেন।

১০-১৫ মিনিটের মধ্যে এয়ারপোর্টের সুরক্ষা দল সেখানে ছুটে আসে। আহত এবং মৃতদের কাছের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু অনুচ্ছেদ রচনা

সুভাষচন্দ্র বসুর মৃত্যু

হাসপাতালে জাপানি ডাক্তার তেনা এস হে সুভাষচন্দ্র বসু কে বাঁচানোর চেষ্টা করেন।

কিন্তু সারা শরীরে আগুন লেগে যাওয়ার জন্য ভারতের বীর সন্তান সুভাষচন্দ্র বসু হাসপাতালেই প্রাণ ত্যাগ করেন।

পরের দিন ১৯ অগাস্ট ১৯৪৫: কর্নাল হাবিবুর রহমানের স্বাস্থ্য একটু ভালো হলে তিনি বলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর শরীরকে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হোক।

জাপানিদের কাছে সেই সময়ে দ্বিতীয় কোন বিমান ছিলনা এবং এই জন্য তারা ক্ষমা প্রার্থনা করে।

কিছুক্ষণ পর সেখানে বিভিন্ন মিডিয়ায এবং ফটোগ্রাফার এসে উপস্থিত হয়। তারা নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ছবি তোলার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেন। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মৃত্যুর প্রমাণ হিসাবে ছবি তোলা আবশ্যক ছিল।

কিন্তু কর্নেল হাবিবুর রহমান তাদের ছবি তুলতে নিষেধ করে দেন। তিনি বলেন ‘পুড়ে যাওয়া দেহের ছবি তুলতে দেওয়া যাবে না। এই বিষয়টি শবদেহের গরিমার বিষয়।’

রাত্রিবেলায় দাহ সংস্কার করা হয়। কর্নেল হাবিবুর রহমান সারারাত সেখানে বসে ছিলেন।

পরেরদিন কর্নেল হাবিবুর রহমান শ্মশানে যান এবং সুভাষচন্দ্র বসুর অস্থি অস্থিকুঞ্জে রাখেন।

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মৃত্যু তারিখ কত

১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দের ১৮ অগাস্ট নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু একটি প্লেন দুর্ঘটনায় মৃত্যু বরণ করেন।

আরও পড়ুন: ১০১ টি প্রেমের উক্তি পড়ুন

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মৃত্যু রহস্য

Netaji Subhas Chandra Bose Biography Paragraph essay death mystry in bengali, Subhash Chandra Bose history, Netaji Subhas Chandra Bose life history in Bengali, Netaji Subhas Chandra Bose rachana, Subhash Chandra Bose family, Subhas Chandra Bose paragraph in Bengali, Subhas Chandra Bose Education, Netaji rachana in Bengali, Netaji Subhash Chandra Bose Biography in Bengali, Netaji Subhas Chandra Bose Biography in Bengali, Netaji Subhas Chandra Bose Essay in Bengali, Netaji Subhas Chandra Bose Paragraph in Bengali, নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু প্রবন্ধ রচনা, Biography of Netaji Subhas Chandra Bose

অনেকে বিশ্বাস করেন এই প্লেন দুর্ঘটনায় নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু মারা যাননি।

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মৃত্যু নিয়ে অনেক রহস্য আছে। ধীরে ধীরে আমরা সেই সমস্ত রহস্য উন্মোচিত করব।

বিমান দুর্ঘটনার পর এক জাপানি গোয়েন্দা ভিয়েতনামে আজাদ হিন্দ বাহিনীর দুইজন যোদ্ধার সঙ্গে দেখা করেন। সেই দুইজন যোদ্ধা ছিল কর্নেল প্রীতম সিং এবং দেবনাথ।

জাপানি গোয়েন্দা আজাদ হিন্দ বাহিনীর সেই দুজন যোদ্ধাকে বলেন ‘সুভাষচন্দ্র বসুর প্লেনে দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয়েছে এবং সুভাষচন্দ্র বসু মারা গিয়েছে এই কথাটি সত্য নয়।’

জাপানি গোয়েন্দার কথা শুনে কর্নেল প্রীতম সিং এবং দেবনাথ চমকে যান।

এখান থেকেই শুরু হয় নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মৃত্যু রহস্য ।

সব থেকে দুঃখের বিষয় এই যে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বেঁচে আছেন না মারা গিয়েছেন এই সত্যতা যাচাই শুধুমাত্র বাংলা তথা ভারতবর্ষেই হচ্ছিল না, হচ্ছিল ইংল্যান্ডেও।

আমেরিকার শিকাগোতে Triven নিউজ পেপার এর সাংবাদিক Alfred Veg পন্ডিত জহরলাল নেহেরু কে তার প্রেস কনফারেন্সের মাঝখানে থামিয়ে বলেন যে তিনি নেতাজীকে ভিয়েতনামে নিজের চোখে দেখেছেন।

Also Read: একাকিত্ব নিয়ে ১৪০ টি উক্তি

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জীবনী বাংলায় প্রবন্ধ রচনা

দিল্লির ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো দ্বারা নেতাজির মৃত্যুর সত্যতা যাচাই এর চেষ্টা

দিল্লির ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো এই বিষয়টির সত্যতা নিয়ে যাচাই শুরু করে।

কর্নেল হাবিবুর রহমানের কথা অনুসারে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু টোকিও যেতেন এবং সেখান থেকে ফিরে এসে নেতাজি ইংরেজদের কাছে আত্মসমর্পণ করতেন।

কিন্তু রহমানের কথার কোনো সত্যতা ছিল না। রহমান শেখানো কিছু কথা তোতা পাখির মত বলছিলেন।

কারণ ইংরেজদের কাছে আত্মসমর্পণ করতে হলে নেতাজি টোকিওতে কেন যাবেন। তিনি সরাসরি দিল্লি আসতে পারতেন।

কিন্তু নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু ইংরেজদের কাছে আত্মসমর্পণ এবং নতি স্বীকার করবেন এই কথাটি স্বীকার করা সম্ভব নয়।

ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো টোকিওতে গিয়ে সমস্ত তথ্য যাচাই করার চেষ্টা করেন। কিন্তু তারা কিছুই প্রমাণ করতে পারে না।

ব্রিটিশ সরকার এবং আমেরিকার তদন্ত

ব্রিটিশ সরকার সুভাষচন্দ্র বসুর মৃত্যু সংবাদ নিয়ে সমস্ত সন্দেহ দূর করে একটি সঠিক সিদ্ধান্তে উপনীত হতে চাইছিলেন। কারণ তারা জানত সুভাষচন্দ্র বসু ভারতবর্ষে ফিরে আসলে আবার সারা দেশে বিদ্রোহের আগুন জ্বলে উঠবে।

ইংরেজ সরকার জানত নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু যদি ভারতের ফিরে আসে তবে ভারত সেভাবে স্বাধীন হবে না যেভাবে তারা করতে চাই, ভারত স্বাধীন হবে নেতাজির মতে ও বিদ্রোহের আগুনে।

ব্রিটিশ সরকার এই সত্যতা যাচাই করার জন্য আমেরিকার কাছে সাহায্য চায়। আমেরিকার গোয়েন্দা বিভাগ ব্রিটিশ সরকারকে জানাই যে তাইপেনে সেদিন কোন বিমান দুর্ঘটনায় হয়নি।

এরপর ব্রিটিশ সরকার আজাদিন বাহিনীর মেজর জেনারেল জে কে ভোঁসলেকে গ্রেফতার করেন। ভোঁসলের উপর অকথ্য অত্যাচার করা হয়।

শেষ পর্যন্ত তিনি স্বীকার করেন আজাদিন বাহিনীর সেনা নায়ক নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু প্রথমে টোকিও এবং সেখান থেকে মাঞ্চুরিয়া যেতেন, কারণ রাশিয়ার জোসেফ স্ট্যালিন নেতাজি কে সবরকম সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।

নেতাজি রাশিয়াতে আছে এই খবর বিভিন্ন তথ্য এবং ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থা MI6 বারবার পাচ্ছিল।  কিন্তু তারা Netaji Subhash Chandra Bose এর নাগাল পাচ্ছিল না।

শাহনবাজ কমিশন (১৯৫৫) ও গোসলা কমিশন (১৯৭০)

১৯৫৫ সালে শাহনবাজ কমিশন এবং ১৯৭০ সালে গোসলা কমিশন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর প্লেন দুর্ঘটনাকে সত্য বলে স্বীকার করে।

কিন্তু বার বার এই দুই কমিশনের বিরুদ্ধে আঙ্গুল উঠতে শুরু করে।

আরও পড়ুন: শুভ অক্ষয় তৃতীয়া ২০২৩ ছবি ও শুভেচ্ছা বার্তা

মুখার্জি কমিশন (১৯৯৯)

এজন্য ১৯৯৯ সালে মুখার্জি কমিশন গঠন করা হয়।

মুখার্জি কমিশন তার রিপোর্টে বলে সুভাষচন্দ্র বসু দুর্ঘটনায় মারা যাননি এবং সমস্ত তথ্য লুকানো হচ্ছে।

প্রথমে দুটি কমিশন সুভাষচন্দ্র বসুর মৃত্যু রহস্য নিয়ে গভীরভাবে যাচাই করেনি তথা ঘটনাস্থলেও যায়নি।

কিন্তু মুখার্জি কমিশন তাইওয়ান এ গিয়ে সমস্ত তথ্য যাচাই করে। রিপোর্টে মুখার্জি কমিশন বলে ১৯৪৫ সালে তাইপেনের এয়ারপোর্টে কোন বিমান দুর্ঘটনায় ঘটেনি।

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জীবনী বাংলায়

গুমনামী বাবাই কি নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু ছিলেন?

কয়েক বছর পরে একটি আশ্চর্য ঘটনা ঘটে।

নেপাল থেকে ‘ভগবান জি’ নামক এক সাধু উত্তরপ্রদেশের Luknow শহরে এসে বসবাস শুরু করেন। সুরেন্দ্র সিং চৌধুরী ছাড়া এই সাধুকে আর কেউ চিনত না।

একদিন এই সাধু একটি চশমার দোকানে নতুন চশমা তৈরি করতে যান। সাধু দোকানে চশমা পড়েন এবং চশমা পড়ে নিজেকে দেখার জন্য তার পাগড়ি সামান্য ওপরে ওঠান।

দোকানে উপস্থিত একটি লোক তাকে চিনতে পারেন এবং আনন্দে চিৎকার করে বলে ওঠেন “নেতাজি”।

দোকানে উপস্থিত অন্যান্য লোকজন সেই লোকটির কথা শুনতে পায় এবং তারা সাষ্টাঙ্গ হয়ে সাধু ভগবান জির পা ছুঁয়ে প্রনাম করে।

সাধু ভগবান জি এবং সুরেন্দ্রনাথ চৌধুরী দোকান থেকে তৎক্ষনাৎ বেরিয়ে পড়েন।

এরপর থেকে সেই সাধু গুমনামি বাবা হিসাবে পরিচিত হয়।

১৯৬৬ সালে প্রবিত্র রায় এর সঙ্গে গুমনামী বাবার সাক্ষাৎ হয়।

পবিত্র রায় বলেন তিনি যখন গুমনামী বাবার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তখন তিনি দাড়ি বাড়িয়ে রেখেছিলেন। কিন্তু মুখমণ্ডল দেখে এবং কথা বলার ভঙ্গিতে মনে হচ্ছিল তিনি নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু।

Handwriting Expert বি লাল এর নিখুঁত পরীক্ষা

গুমনামি বাবাই যে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু তা আরেক জন প্রমাণ করেছিলেন। তিনি হলেন হ্যান্ডরাইটিং এক্সপার্ট বি লাল।

বি লাল গুমনামি বাবা এবং সুভাষচন্দ্র বসুর ইংরেজি এবং বাংলা হাতের ৪০৬৫ টি লেখা নিখুঁত ভাবে পরীক্ষা করে বলেন – গুমনামি বাবা এবং নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু দুজন একই মানুষ।

১৯৮৫ সালে ফৈজাবাদে গুমনামি বাবা মারা যান এবং তার মৃত্যুর সাথে সাথে অনেক রহস্য রহস্যই থেকে যায়।

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু রচনা বাংলায়

সুভাষ চন্দ্র বসুর বেঁচে থাকার আরো দুটি প্রমান

১৯৪৫ এর পর Netaji Subhas Chandra Bose বেঁচে ছিলেন সে সম্পর্কে আরো দুটি ঘটনা আছে।

অর্ধেন্দু সরকারের ঘটনা

অর্ধেন্দু সরকার নামে এক ইঞ্জিনিয়ার রাশিয়া গিয়েছিল।

রাশিয়াতে তিনি এমন কিছু প্রমাণ পান যা থেকে বোঝা যায় ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত Netaji Subhas Chandra Basu রাশিয়াতে ছিলেন এবং তার কয়েক মাস পরে সুভাষচন্দ্র বসু রাশিয়া থেকে ভারত চলে আসে।

এই বিষয়টি জানার সাথে সাথে অর্ধেন্দু সরকার রাশিয়াতে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসে যায় এবং সেখানে তিনি সমস্ত প্রমান সহ সব কথা বলেন।

কিন্তু দূতাবাস তরফে অর্ধেন্দু সরকারকে বলা হয় যে তিনি রাশিয়াতে একজন ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে এসেছেন, কোন ভারতীয় গোয়েন্দা হিসেবে নয়।

Netaji Subhas Chandra Bose Biography in Bengali

বিজয় লক্ষী পন্ডিতের ঘটনা

আপনারা হয়ত জানবেন বিজয় লক্ষী পন্ডিত জহরলাল নেহেরুর বোন এবং রাশিয়াতে তিনি ভারতের প্রথম দূত ছিলেন।

বিজয় লক্ষী পন্ডিত রাশিয়াতে তার কার্যকাল শেষ করে ভারতে ফিরে আসার পর একটি জনসভায় বলে ফেলেন, রাশিয়াতে তিনি একজন মহান ব্যক্তিত্বকে দেখেছিলেন যার নাম জনসমক্ষে প্রকাশ হলে ১৯৪৭ সালের ১৫ ই আগস্ট ভারতবর্ষে যে পরিমাণ আনন্দ উৎসব উদযাপন করা হয়েছিল তার থেকে আরও বেশি আনন্দের ঢেউ এই দেশে ছড়িয়ে যাবে।

পন্ডিত জহরলাল নেহেরু সেই সময় জনসভায় উপস্থিত ছিলেন এবং তিনি বিজয়লক্ষ্মী পণ্ডিতকে সম্পূর্ণ কথাটা শেষ করার আগেই থামিয়ে দেন।

  • মহাত্মা গান্ধীর জীবনী
  • রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১২০ টি বিখ্যাত উক্তি
  • স্বামী বিবেকানন্দের জীবনী
  • ভগবদ গীতা কি এবং কেন পড়বেন?
  • মহাত্মা গান্ধীর ১০১ টি বিখ্যাত উক্তি
  • বি আর আম্বেদকরের জীবনী
  • সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণানের জীবনী ও বাণী

আশা করি আজকের প্রতিবেদন ‘ নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জীবনী বাংলায় প্রবন্ধ রচনা – Netaji Subhas Chandra Bose Biography in Bengali ‘ আপনার ভালো লেগেছে এবং নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জীবন কাহিনী সম্পর্কে অনেক নতুন তথ্য জানতে পেরেছেন।

আর অবশ্যই বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করে ‘ নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু জীবনী প্রবন্ধ রচনা ‘ টি ছড়িয়ে দিন এবং সাধারণ মানুষকে তা জানতে সাহায্য করুন।

আপনার একটি ছোট্ট Share পরবর্তী সময়ে আমাদের এরকম লেখা প্রকাশ করতে আরো বেশি করে উৎসাহিত করবে।

সবার সাথে শেয়ার করুন (Share) :

  • Click to share on WhatsApp (Opens in new window)
  • Click to share on Facebook (Opens in new window)
  • Click to share on Twitter (Opens in new window)
  • Click to share on Telegram (Opens in new window)
  • Click to share on Pinterest (Opens in new window)
  • Click to share on LinkedIn (Opens in new window)
  • Click to share on Reddit (Opens in new window)
  • Click to share on Tumblr (Opens in new window)
  • Click to email a link to a friend (Opens in new window)
  • Click to print (Opens in new window)

আপনি এই লেখাগুলো পড়তে পারেন:

5 thoughts on “নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জীবনী বাংলায় প্রবন্ধ রচনা netaji subhas chandra bose biography in bengali”.

Netaji Subhash Chandra Bose er jiboni bises kore lekhar ditiyo porbe Subhas Chandra Bose er mrittyu rahasya ta khub valo laglo.

Chalia jan Dada.

Osadharon ekti lekha porlam.

অনেক ধন্যবাদ।

আপনি খুব সুন্দর ভাবে নেতাজি এর জীবনী টা লিখেছেন এই ব্লগে।এছাড়া আপনি খুবই ভালো লেখেন।আপনার ব্লগ টা পড়ে আমার খুব এ ভালোলেগেছে। আমারও একটা টেকনোলজি বিষয় এ ব্লগ আছে। এমনি ধরনের লিখতে থাকুন।ধন্যবাদ।

ধন্যবাদ Kaushik, আমাদের লেখা “নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জীবনী ও মৃত্যু রহস্য” আর্টিকেলটা আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুব খুশি হলাম। ভবিষ্যতে আমরা এই রকম আরও লেখা প্রকাশ করার চেষ্টা করব।

ধন্যবাদ জানাই আপনাকে, লেখার জন্য।

Leave a Comment Cancel reply

Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.

Notify me of follow-up comments by email.

Notify me of new posts by email.

  • অ্যাডমিট কার্ড

kolom

  • Copyright Policy
  • স্ট্যাটিক জিকে
  • প্রাইমারি টেট
  • জেনারেল নলেজ

নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু জীবনী | Netaji Subhash Chandra Bose Biography in Bengali

সুভাষচন্দ্র বসুর জীবনী

Kolom

নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু জীবনী PDF | Netaji Subhash Chandra Bose Biography in Bengali

নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু জীবনী

সুপ্রিয় বন্ধুরা, আজ আমরা আপনাদের কাছে তুলে ধরেছি নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর জীবনী । আমরা আশা রাখছি এই পোস্টটির মাধ্যমে আপনারা অপরাজেয় সুভাষচন্দ্র বসুর জীবনী সম্বন্ধে পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য জানতে পারবেন। সুতরাং সময় অপচয় না করে নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর জীবনী দেখে নিন এবং প্রয়োজনে নীচে দেওয়া লিঙ্ক থেকে এটির পিডিএফ ফাইলটি সংগ্রহ করে নিন।

নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু জীবনী

“তোমরা আমাকে রক্ত দাও, আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব।”

ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের অপরাজেয় মূর্ত প্রতীক নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু। ভারত জননীর বিদ্রোহের কোলে যে অগ্নিশিশুদের ভূমিষ্ঠ করেছিলেন তাহার মধ্যে সুভাষচন্দ্র বসু পরাধীন জাতির চিত্তে নব প্রাণসঞ্চারের ব্রত গ্রহণ করেছিলেন।

নামসুভাষচন্দ্র বসু
জন্ম২৩শে জানুয়ারি ১৮৯৭
জন্মস্থানকটক, ওড়িশা
পিতার নামজানকীনাথ বসু
মাতার নামপ্রভাবতী দেবী
স্ত্রীর নামএমিলি শেঙ্কল
জাতীয়তাভারতীয়
রাজনৈতিক দলফরওয়ার্ড ব্লক
মৃত্যুঅমীমাংসিত

দেশ গৌরব নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু ১৮৯৭ খ্রিস্টাব্দের ২৩শে জানুয়ারি তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের ওড়িশার কটক শহরে জনৈক হিন্দু পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। রত্নগর্ভা গৃহপত্নী প্রভাবতী দেবী ও পেশায় উকিল জানকীনাথ বসু ছিলেন তাহার মাতা ও পিতা। সুভাষচন্দ্র বসু ছিলেন বসু পরিবারের ষষ্ঠ সন্তান।

পিতার কর্মসূত্রে উড়িষ্যার কটক শহরেই তার বেড়ে ওঠা, সে সূত্রে  নেতাজীর পাঠ্য জীবন শুরু হয় কটক শহরের প্রোটোস্ট্যান্ট স্কুলে। যা ছিল সাহেবী অধ্যাবসায় সাহেবদের শিক্ষার ক্ষেত্র। এখানকার নিয়মকানুন সুভাষচন্দ্রের স্বাধীনচিন্তার বিকশিত না হওয়ার কারণে পরে ভর্তি হলেন র‍্যাভেনস কলেজিয়েট স্কুল। সুভাষচন্দ্র প্রবেশিকা পরীক্ষায় দ্বিতীয় স্থান লাভ করে কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হন।এরপর ভর্তি হন কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজে। এখানে অনিবার্য কারণ বসত কলেজ থেকে বহিষ্কৃত হওয়ার  পর স্যার আশুতোষ চেষ্টায় দর্শন শাস্ত্রে অনার্স নিয়ে স্কটিশচার্জ কলেজে ভর্তি হন। এখানেও তিনি বি.এ পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণির অনার্স সহ কৃতকার্য হন। পরবর্তীতে পিতার ইচ্ছানুযায়ী ইংল্যান্ডে যান এবং ১৯২০ সালে আই.সি.এস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।

সুভাষচন্দ্র বসু ছিলেন আধ্যাত্মিক চেতনার অধিকারী অপরাজেয় সমাজসেবক ও বহু বিচিত্র কর্মদ্যোগী-কর্মপ্রিয় মানুষ। দেশবন্ধুর সানিধ্য গ্রহন করার পরবর্তীতে ওনার নির্দেশে জাতীয় শিক্ষালয়ের অধ্যক্ষ পদ গ্রহণ করেন। তার সঙ্গে তিনি পান কংগ্রেস কমিটির সচিবের পদ। এরপর তিনি ‘ফরোয়ার্ড’ পত্রিকার সহকারী সম্পাদক হন। কলকাতা পৌর নিগমের প্রধান কর্মকর্তা নিযুক্ত হন।

রাজনৈতিক জীবন

দেশবন্ধুর পূর্ণ সমর্থনে ১৯৩৮ খ্রিস্টাব্দে ও ১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দে হরিপুরা ও ত্রিপুরাতে নিখিল ভারত কংগ্রেস কমিটির সভাপতি পদ অলংকৃত করেন। পরবতীতে চরমপন্থী ও নরম পন্থীর মধ্যে বিরোধ দেখে দিলে তিনি কংগ্রেস দল ত্যাগ করে ‘ফরওয়ার্ড ব্লক’ দল গঠন করেন।

মুক্তি যুদ্ধ

তৎকালীন সময়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বাতাবরণ শুরু হলে বিশ্বব্যাপী ইংরেজদের প্রতি বিরোধিতার বীজ বপন করতে চাইলেন। ইংরেজ সরকার সুভাষচন্দ্রকে আসন্ন মূর্তিমান বিপদ ভেবে নজরবন্দি করে, ইংরেজ রক্ষীদের চোঁখে ধুলো দিয়ে তিনি দিলেন বিদেশে পাড়ি।

জাপানে পৌঁছে আজাদ হিন্দ বাহিনীর সর্বাধিনায়ক পদ গ্রহণ করে আরো শক্তিশালী করে গড়ে তুলেন। দিল্লি চলো শ্লোগানের মাধ্যমে দিল্লির লালকেল্লা দখলের উদ্দেশ্য কার্যত ইংরেজদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন। ১৯৪৪ সালে ইমফলে আজাদ হিন্দ ফৌজের চেষ্টায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। পরবর্তীতে বিশ্বযুদ্ধে জাপানের পরাজয় ঘটলে ফলস্বরূপ অর্থ কষ্টে আজাদ-হিন্দ-বাহিনীর ভগ্নদশা দেখা দিলে নেতাজী তাইহুক বিমানবন্দর থেকে যাত্রা করেন সাহায্যের আশায়।

মৃত্যু রহস্য

জাপানের তাইহুক বিমান বন্দর থেকে যাত্রা করার পর নেতাজীর আর কোনো খবর পাওয়া যায়নি। তাই অনেক দেশবাসীর মধ্যে মৃত্যু সংবাদ নিয়ে অনেক মতবিরোধ রয়েছে। জাপান সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয় বিমান দুর্ঘটনা ওনার মৃত্যু হয়েছে। কেউ বলেন নেতাজী জীবিত তাকে সাইবেরিয়ার জেলে বন্দি করে রাখা হয়েছে। নেতাজীর মৃত্যু সম্বন্ধে ভারত সরকার কমিশন গঠন করলেও নেতাজীর মৃত্যু রহস্য যে তিমিরে ছিল সে বিন্দুতে রয়ে গেছে। তাই আমাদের কাছে নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু চির অমর নিরুদেশের পথিক।

পুরস্কার ও সম্মাননা

ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে আপোষহীন সংগ্রামের মূর্ত প্রতীক প্রতিটি ক্ষেত্রেই পেয়েছেন প্রভূত অভ্যর্থনা। ভারত সরকারের পক্ষ থেকে কলকাতা নেতাজী সুভাষ বিমান বন্দরের নামকরন করা হয়েছে। তার জন্মদিবস উপলক্ষে বর্তমান ক্ষমতাধীন নরেন্দ্র মোদি সরকার এই দিনটিকে ‘জাতীয় পরাক্রম দিবস’ বলে ঘোষণা করেছেন।

নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু জীবনী PDF

File details :.

File Name : Netaji Subhash Chandra Bose Biography Language : Bengali No. of Pages : 02 Size : 0.4 MB

আরও দেখুন :

  • মহাত্মা গান্ধীর জীবনী
  • স্বামী বিবেকানন্দ জীবনী

শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় জীবনী | Sarat Chandra Chattopadhyay Biography in Bengali

মেজর ধ্যানচাঁদ জীবনী | major dhyan chand biography in bengali, ক্ষুদিরাম বসুর জীবনী | khudiram bose biography in bengali.

Awesome Thanks for this

LEAVE A REPLY Cancel reply

Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.

Recent posts

24th september 2024 current affairs quiz in bengali, 23rd september 2024 current affairs quiz in bengali, 22nd september 2024 current affairs quiz in bengali, 21st september 2024 current affairs quiz in bengali, popular posts, শিক্ষক দিবস উপলক্ষে বক্তৃতা | teachers day speech in bengali, বাংলা সহায়তা কেন্দ্র নিয়োগ 2023 | bsk new recruitment 2023, শিক্ষক দিবস বক্তৃতা | শিক্ষক দিবস সম্পর্কে কিছু কথা, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও সহায়িকা নিয়োগ ২০২৩, archive list.

  • September 2024
  • August 2024
  • February 2024
  • January 2024
  • December 2023
  • November 2023
  • October 2023
  • September 2023
  • August 2023
  • February 2023
  • January 2023
  • December 2022
  • November 2022
  • October 2022
  • September 2022
  • August 2022

এটি একটি এডুকেশনাল ব্লগ, পড়াশোনা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য প্রদান করাই হলো আমাদের মূল লক্ষ্য।

Contact us: [email protected]

All Rights Reserved © Kolom

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জীবনী | Netaji Subhas Chandra Bose Biography In Bengali

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর 126 তম জন্মদিন রচনা ও জীবনী (Netaji Subhas Chandra Bose Biography In Bengali pdf)

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জীবনী-Netaji Subhas Chandra Bose Biography In Bengali

ভারত মাতার এই পবিত্র ভূমিতে অনেক বীর এবং মহান বক্তিরা জন্ম নিয়েছেন এবং তাঁদের মধ্যেই অন্যতম একজন হলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। আমাদের স্বাধীনতার পেছনে এই বীর এবং মহান বক্তিটির কতটা অবদান রয়েছে তা আমরা সকলেই জানি। এই চলতি বছরে আমরা তাঁর ১২৬ তম জন্ম বার্ষিকী পালন করতে চলেছি। এবং সেই কারণেই আজকের এই পোস্টে আমরা আপনাদের জন্য নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জীবনী নিয়ে এসেছি। তবে সবার প্রথমে তাঁর জীবনীটি সংক্ষেপে একটি টেবিলের মাধ্যমে দেখেনি।

সুভাষচন্দ্র বসু
নেতাজি
1. ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম একজন সংগ্রামী।
2. আজাদ হিন্দ ফৌজের সংগঠক ও সর্বাধিনায়ক।
3. রাজনীতিবিদ।
4. সিভিল সার্ভিস অফিসার।
জানকীনাথ বসু
প্রভাবতী বসু
চিত্তরঞ্জন দাশ
২৩-শে জানুয়ারি, ১৮৯৭
ওড়িশার কটক শহরে
ব্যাচেলর অফ আর্টস (B.A)
1. র‍্যাভেনশো কলেজিয়েট স্কুল, কটক, ওড়িশা, ভারত।
2. প্রোটেস্ট্যান্ট ইউরোপীয় স্কুল।
1. প্রেসিডেন্সি কলেজ, কলকাতা
2. স্কটিশ চার্চ কলেজ
3. ফিটজউইলিয়াম কলেজ
1. “তোমরা আমাকে রক্ত দাও আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব”
2. “দিল্লি চলো”
ভারতীয়
হিন্দু ধর্ম
বাঙালি
১৯৪৫ সালের ১৮-ই আগস্ট (মনে করা হয়)

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর প্রথম জীবন

সুভাষচন্দ্র বসু ১৮৯৭ খ্রিষ্টাব্দের ২৩ জানুয়ারি পরাধীন ভারতের ওড়িশা রাজ্যের কটকে শহরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তাঁর পিতার নাম জানকীনাথ বসু এবং তাঁর মাতার নাম প্রভাবতী বসু। তিনি ছিলেন তাঁর মা বাবার নবম সন্তান।

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর শিক্ষা জীবন

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু পড়াশোনার দিকথেকে প্রচন্ড মেধাবী ও পারদর্শী ছিলেন। তিনি ১৯০২ সালে কটক শহরের প্রোটেস্ট্যান্ট ইউরোপীয় স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা গ্রহণ করেন। এর পর তিনি ১২ বছর বয়সে কটক শহরের রাভেনশ কলেজিয়েট স্কুলে ভর্তি হন। এরপর তিনি উচ্চ শিক্ষা অর্জনের উদ্যেশে ১৯১৩ সালে কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজে ভর্তি হন এবং এখান থেকে তিনি দর্শনে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।

এছাড়াও তিনি ইন্ডিয়ান সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় ভালো নম্বর পেয়ে IAS হিসাবে নির্বাচত হয়েছিলেন, কিন্তু জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ড দেখে তাঁর মন খারাপ হয়ে যায় এবং তিনি ১৯২১ সালে এই চাকরি থেকে পদত্যাগ করে দেন।

Also Read:- শুভ প্রজাতন্ত্র দিবসের শুভেচ্ছা বার্তা

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর রাজনৈতিক জীবন

১৯২১ সালে নেতাজি, গান্ধীজির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং গান্ধীজির নির্দেশ অনুযায়ী তিনি ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সংঙ্গে যুক্ত হয়ে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাসের সঙ্গে কাজ শুরু করেন। কিন্তু পরে কিছু মতভেদের কারণে নেতাজি ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের অভ্যন্তরে নিখিল ভারত ফরওয়ার্ড ব্লক প্রতিষ্ঠিত করেন। তবে কিছু দিন পরে সুভাষকে কংগ্রেস থেকে বহিষ্কার করা হয় ফলে ফরোয়ার্ড ব্লক একটি স্বাধীন দলে পরিণত হয়। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু মূলত এই দলের মাধ্যমেই স্বাধীনতা সংগ্রামকে তীব্রতর করেছিলেন।

স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর অবদান

নিখিল ভারত ফরওয়ার্ড ব্লকের তীব্রতাকে কমানোর জন্য ব্রিটিশ সরকার নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর সঙ্গে আরো অনেক সংগ্রামীকে কারারুদ্ধ করে ছিলো। ব্রিটিশ সরকারকে তাকে মুক্তি দিতে বাধ্য করার জন্য, নেতাজি জেলে আমরণ অনশন শুরু করেন। ফলে ব্রিটিশ সরকার তাঁকে গৃহবন্দী রাখার নির্দেশ দেন। এরপর ১৯৪১ সালে সুভাষ তার বাড়ি থেকে পালিয়ে আফগানিস্তান হয়ে জার্মানিতে পৌঁছে যান। এবং সেখান থেকে তিনি জার্মানি ও জাপানের কাছে ভারত থেকে ব্রিটিশ রাজ দূর করার জন্য সাহায্যের আবেদন করেন। এরপর তিনি ১৯৪৩ সালে জার্মানি থেকে সিঙ্গাপুরে আসেন এবং আজাদ হিন্দ ফৌজ গঠন করেন এবং স্লোগান দেন যে, “ তোমরা আমাকে রক্ত ​​দাও, আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব “। আজাদ হিন্দ ফৌজ ও “ দিল্লি চলো ” স্লোগানের সাথে তিনি ভারতীয় ঔপনিবেশিক সরকারকে ওপর আক্রমণ করে দেন।

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মৃত্যু

এটা মনে করা হয় যে তিনি ১৮ আগস্ট ১৯৪৫ সালে তাইওয়ানে একটি বিমান দুর্ঘটনায় মারা যান কিন্তু তার মৃত্যুর কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি। নেতাজি সুভাষ চন্দ্রের মৃত্যু এখনও বিতর্কের বিষয়।

Netaji Subhas Chandra Bose Biography In Bengali pdf

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু জীবনী বাংলা pdf টি ডাউনলোড করতে নিচের লিংকটিতে ক্লিক করুন।

সচরাচর জিজ্ঞাস্য প্রশ্ন (FAQ)

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ছদ্মনাম কি ছিল?

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ছদ্মনাম ছিল অরল্যান্ডো মাজোট্টা ।

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর বাবার নাম কি?

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর বাবার নাম জানকীনাথ বসু ছিল।

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মায়ের নাম কি?

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মায়ের নাম ছিল প্রভাবতী বসু।

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মস্থান কোথায়?

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মস্থান ভারতের ওড়িশা রাজ্যের কটকে শহরে।

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মবার্ষিকীকে কোন দিবস হিসাবে পালন করা হয় ?

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মবার্ষিকীকে জাতীয় পরাক্রম দিবস হিসাবে পালন করা হয়।

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর স্লোগান কি ছিল?

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর সেরা দুটি স্লোগান হলো 1. “তোমরা আমাকে রক্ত দাও আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব” 2. “দিল্লি চলো”।

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু কবে মারা গিয়েছিলেন ?

এটা মনে করা হয় যে ১৮ আগস্ট ১৯৪৫ সালে তাইওয়ানে একটি বিমান দুর্ঘটনায় নেতাজি সুভাষ চন্দ্র মারা যান।

Leave a Comment Cancel reply

Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.

WB Study : পরীক্ষা প্রস্তুতির সেরা ঠিকানা

  • বাংলা
  • ইংরেজি
  • জীবন বিজ্ঞান
  • পদার্থ বিজ্ঞান
  • ইতিহাস
  • ভূগোল
  • পরিবেশ বিদ্যা
  • সাধারণ জ্ঞান
  • অর্থনীতি
  • রাষ্ট্রবিজ্ঞান
  • কৃষি
  • চাকরির খবর
  • সিলেবাস
  • প্রশ্নপত্র
  • এডমিট কার্ড
  • রেজাল্ট
  • উত্তর পত্র
  • সমকালীন তথ্য
  • সরকারি সেবা
  • পড়াশোনার খবর
  • ছন্দ ও স্ট্যাটাস
  • ক্যালেন্ডার
  • ইসলামিক পোস্ট
  • শিশুদের নাম
  • ঈদের কালেকশন
  • কল করুন
  • যোগাযোগ
  • হোমপেজ
  • জীবনী

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু জীবনী বাংলা pdf || নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু রচনা

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর রচনা বাংলায় – Netaji Subhas Chandra Bose Biography in Bengali

ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় নেতাজি সুবাস চন্দ্র বসু ছিলেন ভারতের অন্যতম বিশিষ্ট স্বাধীনতা সংগ্রামী এবং একজন রাজনৈতিক নেতা। তিনি 23 জানুয়ারী, 1897, ভারতের ওড়িশা রাজ্যের কটকে জন্মগ্রহণ করেন।

Netaji Subhas Chandra Bose Biography

বসু তার নিজ শহরে শিক্ষা শুরু করেন, যেখানে তিনি প্রোটেস্ট্যান্ট ইউরোপীয় স্কুলে পড়াশোনা করেন। তিনি একজন উজ্জ্বল ছাত্র ছিলেন এবং 1913 সালে তিনি উড়ন্ত রঙের সাথে ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। এরপর তিনি কটকের র‌্যাভেনশ কলেজে পড়তে যান। 1914 সালে, তিনি ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হন এবং বৃত্তি লাভ করেন। এরপর তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন এবং স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। 1918 সালে দর্শনে। তিনি তাঁর ব্যাচের শীর্ষ ছাত্র ছিলেন এবং তাঁর সহপাঠীদের মধ্যে যতীন্দ্র নাথ দাস এবং ভগৎ সিং ছিলেন।

স্নাতক শেষ করার পর, বোস ইন্ডিয়ান সিভিল সার্ভিস (ICS) এর জন্য নির্বাচিত হন কিন্তু তিনি 1921 সালের এপ্রিলে তার পদ থেকে পদত্যাগ করেন এবং ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসে যোগদানের জন্য ভারতে ফিরে আসেন। তিনি বেঙ্গল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক নিযুক্ত হন এবং চিত্ত রঞ্জন দাসের সাথে কাজ করেন, একজন বিশিষ্ট আইনজীবী এবং ভারতীয় স্বাধীনতা কর্মী।

বোস দ্রুত কংগ্রেসের পদে উন্নীত হন এবং জওহরলাল নেহেরু ও মহাত্মা গান্ধীর ঘনিষ্ঠ সহযোগী হয়ে ওঠেন। যাইহোক, তিনি স্বাধীনতা আন্দোলনে তাদের অহিংস পদ্ধতির সাথে দ্বিমত পোষণ করেন এবং পরিবর্তে আরও আক্রমণাত্মক এবং জঙ্গি পদ্ধতির পক্ষে কথা বলেন। এটি বোস এবং কংগ্রেস নেতৃত্বের মধ্যে ফাটল সৃষ্টি করে এবং অবশেষে 1939 সালে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।

কংগ্রেস থেকে বহিষ্কৃত হওয়ার পর, বসু 1939 সালে তার নিজস্ব রাজনৈতিক দল ফরওয়ার্ড ব্লক গঠন করেন। ফরওয়ার্ড ব্লক ছিল কংগ্রেস সমাজতান্ত্রিক দল, কৃষক প্রজা পার্টি এবং বিপ্লবী সমাজতান্ত্রিক দল সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের একটি জোট। তিনি ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের জন্য সমর্থন জোগাড় করতে থাকেন এবং 1941 সালে তিনি ব্রিটিশদের দ্বারা গ্রেফতার হন এবং এক বছরের জন্য কারাগারে বন্দী হন।

নাম সুভাষচন্দ্র বসু
জন্ম ২৩শে জানুয়ারি ১৮৯৭
জন্মস্থান কটক, ওড়িশা
পিতার নাম জানকীনাথ বসু
মাতার নাম প্রভাবতী দেবী
স্ত্রীর নাম এমিলি শেঙ্কল
জাতীয়তা ভারতীয়
রাজনৈতিক দল ফরওয়ার্ড ব্লক
মৃত্যু অমীমাংসিত

1942 সালে, বসু গৃহবন্দিত্ব থেকে পালিয়ে যান এবং জার্মানিতে যান, যেখানে তিনি অন্যান্য ভারতীয় জাতীয়তাবাদী নেতা এবং জার্মান সরকারের সাথে দেখা করেন। জার্মানদের দ্বারা তাকে আর্থিক ও সামরিক সহায়তা দেওয়া হয়েছিল এবং 1943 সালে, তিনি জাপান ভ্রমণ করেন, যেখানে তিনি ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল আর্মি (INA) গঠন করেন। INA ছিল ভারতীয় সৈন্যদের সমন্বয়ে গঠিত একটি সামরিক বাহিনী যারা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানিদের হাতে বন্দী হয়েছিল।

জাপানিদের সহায়তায়, বোস এবং আইএনএ 1944 সালে ব্রিটিশ-নিয়ন্ত্রিত ভারতে একটি ব্যর্থ আক্রমণ শুরু করে। পরাজয় সত্ত্বেও, বোসের প্রচেষ্টা স্বাধীনতা আন্দোলনে গভীর প্রভাব ফেলেছিল। তার আক্রমণাত্মক কৌশল এবং সামরিক কৌশল অনেক ভারতীয়কে স্বাধীনতার লড়াইয়ে যোগ দিতে অনুপ্রাণিত করেছিল এবং তিনি ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের প্রতীক হয়ে ওঠেন।

18 আগস্ট, 1945 সালে, জাপানের তাইহুক বিমান বন্দর থেকে যাত্রা করার পর নেতাজীর আর কোনো খবর পাওয়া যায়নি। তাই অনেক দেশবাসীর মধ্যে মৃত্যু সংবাদ নিয়ে অনেক মতবিরোধ রয়েছে। জাপান সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয় বিমান দুর্ঘটনা ওনার মৃত্যু হয়েছে। কেউ বলেন নেতাজী জীবিত তাকে সাইবেরিয়ার জেলে বন্দি করে রাখা হয়েছে। নেতাজীর মৃত্যু সম্বন্ধে ভারত সরকার কমিশন গঠন করলেও নেতাজীর মৃত্যু রহস্য যে তিমিরে ছিল সে বিন্দুতে রয়ে গেছে। তাই আমাদের কাছে নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু চির অমর নিরুদেশের পথিক।

বোসকে ভারতে একজন বীর হিসেবে স্মরণ করা হয় এবং প্রায়শই তাকে "নেতাজি" (হিন্দিতে যার অর্থ "সম্মানিত নেতা") হিসেবে উল্লেখ করা হয়, তার সমর্থকদের দ্বারা তাকে দেওয়া একটি উপাধি। তাঁর উত্তরাধিকার ভারতীয়দের অনুপ্রাণিত করে চলেছে এবং তিনি দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব হিসাবে বিবেচিত হন। ভারত সরকার বোস সম্পর্কিত অনেক নথি প্রকাশ করেছে, তবে তার মৃত্যু সম্পর্কিত অনেক প্রশ্ন এখনও একটি রহস্য রয়ে গেছে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

WB স্টাডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

জনপ্রিয় ব্লগ ক্যাটাগরি

  • Question Paper
  • মাধ্যমিক পরীক্ষা
  • Current Affairs in Bengali
  • Kolkata Police
  • রাজ্য
  • FOOD SI EXAM
  • Syllabus সিলেবাস
  • প্রকল্প
  • Mathematics
  • Primary TET
  • Reasoning রিজনিং
  • পুরস্কার
  • ভৌত বিজ্ঞান
  • রসায়ন বিজ্ঞান
  • স্কলারশিপ

সর্বশেষ প্রকাশিত পোস্ট সমূহ

জনপ্রিয় লিংকসমূহ.

  • WBJEE ANM GNM Result 2024

WBSTUDYgNews

Bangla eBooks pdf

Collect bengali story books, netaji sangha o prasangha by narendra narayan chakrabarty bangla ebook pdf.

Netaji Sangha O Prasangha by Narendra Narayan Chakrabarty Bangla ebook pdf ebook name- Netaji Sangha O Prasangha (নেতাজী সঙ্গ ও প্রসঙ্গ) part- 1, 2 and 3 Writer- Narendra Narayan Chakrabarty Book genre- Biography ebook File format- PDF Quality- best, without any watermark

Netaji Sangha O Prasangha by Narendra Narayan Chakrabarty pdf

Subhash Chandra Bose (born January 23, 1897 – died:?) Is one of the most memorable leaders of the Indian independence struggle. He is better known as Netaji. This great person was the most colorful figure in the history of India’s freedom struggle. Going out of the country and organized a huge army with the help of foreign powers, he directly attacked the British army in India. Due to this attack, the British could not keep India under their control for a long time after the Second World War.

  • Readers can collect also the pdf of > Ami Subhash Bolchi (3 parts together) by Shailesh Dey

Netaji Subhas Chandra’s role in the history of India’s freedom struggle is very important. He strengthened national unity by uniting all the people of the country irrespective of religion and caste. He created a wonderful inspiration of love and loyalty among the soldiers of the Azad Hind Fauj. What will be the administration and economic planning of the country even after the country becomes independent, he had planned that too. But the next event is just history.

In “Netaji: Sangha O Prasangha”, the author presents the picture of his leader to the reader with utmost devotion. His unwavering faith in the leader’s ideal and his passion for personality inspired his writing. The writer had the opportunity to get to know Subhash intimately. Those who have never met Subhash directly, if they can enjoy the company of Subhash through this book, if they can realize the influence of his great personality in their lives, then it will be the greatest reward of the author. There is a lot of unknown information about the life and work of Subhas in three volumes of this large book.

Netaji Sangha O Prasangha, part-1 Pages- 402 PDF Size- 26MB Quality- Best Collect the pdf or Read it online

Netaji Sangha O Prasangha, part-2 Pages- 198 PDF Size- 12MB Quality- Best Collect the pdf or Read it online

Netaji Sangha O Prasangha, part-3 Pages- 252 PDF Size- 14MB Quality- Best Collect the pdf or Read it online

Dear readers, collect these precious collections- ‘ Netaji Sangha O Prasangha by Narendra Narayan Chakrabarty ‘ Bangla ebook pdf.

Share this:

Leave a reply cancel reply.

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Notify me of follow-up comments by email.

Notify me of new posts by email.

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু বায়োগ্রফি | Netaji Subhas Chandra Bose Biography in Bengali

Netaji Subhas Chandra Bose Biography in Bengali

আপনি কি নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জীবনী সম্পর্কে জানতে চাই ? Netaji Subhas Chandra Bose Biography In Bengali| তাহলে আপনি সঠিক জায়গাতেই এসেছেন দেখে নেওয়া যাক আপনি নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জীবনী সম্পর্কে কি কি জানতে পারবেন ?

Netaji Subhas Chandra Bose Biography in Bengali



Education Life



নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু কে ছিলেন- Who is Netaji Subhas Chandra Bose

ভারত মায়ের এই মাটিতে অনেক মহান ব্যক্তিরা জন্মগ্রহণ করেছেন| তাদের মধ্যে অন্যতম আমাদের বীর সুভাষচন্দ্র বসু আমাদের ভারতের ওড়িশার কটক শহরে জন্মগ্রহণ করেন| আমাদের ভারত স্বাধীন হওয়ার পিছনে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর অবদান কতটা রয়েছে তা ভারতীয় আমরা সকলেই জানি

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর পরিচয়

নাম
পিতাজানকীনাথ বসু
মাতাপ্রভাবতী বসু
দাম্পত্যসঙ্গীএমিলি শেঙ্কেল
জন্মতারিখ২৩-শে জানুয়ারি, ১৮৯৭
জন্মস্থানওড়িশার কটক শহরে
কে ছিলেন1 .আজাদ হিন্দ ফৌজের সংগঠক ও সর্বাধিনায়ক।
2. রাজনীতিবিদ।
3. সিভিল সার্ভিস অফিসার
বিদ্যালয়1.র‍্যাভেনশো কলেজিয়েট স্কুল, কটক, ওড়িশা, ভারত।
2. প্রোটেস্ট্যান্ট ইউরোপীয় স্কুল।
বিশ্ববিদ্যালয়1. প্রেসিডেন্সি কলেজ, কলকাতা
2. স্কটিশ চার্চ কলেজ
3. ফিটজউইলিয়াম কলেজ
উপাধিনেতাজি
জাতীয়তা ভারতীয়
ধর্মহিন্দু ধর্ম
জাতিবাঙালি
নাগরিকত্বভারতীয়
মৃত্যু১৯৪৫ সালের ১৮-ই আগস্ট (মনে করা হয়)

আরো পড়ুন – স্বামী বিবেকানন্দের জীবনী

আরো পড়ুন – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবনী

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ছোটবেলা

নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু ২৩-শে জানুয়ারি, ১৮৯৭ সালে কটকে (উড়িষ্যা) জানকীনাথ বসু এবং প্রভাবতী দেবীর ঘরে জন্মগ্রহণ করেন। আট ভাই ও ছয় বোনের মধ্যে সুভাষ ছিলেন নবম সন্তান। তার পিতা জানকীনাথ বসু কটকের একজন ধনী ও সফল আইনজীবী ছিলেন এবং “রায় বাহাদুর” উপাধি পেয়েছিলেন।

সুভাষ চন্দ্র বসু একজন মেধাবী ছাত্র ছিলেন। তিনি বিএ পাশ করেছেন। কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে দর্শনে। তিনি স্বামী বিবেকানন্দের শিক্ষার দ্বারা গভীরভাবে প্রভাবিত ছিলেন এবং একজন ছাত্র হিসাবে তাঁর দেশপ্রেমিক উদ্যোগের জন্য পরিচিত ছিলেন।

একটি ঘটনায় যেখানে বোস তার অধ্যাপককে (E.F. Otten) তার বর্ণবাদী মন্তব্যের জন্য মারধর করেন, সরকারের চোখে তাকে একজন বিদ্রোহী-ভারতীয় হিসেবে কুখ্যাতি এনে দেন। তার বাবা চেয়েছিলেন নেতাজি একজন সরকারি কর্মচারী হন এবং তাই তাকে ভারতীয় সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য ইংল্যান্ডে পাঠান।

বোস ইংরেজিতে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে চতুর্থ স্থানে ছিলেন। কিন্তু স্বাধীনতা আন্দোলনে অংশগ্রহণের জন্য তার তাগিদ তীব্র ছিল এবং ১৯২১ সালের এপ্রিল মাসে, তিনি কাঙ্ক্ষিত ভারতীয় সিভিল সার্ভিস থেকে পদত্যাগ করেন এবং ভারতে ফিরে আসেন। ১৯২১ সালের ডিসেম্বরে, প্রিন্স অফ ওয়েলসের ভারত সফর উপলক্ষে উদযাপন বয়কটের আয়োজন করার জন্য বোসকে গ্রেফতার করা হয় এবং কারারুদ্ধ করা হয়।

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর শিক্ষাজীবন

নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু ১৯০২ সালে কটকের একটি প্রোটেস্ট্যান্ট ইউরোপীয় স্কুলে (বর্তমানে স্টুয়ার্ট হাই স্কুল) অধ্যয়ন করেন এবং তারপরে র্যাভেনশ কলেজিয়েট স্কুলে স্থানান্তরিত হন। তিনি ১৯১৩ সালে ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষায় দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেন এবং তারপরে প্রেসিডেন্সি কলেজে যান।

১৯১৬ সালে জাতীয়তাবাদী কার্যকলাপের কারণে তাকে প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে বহিষ্কার করা হয়। তারপরে, নেতাজি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কটিশ চার্চ কলেজে যোগ দেন যেখানে তিনি ১৯১৮ সালে দর্শনে স্নাতক সম্পন্ন করেন।

ছাত্রাবস্থায়, নেতাজি স্বামী বিবেকানন্দের শিক্ষা দ্বারা গভীরভাবে প্রভাবিত এবং অনুপ্রাণিত ছিলেন। ছাত্র থাকাকালীনও নেতাজি তাঁর দেশপ্রেমের জন্য পরিচিত ছিলেন।

১৯১৯ সালে, নেতাজি ভারতীয় সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য কেমব্রিজের ফিটজউইলিয়াম কলেজে যান। পরীক্ষায় ৪র্থ স্থান অধিকার করলেও তিনি ব্রিটিশ সরকারের অধীনে কাজ করতে অস্বীকার করেন।

ভারতে অশান্তির কথা শুনে তিনি ফিরে আসেন এবং বঙ্গীয় প্রাদেশিক কংগ্রেস কমিটির প্রচারের জন্য স্বরাজ পত্রিকা শুরু করেন।

নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর পরিবার

তাঁর পিতা জানকী নাথ বসু, তাঁর মা প্রভাবতী দেবী এবং তাঁর ৬ বোন এবং ৭ ভাই ছিল। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর পিতা জানকীনাথ বসু একজন উকিল ছিলেন|এবং মাতা প্রভাবতী দেবী  ছিলেন একজন বাঙালি সাহিত্যিক, গীতিকার ও শিক্ষাব্রতী। তাঁর রচিত গ্রন্থের সংখ্যা তিন শতাধিক। তিনি নারী গোয়েন্দা চরিত্র কৃষ্ণা-র নির্মাতা

নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর স্ত্রী

সুভাষ চন্দ্র বসু এমিলি শেঙ্কেল নামে এক মহিলাকে বিয়ে করেছিলেন। বিপ্লবী পুরুষের স্ত্রী সম্পর্কে তেমন কিছু জানা যায় না। তবে তার একটি মেয়ে আছে যার নাম অনিতা বসু ! তিনি সর্বদা তার ব্যক্তিগত জীবনকে খুব ব্যক্তিগত রাখতে পছন্দ করতেন এবং কখনও পাবলিক ফোরামে বেশি কথা বলেননি। তিনি খুব বেশি পারিবারিক মানুষ ছিলেন না এবং তার সমস্ত সময় এবং মনোযোগ দেশের জন্য উত্সর্গ করেছিলেন। তার একমাত্র লক্ষ্য ছিল একদিন স্বাধীন ভারত দেখা! তিনি দেশের জন্য বেঁচে ছিলেন এবং এর জন্য মারাও গেছেন!

স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর অবদান

সুভাষ চন্দ্র বসু মহাত্মা গান্ধীর প্রভাবে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসে (আইএনসি) যোগদান করেন এবং “স্বরাজ” নামে সংবাদপত্র শুরু করেন যার অর্থ স্ব-শাসন যা রাজনীতিতে তার প্রবেশকে চিহ্নিত করে এবং ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে তার ভূমিকা সবেমাত্র শুরু হয়েছে। চিত্তরঞ্জন দাস ছিলেন তাঁর গুরু।

১৯২৩ সালে, তিনি সর্বভারতীয় যুব কংগ্রেসের সভাপতি হন এবং সি আর দাস নিজেই শুরু করা “ফরওয়ার্ড” পত্রিকার সম্পাদক হন। সেই সময়ে কলকাতার মেয়রও নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। তিনি নেতৃত্বের মনোভাব অর্জন করেছিলেন এবং খুব শীঘ্রই INC-তে শীর্ষে উঠেছিলেন।

১৯২৮ সালে, মতিলাল নেহেরু কমিটি ভারতে ডোমিনিয়ন স্ট্যাটাস দাবি করেছিল কিন্তু জওহরলাল নেহেরুর সাথে সুভাষ চন্দ্র বসু জোর দিয়েছিলেন যে ব্রিটিশদের কাছ থেকে ভারতের সম্পূর্ণ স্বাধীনতা ছাড়া আর কিছুই সন্তুষ্ট হবে না। গান্ধীজি বোসের পথের তীব্র বিরোধিতা করেছিলেন, যিনি হুক বা কুটিল দ্বারা স্বাধীনতা চেয়েছিলেন, কারণ তিনি নিজেই অহিংসার দৃঢ় বিশ্বাসী ছিলেন।

১৯৩০ সালে আইন অমান্য আন্দোলনের সময় তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল কিন্তু ১৯৩১ সালে গান্ধী-আরউইন চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার সময় অন্যান্য বিশিষ্ট নেতাদের সাথে তার সম্পর্ক ছিল। ১৯৩৮ সালে, তিনি INC-এর হরিপুরা অধিবেশনে সভাপতি নির্বাচিত হন এবং ১৯৩৯ সালে ত্রিপুরী অধিবেশনে ডক্টর পি. সীতারামিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পুনরায় নির্বাচিত হন যিনি নিজে গান্ধী সমর্থিত ছিলেন।

তিনি প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরুর সময় কঠোর মান বজায় রেখেছিলেন এবং ছয় মাসের মধ্যে ব্রিটিশদের কাছ থেকে ভারতের পূর্ণ স্বাধীনতা দাবি করেছিলেন। তিনি কংগ্রেসের অভ্যন্তর থেকে তীব্র আপত্তির সম্মুখীন হন যার ফলে তিনি INC থেকে পদত্যাগ করেন এবং “ফরওয়ার্ড ব্লক” নামে আরও প্রগতিশীল দল গঠন করেন।

তিনি বিদেশের যুদ্ধে ভারতীয় পুরুষদের ব্যবহার করার বিরুদ্ধে একটি গণআন্দোলন শুরু করেন যা প্রচুর সমর্থন এবং কণ্ঠ পেয়েছিলেন যার ফলে তাকে কলকাতায় গৃহবন্দী করা হয়েছিল কিন্তু তিনি 1941 সালের জানুয়ারিতে ছদ্মবেশে বাড়ি ছেড়ে আফগানিস্তান হয়ে জার্মানিতে পৌঁছান এবং তাদের সাথে দেখা করেন। সেখানে নাৎসি নেতা ব্রিটিশদের ভারত থেকে তাড়ানোর জন্য তাদের কাছে সাহায্য চান। তিনি জাপানের কাছেও সাহায্য চেয়েছেন। তিনি “শত্রুর শত্রু বন্ধু” এই দর্শনের পূর্ণ ব্যবহার করেছিলেন।

নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর মৃত্যু ও অদৃশ্য হওয়ার ঘটনা

১৯৪৩ সালের জুলাই মাসে, তিনি সিঙ্গাপুরে আসেন এবং রাশ বিহারী বসু দ্বারা শুরু হওয়া ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের লাগাম গ্রহণ করেন এবং আজাদ হিন্দ ফৌজ সংগঠিত করেন যা ভারতীয় জাতীয় সেনাবাহিনী নামেও পরিচিত। এই সময়েই তাকে “নেতাজি” বলে সমাদৃত করা হয়েছিল যার দ্বারা তাকে আজও সাধারণভাবে উল্লেখ করা হয়।

পরবর্তী কয়েকটি ঘটনা তার দ্বারা তাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে ঝাপসা হয়ে আছে। আইএনএ আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জকে মুক্ত করে কিন্তু বার্মায় পৌঁছালে খারাপ আবহাওয়া, সেইসাথে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপান ও জার্মানির পরাজয় তাকে পিছু হটতে বাধ্য করে। তিনি 18 আগস্ট, 1945 তারিখে তাইপেই, তাইওয়ানে একটি বিমান দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছিলেন বলে গুজব রয়েছে। যদিও এটি ব্যাপকভাবে বিশ্বাস করা হয় যে তার পরেও তিনি বহু বছর বেঁচে ছিলেন।

সুভাষ চন্দ্র বসুর জীবন ছিল বিস্ময় ও বিপজ্জনক দুঃসাহসিকতায় পূর্ণ। বেদান্তুর ওয়েবসাইটে আকর্ষণীয় তথ্য, জীবন এবং কীভাবে তিনি ভারতকে স্বাধীনতার দিকে নিয়ে গিয়েছিলেন সে সম্পর্কে আরও জানুন। এছাড়াও আপনি অ্যাপটি ডাউনলোড করতে পারেন এবং প্রতিটি বিষয়ে বিনামূল্যে অধ্যয়ন সামগ্রী পেতে পারেন যা আপনি যে কোনও সময়, যে কোনও জায়গায় অ্যাক্সেস করতে পারেন!

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর সেরা কিছু বাণী

স্বাধীনতা দেওয়া হয় না – নেওয়া হয় নেতাজি সুভাষচন্দ্র
আলোচনার মাধ্যমে ইতিহাসের কোনো বাস্তব পরিবর্তন কখনোই সাধিত হয়নি। নেতাজি সুভাষচন্দ্র
রাজনৈতিক দর কষাকষির গোপন রহস্য হল আপনি যা আছেন তার চেয়ে বেশি শক্তিশালী দেখতে। নেতাজি সুভাষচন্দ্র
তোমরা আমায় রক্ত দাও আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব নেতাজি সুভাষচন্দ্র

সুভাষচন্দ্র বসুকে নেতাজি উপাধি দেন কে?

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

নেতাজি স্লোগান কি?

তোমরা আমায় রক্ত দাও আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব (‘Give me blood and I promise you freedom’)

নেতাজি কতবার জেলে গিয়েছিলেন?

নেতাজির ভালো বন্ধু কে.

ভগত রাম তালবার

নেতাজিকে শেষ কবে ভারতে দেখা গিয়েছিল?

১৯৪০ সালে কলকাতায় গৃহবন্দিত্ব থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় থেকে ভারতে গুজব ছড়িয়ে পড়েছিল যে তিনি বেঁচে আছেন কি না এবং পরবর্তীতে তিনি কোথায় আছেন। ছিল এবং সে কি করছিল

আমরা সত্যিই খুবই ভাগ্যবান যে আমাদের ভারতবর্ষে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মতন এক মহান ব্যক্তি জন্মগ্রহণ হয়েছে| আমাদের ভারত স্বাধীন হওয়ার পিছনে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর অবদান আমরা কখনো ভুলতে পারিনা| তাই সমস্ত নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর প্রেমিকদের জানাই অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনারা সময় দিয়ে নেতাজি সুভাষচন্দ্র সম্পর্কে জানলে অনেক কিছু|আশাকরি নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর বায়োগ্রাফি আপনাদের ভাল লেগেছে ভালো লেগেছে কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন|

4 thoughts on “নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু বায়োগ্রফি | Netaji Subhas Chandra Bose Biography in Bengali”

  • Pingback: বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় Biography in bengali
  • Pingback: স্বামী বিবেকানন্দ জীবনী-Swami Vivekananda Biography in Bengali
  • Pingback: ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর বায়োগ্রফি | ishwar chandra vidyasagar biography in bengali - bengalilipi

Mind blowing

Leave a Comment Cancel reply

Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.

Subhas Chandra Bose

January 23,1897
Cuttack, Orissa
Unknown
UnknownNetaji5'8.5"Indian independence movement activism and reorganizing and leading the Indian National ArmyEmilie SchenklAnita Bose Pfaff

Born
Died
Cause of death
NationalityIndian
Title
Height
Known for
Spouse(s)
Children

Subhas Chandra Bose ( Bengali : সুভাষ চন্দ্র বসু , Oriya- ସୁଭାଷ ଚନ୍ଦ୍ର ବୋଷ; (January 23, 1897 - August 18, 1945, although this is disputed ), generally known as Netaji (literally, "Respected Leader"), was one of the most prominent and highly respected leaders of the Indian independence movement against the British Raj . Bose was elected president of the Indian National Congress for two consecutive terms but resigned from the post following ideological conflicts with Mahatma Gandhi . Bose believed that Gandhi's tactics of non-violence would never be sufficient to secure India's independence, and advocated violent resistance. He established a separate political party, the All India Forward Bloc and continued to call for the full and immediate independence of India from British rule. He was imprisoned by the British authorities eleven times. His stance did not change with the outbreak of the Second World War , which he saw as an opportunity to take advantage of British weakness. At the outset of the war, he fled from India and traveled to the Soviet Union , Germany and Japan , seeking an alliance with the aim of attacking the British in India. With Japanese assistance, he re-organized and later led the Indian National Army, formed from Indian prisoners-of-war and plantation workers from Malaya, Singapore and other parts of Southeast Asia , against British forces. With Japanese monetary, political, diplomatic and military assistance, he formed the Azad Hind Government in exile and regrouped and led the Indian National Army in battle against the allies at Imphal and in Burma.

  • 1 Early life
  • 2 Actions during the Second World War
  • 3.1 Assassination attempts
  • 3.2 In Germany
  • 4.1 Indian National Army [INA]
  • 5 Disappearance and alleged death of Bose
  • 6 Mysterious monk
  • 7 Political views
  • 11 References
  • 12 External links

His political views and the alliances he made with Nazi and other militarist regimes at war with Britain have been the cause of arguments among historians and politicians. Some have accused him of Fascist sympathies, while others in India have been more sympathetic towards the realpolitik that guided his social and political choices. He is believed to have died on August 18, 1945, in a plane crash over Taiwan . However, contradictory evidence exists regarding his death in the accident. His legacy rests alongside those of many men and women who resorted to arms in the anti-colonial struggles of the twentieth century. The desire for freedom is strong among people and self-determination is a recognized political right. The colonial powers did not hesitate to use violence to suppress independence movements. The British in India, even in response to non-violent protest, arrested and imprisoned people, which represents a type of violence. Rightly or wrongly, Bose and many others have turned to war to claim their freedom, so strong is the human desire to live in states that control their own destiny. He was far from being a selfish man or a man who spent his life aspiring to personal ambitions. Rather, in the way he thought appropriate, he strove to free his nation from colonial rule.

Subhas Chandra Bose was born January 23, 1897 to an affluent Bengali family in Cuttack, Orissa in India . His father, Janakinath Bose, was a public prosecutor who believed in orthodox nationalism, and later became a member of the Bengal Legislative Council. Bose was educated at Ravenshaw Collegiate School, Cuttack, Scottish Church College, Calcutta and Fitzwilliam College at Cambridge University . He was greatly influenced by the teachings of Swami Vivekananda , and adored him as his spiritual guru .

In 1920, Bose took the Indian Civil Services entrance examination and was placed fourth with highest marks in English. However, he resigned from the prestigious Indian Civil Service in April 1921 despite his high ranking in the merit list, and went on to become an active member of India's independence movement. He joined the Indian National Congress , and was particularly active in its youth wing.

Bose was attracted by the Non-Cooperation Movement launched by Mahatma Gandhi . So he went to Gandhi and offered himself to work for the Indian National Congress. Gandhi sent him to Calcutta to work under Chittaranjan Das. He therefore returned to Calcutta to work under Chittaranjan Das, the Bengali freedom fighter and co-founder (with Motilal Nehru) of the Swaraj Party.

In 1921, Bose organized a boycott of the celebrations that marked the visit of the Prince of Wales to India, which led to his imprisonment. In April 1924, Bose was elected to the post of Chief Executive Officer of the newly constituted Calcutta Corporation, In October that year, Bose was arrested on suspicion of terrorism . At first, he was kept in Alipore Jail and later he was exiled to Mandalay in Burma (where earlier Bal Gangadhar Tilak had spent 6 years in prison ). On January 23, 1930, Bose was once again arrested for leading an "independence procession," protesting against British rule in India. After his release from jail on September 25, he was elected as the Mayor of the City of Calcutta.

Over a span of 20 years, Bose was incarcerated eleven times by the British, either in India or in Burma . During the mid 1930s, he was exiled by the British from India to Europe, where he championed India's cause and aspiration for self-rule before gatherings and conferences.

After his father's death, the British authorities allowed him to land at Calcutta's airport only for the religious rites, which would be followed by his swift departure. He traveled extensively in India and in Europe before stating his political opposition to Gandhi. During his stay in Europe from 1933 to 1936, he met several European leaders and thinkers. He came to believe that India could achieve political freedom only if it had political, military and diplomatic support from outside, and that an independent nation necessitated the creation of a national army to secure its sovereignty . Subhash Chandra Bose married Emilie Schenkl, an Austrian born national, who was his secretary, in 1937. According to Schenkl, she and Bose were secretly married in Bad Gastein on 26 December 1937. They had one daughter, Anita, born in 1942. Bose wrote many letters to Schenkl during the period 1934–1942, of which many have been published in the book Letters to Emilie Schenkl, edited by Sisir Kumar Bose and Sugata Bose. [1]

Bose became the president of the Indian National Congress in 1938, against Gandhi's wishes. Gandhi commented "Pattabhi's defeat is my own defeat. Anyway, Subhas Bose is not an enemy of the country." [2] Gandhi's continued opposition led to the latter's resignation from the Congress Working Committee, and the possibility that the rest of the CWC would resign. In the face of this gesture of no-confidence, Bose himself resigned, and was left with no alternative but to form an independent party, the All India Forward Bloc. Bose also initiated the concept of the National Planning Committee in 1938. A reasonable measure of the contrast between Gandhi and Bose is captured in a saying attributable to him. Bose said "If people slap you once, slap them twice" while Gandhiji said, "If people slap you on one cheek, offer the other." [3] Nonetheless, Bose was an ardent admirer of Gandhi and continued to respect him, despite their differences. [4]

Actions during the Second World War

Bose advocated the approach that the political instability of war-time Britain should be taken advantage of—rather than simply wait for the British to grant independence after the end of the war (which was the view of Gandhi , Nehru and a section of the Congress leadership at the time). In this, he was influenced by the examples of Italian statesmen Giuseppe Garibaldi and Giuseppe Mazzini.

His correspondence reveals that despite his clear dislike for British subjugation, he was deeply impressed by their methodical and systematic approach and their steadfastly disciplinarian outlook towards life. In England, he exchanged ideas on the future of India with British Labour Party leaders and political thinkers like Lord Halifax, George Lansbury, Clement Attlee , Arthur Greenwood, Harold Laski, J.B.S. Haldane , Ivor Jennings, G.D.H. Cole, Gilbert Murray, and Sir Stafford Cripps. He came to believe that a free India needed Socialist authoritarianism, on the lines of Turkey 's Kemal Atatürk , for at least two decades. Bose was refused permission by the British authorities to meet Atatürk at Ankara for political reasons. It should be noted that during his sojourn in England, only the Labour Party and Liberal politicians agreed to meet with Bose when he tried to schedule appointments. Conservative Party officials refused to meet Bose or show him the slightest courtesy due to the fact that he was a politician coming from a colony, but it may also be recalled that in the 1930s leading figures in the Conservative Party had opposed even Dominion status for India . It may also be observed here that it was during the regime of the Labour Party (1945-1951), with Attlee as the Prime Minister, that India gained independence.

The Great Escape

On the outbreak of war, Bose advocated a campaign of mass civil disobedience to protest against Viceroy Lord Linlithgow's decision to declare war on India's behalf without consulting the Congress leadership. Having failed to persuade Gandhi of the necessity of this, Bose organized mass protests in Calcutta calling for the 'Holwell Monument' commemorating the Black Hole of Calcutta , which then stood at the corner of Dalhousie Square, to be removed. He was thrown in jail by the British, but was released following a seven-day hunger strike. Bose's house in Calcutta was kept under surveillance by the CBI, but their vigilance left a good deal to be desired. With two court cases pending, he felt the British would not let him leave the country before the end of the war. This set the scene for Bose's escape to Germany , via Afghanistan and the Soviet Union .

Bose escaped from under British surveillance at his house in Calcutta by disguising himself as a Pathan. On January 19 1941, accompanied by his nephew Sisir K. Bose, Bose gave his watchers the slip and journeyed to Peshawar. With the assistance of the Abwehr, he made his way to Peshawar where he was met at Peshawar Cantonment station by Akbar Shah, Mohammed Shah and Bhagat Ram Talwar. Bose was taken to the home of Abad Khan, a trusted friend of Akbar Shah's. On January 26, 1941, Bose began his journey to reach Russia through India's North West frontier with Afghanistan . For this reason, he enlisted the help of Mian Akbar Shah, then a Forward Bloc leader in the North-West Frontier Province. Shah had been out of India en route to the Soviet Union , and suggested a novel disguise for Bose to assume. Since Bose could not speak one word of Pashto, it would make him an easy target of Pashto speakers working for the British. For this reason, Shah suggested that Bose act deaf and dumb, and let his beard grow to mimic those of the tribesmen.

Supporters of the Aga Khan helped him across the border into Afghanistan where he was met by an Abwehr unit posing as a party of road construction engineers from the Organization Todt who then aided his passage across Afghanistan via Kabul to the border with Soviet Russia. Once in Russia the NKVD transported Bose to Moscow where he hoped that Russia's traditional enmity to British rule in India would result in support for his plans for a popular rising in India. However, Bose found the Soviets' response disappointing and was rapidly passed over to the German Ambassador in Moscow, Friedrich Werner von der Schulenburg. He had Bose flown on to Berlin in a special courier aircraft at the beginning of April where he was to receive a more favorable hearing from Joachim von Ribbentrop and the Foreign Ministry officials at the Wilhelmstrasse. [5]

Assassination attempts

In 1941, when the British learned that Bose had sought the support of the Axis Powers , they ordered their agents to intercept and assassinate Bose before he reached Germany. A recently declassified intelligence document refers to a top-secret instruction to the Special Operations Executive (SOE) of British intelligence department to murder Bose. In fact, the plan to liquidate Bose has few known parallels, and appears to be a last desperate measure against a man who had thrown the British Empire into a panic. [6]

netaji biography in bengali pdf

Having escaped incarceration at home by assuming the guise of a Pashtun insurance agent ("Ziaudddin") to reach Afghanistan , Bose traveled to Moscow on the passport of an Italian nobleman "Count Orlando Mazzotta." From Moscow, he reached Rome , and from there he traveled to Germany , where he instituted the Special Bureau for India under Adam von Trott zu Solz, broadcasting on the German-sponsored Azad Hind Radio. He founded the Free India Centre in Berlin, and created the Indian Legion (consisting of some 4500 soldiers) out of Indian prisoners of war who had previously fought for the British in North Africa prior to their capture by Axis forces. The Indian Legion was attached to the Wehrmacht, and later transferred to the Waffen SS. [7] Its members swore the following allegiance to Adolf Hitler and Bose: "I swear by God this holy oath that I will obey the leader of the German race and state, Adolf Hitler, as the commander of the German armed forces in the fight for India, whose leader is Subhas Chandra Bose." [8] This oath clearly arrogates control of the Indian legion to the German armed forces whilst stating Bose's overall leadership of India. He was also, however, prepared to envisage an invasion of India via the U.S.S.R. by Nazi troops, spearheaded by the Azad Hind Legion; many have questioned his judgment here, as it seems unlikely that the Germans could have been easily persuaded to leave after such an invasion, which might also have resulted in an Axis victory in the War. [9]

The lack of interest shown by Hitler in the cause of Indian independence eventually caused Bose to become disillusioned with Hitler and he decided to leave Nazi Germany in 1943. Bose had been living together with his wife Emilie Schenkl in Berlin from 1941 until 1943, when he left for south-east Asia. He traveled by the German submarine U-180 around the Cape of Good Hope to Imperial Japan (via Japanese submarine I-29 ). Thereafter, the Japanese helped him raise his army in Singapore . This was the only civilian transfer across two submarines of two different navies.

South-east Asia

Indian national army [ina].

The Indian National Army (INA) was originally founded by Capt Mohan Singh in Singapore in September 1942 with Japan's Indian POWs in the Far East. This was along the concept of—and with support of—what was then known as the Indian Independence League, headed by expatriate nationalist leader Rash Behari Bose. The first INA was however disbanded in December 1942 after disagreements between the Hikari Kikan and Mohan singh, who came to believe that the Japanese High Command was using the INA as a mere pawn and Propaganda tool. Mohan Singh was taken into custody and the troops returned to the Prisoner-of-War camp. However, the idea of a liberation army was revived with the arrival of Subhas Chandra Bose in the Far East in 1943. In July, at a meeting in Singapore, Rash Behari Bose handed over control of the organization to Subhas Chandra Bose. Bose was able to reorganize the fledging army and organize massive support among the expatriate Indian population in south-east Asia, who lent their support by both enlisting in the Indian National Army, as well as financially in response to Bose's calls for sacrifice for the national cause. At its height it consisted of some 85,000 regular troops, [10] including a separate women's unit, the Rani of Jhansi Regiment (named after Rani Lakshmi Bai) headed by Capt. Laxmi Vishwananthan, which is seen as a first of its kind in Asia.

Even when faced with military reverses, Bose was able to maintain support for the Azad Hind movement. Spoken as a part of a motivational speech for the Indian National Army at a rally of Indians in Burma on July 4, 1944, Bose's most famous quote was "Give your blood. I give you freedom!" [11] In this, he urged the people of India to join him in his fight against the British Raj. Spoken in Hindi, Bose's words are highly evocative. The troops of the INA were under the aegis of a provisional government, the Azad Hind Government, which came to produce its own currency, postage stamps, court and civil code, and was recognized by nine Axis states— Germany , Japan , Italy , the Independent State of Croatia, Wang Jingwei's Government in Nanjing, Thailand , a provisional government of Burma , Manchukuo and Japanese-controlled Philippines . Recent researches have shown that the USSR too had recognized the "Provisional Government of Free India." Of those countries, five were authorities established under Axis occupation. This government participated as a delegate or observer in the so-called Greater East Asia Co-Prosperity Sphere.

The INA's first commitment was in the Japanese thrust towards Eastern Indian frontiers of Manipur. INA's special forces, the Bahadur Group, were extensively involved in operations behind enemy lines both during the diversionary attacks in Arakan, as well as the Japanese thrust towards Imphal and Kohima, along with the Burmese National Army led by Ba Maw and Aung San . A year after the islands were taken by the Japanese, the Provisional Government and the INA were established in the Andaman and Nicobar Islands with Lt Col. A.D. Loganathan appointed its Governor General. The islands were renamed Shaheed (Martyr) and Swaraj (Self-rule). However, the Japanese Navy remained in essential control of the island's administration. During Bose's only visit to the islands in late in 1943, when he was carefully screened from the local population by the Japanese authorities, who at that time were torturing the leader of the Indian Independence League on the Islands, Dr. Diwan Singh (who later died of his injuries, in the Cellular Jail). The islanders made several attempts to alert Bose to their plight, but apparently without success. [12] Enraged with the lack of administrative control, Lt. Col Loganathan later relinquished his authority to return to the Government's head quarters in Rangoon.

On the Indian mainland, an Indian Tricolour, modeled after that of the Indian National Congress, was raised for the first time in the town in Moirang, in Manipur, in north-eastern India. The towns of Kohima and Imphal were placed under siege by divisions of the Japanese, Burmese and the Gandhi and Nehru Brigades of I.N.A. during the attempted invasion of India, also known as Operation U-GO. However, Commonwealth forces held both positions and then counter-attacked, in the process inflicting serious losses on the besieging forces, which were then forced to retreat back into Burma.

Bose had hoped that large numbers of soldiers would desert from the Indian Army when they would discover that INA soldiers were attacking British India from the outside. [13] However, this did not materialize on a sufficient scale. Instead, as the war situation worsened for the Japanese, troops began to desert from the INA. At the same time Japanese funding for the army diminished, and Bose was forced to raise taxes on the Indian populations of Malaysia and Singapore, sometimes extracting money by force. [14] When the Japanese were defeated at the battles of Kohima and Imphal, the Provisional Government's aim of establishing a base in mainland India was lost forever. The INA was forced to pull back, along with the retreating Japanese army, and fought in key battles against the British Indian Army in its Burma campaign, notable in Meiktilla, Mandalay, Pegu, Nyangyu and Mount Popa. However, with the fall of Rangoon, Bose's government ceased be an effective political entity. A large proportion of the INA troops surrendered under Lt Col Loganathan when Rangoon fell. The remaining troops retreated with Bose towards Malaya or made for Thailand. Japan's surrender at the end of the war also led to the eventual surrender of the Indian National Army, when the troops of the British Indian Army were repatriated to India and some tried for treason.

His other famous quote was, "Chalo Delhi," meaning "On to Delhi!" This was the call he used to give the INA armies to motivate them. "Jai Hind," or, "Victory to India!" was another slogan used by him and later adopted by the Government of India and the Indian Armed Forces.

Disappearance and alleged death of Bose

netaji biography in bengali pdf

Officially, Bose died in a plane crash over Taiwan , while flying to Tokyo on August 18, 1945. However, his body was never recovered, and many theories have been put forward concerning his possible survival. One such claim is that Bose actually died in Siberia, while in Soviet captivity. Several committees have been set up by the Government of India to probe into this matter.

In May 1956, a four-man Indian team (known as the Shah Nawaz Committee) visited Japan to probe the circumstances of Bose's alleged death. The Indian government did not then request assistance from the government of Taiwan in the matter, citing their lack of diplomatic relations with Taiwan.

However, the Inquiry Commission under Justice Mukherjee Commission of Inquiry, which investigated the Bose disappearance mystery in the period 1999-2005, did approach the Taiwanese government and obtained information from the Taiwan Government that no plane carrying Bose had ever crashed in Taipei. [15] The Mukherjee Commission also received a report originating from the US State Department, supporting the claim of the Taiwan Government that no such air crash took place during that time frame. [16]

The Justice Mukherjee Commission of Inquiry submitted its report to the Indian Government on November 8, 2005. The report was tabled in Parliament on May 17, 2006. The probe said in its report that Bose did not die in the plane crash and the ashes at Renkoji temple are not his. However, the Indian Government rejected the findings of the Commission.

Mysterious monk

Several people believed that the Hindu sanyasi named Bhagwanji, who lived in Faizabad, near Ayodhya in 1985, was Subhas Chandra Bose in exile. There had been at least four known occasions when Bhagwanji said he was Netaji Subhas Chandra Bose. [17] The belongings of the sanyasi were taken into custody after his death, following a court order in this regard. These were later subjected to the inspection by the Justice Mukherjee Commission of Inquiry. The commission refuted this belief, in the absence of any "clinching evidence." [18] The independent probe done by the Hindustan Times into this case had provided hints that the monk was Bose himself. [19] The life and works of Bhagwanji remain a mystery even today.

Political views

Bose's earlier correspondence (prior to 1939) also reflects his deep disapproval of the racist practices of, and annulment of democratic institutions in Nazi Germany. [20] He also, however, expressed admiration for the authoritarian methods (though not the racial ideologies) which he saw in Italy and Germany during the 1930s, and thought they could be used in building an independent India. He described Hitler's nationalism as inspired by "selfish and racial arrogance." He was, comments Pelinka and Schell, no racist. [21]

Bose had clearly expressed his belief that democracy was the best option for India. [22] The pro-Bose thinkers believe that his authoritarian control of the Azad Hind was based on political pragmatism and a post-colonial recovery doctrine rather than any anti-democratic belief. However, during the war (and possibly as early as the 1930s) Bose seems to have decided that no democratic system could be adequate to overcome India's poverty and social inequalities, and he wrote that an authoritarian state, similar to that of Soviet Russia (which he had also seen and admired) would be needed for the process of national re-building. [23] Accordingly some suggest that Bose's alliance with the Axis during the war was based on more than just pragmatism, and that Bose was a militant nationalist, though not a Nazi , nor a Fascist , for he supported empowerment of women, secularism and other democratic ideas; alternatively, others consider he might have been using populist methods of mobilization common to many post-colonial leaders. Pelinka and Schell comment that Bose was free of "nationalist and racist prejudices" and wrote that Hitler's nationalism was "inspired by selfish and racial arrogance." [24]

Bose's role in India's independence movement has been overshadowed by memory of the peaceful protests of Gandhi and of the political achievement of Jawaharlal Nehru . His political views and the alliances he made with Nazi and other militarist regimes at war with Britain remain controversial, with some accusing him of Fascist sympathies, while others in India have been more sympathetic towards the realpolitik that guided his social and political choices. Whether his strategy hastened Britain's departure from India is debatable, since by the end of World War II they were ready to "quit India" anyone. All types of resistance to continued British rule, violent and non-violent, however, served to pull the moral rug from under colonial rule. The argument that Indians wanted British oversight and tutelage and appreciated their guidance became difficult to sustain. He was one many men and women who resorted to arms in the anti-colonial struggles of the twentieth century. The desire for freedom is strong among people and self-determination is a recognized political right. The colonial powers did not hesitate to use violence to suppress independence movement. The British in India, even in response to non-violent protest, arrested and imprisoned people, which represents a type of violence. Rightly or wrongly, Bose and many others have turned to war to claim their freedom, so strong is the human desire to live in states that control their own destiny. He was far from being a selfish man or a man who spent his life trying to personal ambitions. Rather, he spent his life striving to free his nation from colonial rule.

  • Indian National Army
  • Indian National Congress
  • ↑ Bose, et al. 1994.
  • ↑ Guha, 1986, 62.
  • ↑ Nobrega and Sinha, 2008, xiv.
  • ↑ Bose, 1996, 76.
  • ↑ Kurowski, 1997, 136.
  • ↑ Subir Bhaumik, British "attempted to kill Bose," BBC News (15 August 2005). Retrieved December 24, 2008.
  • ↑ Hartog, 2001, 159-160.
  • ↑ Mike Thomson, Hitler's secret Indian army, BBC (September 23, 2004). Retrieved December 24, 2008.
  • ↑ Satadru Sen. Subhas Chandra Bose 1897-1945, Andaman Association, 1999. Retrieved December 24, 2008.
  • ↑ Singh, 2002, 5.
  • ↑ Patil, 1988, 186.
  • ↑ Singh, 1978, 249.
  • ↑ Subhas Chandra Bose, Speech at a mass rally, Singapore, 9 July 1943, Netaji Subhas Chandra Bose & India's Independence . Retrieved December 24, 2008.
  • ↑ Toye, 1984, 112, 113, 115.
  • ↑ Outlook India, No crash at Taipei that killed Netaji: Taiwan govt. Outlook India.com (Feb 3, 2005). Retrieved December 24, 2008.
  • ↑ The Times of India, Netaji case: US backs Taiwan govt. The Times of India, (September 19, 2005). Retrieved December 24, 2008.
  • ↑ Anuj Dhar, Bhagwanji said: "I am Subhas," Hindustan Times (2002). Retrieved December 24, 2008.
  • ↑ Express India, Netaji did not die in a plane crash. Express India (May 17, 2006). Retrieved December 24, 2008.
  • ↑ Hindu Times, Subhas Bose Probe: Phase I. Retrieved December 24, 2008.
  • ↑ Bose, et al., The Essential Writings of Netaji Subhas Chandra Bose , 1997, 155.
  • ↑ Pelinka and Schell, 2003, 103, 185.
  • ↑ R.C. Roy, Social, Economic and Political Philosophy of Netaji Subhas Chandra Bose, Orissa Review. Retrieved December 24, 2008.
  • ↑ "The Fundamental Problems of India" (An address to the Faculty and students of Tokyo University, November 1944): "You cannot have a so-called democratic system, if that system has to put through economic reforms on a socialistic basis. Therefore we must have a political system—a State—of an authoritarian character. We have had some experience of democratic institutions in India and we have also studied the working of democratic institutions in countries like France, England and United States of America. And we have come to the conclusion that with a democratic system we cannot solve the problems of Free India. Therefore, modern progressive thought in India is in favor of a State of an authoritarian character" The Essential Writings of Netaji Subhas Chandra Bose. Bose, et al., 1997, 319-320.
  • ↑ Pelinka and Schell, 2003, 185.

References ISBN links support NWE through referral fees

  • Bose, Mihir. The Lost Hero: A Biography of Subhas Bose. London, UK: Quartet Books, 1982. ISBN 9780704323018 .
  • Bose, Subhas Chandra, and Ravindra Kumar. Netaji Subhas Chandra Bose: Correspondence and Selected Documents, 1930-1942. New Delhi, IN: Inter-India Publications, 1992. ISBN 9788121002899 .
  • Bose, Subhas Chandra, Emilie Schenkl, Sisir Kumar Bose, and Sugata Bose. Letters to Emilie Schenkl, 1934-1942. Delhi, IN: Oxford University Press, 1994. ISBN 9780195634099 .
  • Bose, Subhas Chandra, Sisir Kumar Bose, and Narayan Gopal Jog. A Beacon Across Asia: A Biography of Subhas Chandra Bose. New Delhi, IN: Orient Longman, 1996. ISBN 9788125010289 .
  • Bose, Subhas Chandra, Sisir Kumar Bose, and Sugata Bose. The Essential Writings of Netaji Subhas Chandra Bose. Delhi, IN: Oxford University Press, 1997. ISBN 9780195639827 .
  • Bose, Subhas Chandra, Sisir Kumar Bose, and Sugata Bose. An Indian Pilgrim: An Unfinished Autobiography. Oxford India paperbacks. Delhi, IN: Oxford University Press, 1997. ISBN 9780195641486 .
  • Bose, Subhas Chandra, Sisir Kumar Bose, and Sugata Bose. The Indian Struggle, 1920-1942. Delhi, IN: Oxford University Press, 1997. ISBN 9780195641493 .
  • Bose, Sugata. His Majesty's Opponent: Subhas Chandra Bose and India's Struggle against Empire . Cambridge, MA: Belknap Press of Harvard University Press, 2011. ISBN 978-0674047549 .
  • Fay, Peter Ward. The Forgotten Army: India's Armed Struggle for Independence, 1942-1945. Ann Arbor, MI: University of Michigan Press, 1993. ISBN 9780472101269 .
  • Getz, Marshall J. Subhas Chandra Bose: A Biography. Jefferson, NC: McFarland & Co., 2002. ISBN 9780786412655 .
  • Gordon, Leonard A. Brothers Against the Raj: A Biography of Indian Nationalists Sarat and Subhas Chandra Bose. New York, NY: Columbia University Press, 1990. ISBN 9780231074421 .
  • Guha, Samar. The Mahatma and the Netaji: Two Men of Destiny of India . New Delhi, IN: Sterling Publishers, 1986. ISBN 9788120701564 .
  • Hartog, Rudolf. The Sign of the Tiger: Subhas Chandra Bose and his Indian Legion in Germany, 1941-45. New Delhi, IN: Rupa & Co., 2001. ISBN 9788171675470 .
  • Hayes, Romain. Subhas Chandra Bose In Nazi Germany: Politics, Intelligence, and Propaganda 1941-43 . New York, NY: Columbia University Press, 2011. ISBN 978-0231702348 .
  • Kurowski, Franz. The Brandenburgers Global Mission . Winnipeg, CA: J.J. Fedorowicz Pub, 1997. ISBN 9780921991380 .
  • Latimer, Jon. Burma: The Forgotten War. London, UK: John Murray, 2004. ISBN 9780719565755 .
  • Lebra-Chapman, Joyce. Japanese-Trained Armies in Southeast Asia: Independence and Volunteer Forces in World War II. New York, NY: Columbia University Press, 1977. ISBN 9780231039956 .
  • Lebra-Chapman, Joyce. The Indian National Army and Japan. Singapore, SG: Institute of Southeast Asian Studies, 2008. ISBN 9789812308061 .
  • Nobrega, William, and Ashish Sinha. Riding the Indian Tiger: Understanding India—The World's Fastest Growing Market . Hoboken, NJ: J. Wiley & Sons, 2008. ISBN 9780470183274 .
  • Patil, V.S. Subhas Chandra Bose, his Contribution to Indian Nationalism . New Delhi, IN: Sterling Publishers, 1988. ISBN 9788120706538 .
  • Pāṭila, Viśvāsa, and Keerti Ramachandra. Mahanayak. New Delhi, IN: Indialog Publications, 2004. ISBN 9788187981695 .
  • Pelinka, Anton, and Renée Schell. Democracy Indian Style: Subhas Chandra Bose and the Creation of India's Political Culture . New Brunswick, NJ: Transaction Publishers, 2003. ISBN 9780765801869 .
  • Roy, Purabi. The Search for Netaji: New Findings . Kolkata, IN: Purple Peacock Books, 2011. ISBN 978-8188908073 .
  • Singh, N. Iqbal. The Andaman Story . Delhi, IN: Vikas Publishing, 1978. ISBN 9780706906325 .
  • Singh, R.P. Rediscovering Bose and Indian National Army. New Delhi, IN: Manas Publications, 2002. ISBN 9788170491132 .
  • Toye, Hugh. The Springing Tiger . Bombay, IN: Jaico, 1984.

External links

All links retrieved February 26, 2023.

  • Mystery over India freedom hero. BBC News, May 17, 2006.
  • Biography Kamat's Potpouri
  • Subhas Chandra Bose and India's Struggle for Independence by Andrew Montgomery, Institute for Historical Review .
  • Netaji Research Bureau

New World Encyclopedia writers and editors rewrote and completed the Wikipedia article in accordance with New World Encyclopedia standards . This article abides by terms of the Creative Commons CC-by-sa 3.0 License (CC-by-sa), which may be used and disseminated with proper attribution. Credit is due under the terms of this license that can reference both the New World Encyclopedia contributors and the selfless volunteer contributors of the Wikimedia Foundation. To cite this article click here for a list of acceptable citing formats.The history of earlier contributions by wikipedians is accessible to researchers here:

  • Subhas Chandra Bose   history

The history of this article since it was imported to New World Encyclopedia :

  • History of "Subhas Chandra Bose"

Note: Some restrictions may apply to use of individual images which are separately licensed.

  • History of India
  • Pages using ISBN magic links

Copyright Logo

  • উত্তর 24 পরগণা
  • দক্ষিণ 24 পরগণা
  • পূর্ব বর্ধমান
  • পশ্চিম বর্ধমান
  • পূর্ব মেদিনীপুর
  • পশ্চিম মেদিনীপুর
  • আলিপুরদুয়ার
  • উত্তর দিনাজপুর
  • দক্ষিণ দিনাজপুর
  • মুর্শিদাবাদ
  • Privacy Policy
  • Terms and Conditions
  • Copyright Policy

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু জীবনী – Netaji Subhas Chandra Bose Biography in Bengali

Netaji Subhas Chandra Bose Biography in Bengali

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু জীবনী: Bengaliportal.com আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছে Netaji Subhas Chandra Bose Biography in Bengali . আপনারা যারা নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু সম্পর্কে জানতে আগ্রহী নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু র জীবনী টি পড়ুন ও জ্ঞানভাণ্ডার বৃদ্ধি করুন।

bengaliportal

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু কে ছিলেন? Who is Netaji Subhas Chandra Bose?

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু র জন্ম: netaji subhas chandra bose’s birthday, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু র পিতামাতা ও জন্মস্থান: netaji subhas chandra bose’s parents and birth place, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু র শিক্ষাজীবন: netaji subhas chandra bose’s educational life, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু র প্রথম জীবন: netaji subhas chandra bose’s early life, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু র রাজনৈতিক জীবন: netaji subhas chandra bose’s political life, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু র কর্ম জীবন: netaji subhas chandra bose’s work life.

Table of Contents

সুভাষচন্দ্র বসু (২৩ জানুয়ারি ১৮৯৭ – ?) ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক চিরস্মরণীয় কিংবদন্তি নেতা। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে তিনি হলেন এক উজ্জ্বল ও মহান চরিত্র যিনি এই সংগ্রামে নিজের সমগ্র জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। তিনি নেতাজি নামে সমধিক পরিচিত। ২০২১ সালে ভারত সরকারের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তার জন্মবার্ষিকীকে জাতীয় পরাক্রম দিবস বলে ঘোষণা করেন। সুভাষচন্দ্র পরপর দুইবার ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন। কিন্তু গান্ধীর সঙ্গে আদর্শগত সংঘাত, কংগ্রেসের বৈদেশিক ও অভ্যন্তরীণ নীতির প্রকাশ্য সমালোচনা এবং বিরুদ্ধ-মত প্রকাশ করার জন্য তাকে পদত্যাগ করতে হয়।

সুভাষচন্দ্র মনে করতেন, মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীর অহিংসা এবং সত্যাগ্রহের নীতি ভারতের স্বাধীনতা লাভের জন্য যথেষ্ট নয়। এই কারণে তিনি সশস্ত্র সংগ্রামের পথ বেছে নিয়েছিলেন। সুভাষচন্দ্র ফরওয়ার্ড ব্লক নামক একটি রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা করেন এবং ব্রিটিশ শাসন থেকে ভারতের সত্বর ও পূর্ণ স্বাধীনতার দাবি জানাতে থাকেন। ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ তাঁকে এগারো বার কারারুদ্ধ করে। তার বিখ্যাত উক্তি “তোমরা আমাকে রক্ত দাও, আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেবো।” দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ঘোষিত হওয়ার পরেও তার মতাদর্শের কোনো পরিবর্তন ঘটেনি; বরং এই যুদ্ধকে ব্রিটিশদের দুর্বলতাকে সুবিধা আদায়ের একটি সুযোগ হিসেবে দেখেন। যুদ্ধের সূচনালগ্নে তিনি লুকিয়ে ভারত ত্যাগ করে সোভিয়েত ইউনিয়ন, জার্মানি ও জাপান ভ্রমণ করেন ভারতে ব্রিটিশদের আক্রমণ করার জন্য সহযোগিতা লাভের উদ্দেশ্যে।

জাপানিদের সহযোগিতায় তিনি আজাদ হিন্দ ফৌজ পুনর্গঠন করেন এবং পরে তিনি নেতৃত্ব প্রদান করেন। এই বাহিনীর সৈনিকেরা ছিলেন মূলত ভারতীয় যুদ্ধবন্দি এবং ব্রিটিশ মালয়, সিঙ্গাপুরসহ দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য অঞ্চলে কর্মরত মজুর। জাপানের আর্থিক, রাজনৈতিক, কূটনৈতিক ও সামরিক সহায়তায় তিনি নির্বাসিত আজাদ হিন্দ সরকার প্রতিষ্ঠা করেন এবং আজাদ হিন্দ ফৌজের নেতৃত্বদান করে ব্রিটিশ মিত্রবাহিনীর বিরুদ্ধে ইম্ফল ও ব্রহ্মদেশে (বর্তমান মায়ানমার) যুদ্ধ পরিচালনা করেন। ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে নাৎসি ও অন্যান্য যুদ্ধবাদী শক্তিগুলির সঙ্গে মিত্রতা স্থাপনের জন্য কোনো কোনো ঐতিহাসিক ও রাজনীতিবিদ সুভাষচন্দ্রের সমালোচনা করেছেন; এমনকি কেউ কেউ তাকে নাৎসি মতাদর্শের প্রতি সহানুভূতিসম্পন্ন বলে অভিযুক্ত করেছেন।

তবে ভারতে অন্যান্যরা তার ইস্তাহারকে রিয়েলপোলিটিক (নৈতিক বা আদর্শভিত্তিক রাজনীতির বদলে ব্যবহারিক রাজনীতি)-এর নিদর্শন বলে উল্লেখ করে তার পথপ্রদর্শক সামাজিক ও রাজনৈতিক ভাবাদর্শের প্রতি সহানুভূতি পোষণ করেছেন। উল্লেখ্য, কংগ্রেস কমিটি যেখানে ভারতের অধিরাজ্য মর্যাদা বা ডোমিনিয়ন স্ট্যাটাসের পক্ষে মত প্রদান করে, সেখানে সুভাষচন্দ্রই প্রথম ভারতের পূর্ণ স্বাধীনতার পক্ষে মত দেন। জওহরলাল নেহরুসহ অন্যান্য যুবনেতারা তাকে সমর্থন করেন। শেষ পর্যন্ত জাতীয় কংগ্রেসের ঐতিহাসিক লাহোর অধিবেশনে কংগ্রেস পূর্ণ স্বরাজ মতবাদ গ্রহণে বাধ্য হয়। ভগৎ সিংয়ের ফাঁসি ও তার জীবন রক্ষায় কংগ্রেস নেতাদের ব্যর্থতায় ক্ষুব্ধ সুভাষচন্দ্র গান্ধী-আরউইন চুক্তি বিরোধী আন্দোলন শুরু করেন। তাকে কারারুদ্ধ করে ভারত থেকে নির্বাসিত করা হয়। নিষেধাজ্ঞা ভেঙে তিনি ভারতে ফিরে এলে আবার তাকে কারারুদ্ধ করা হয়।

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু
23 জানুয়ারী 1897
জানকীনাথ বসু
প্রভাবতী দত্ত
কটক, উড়িষ্যা বিভাগ, বঙ্গ প্রদেশ, ব্রিটিশ ভারত (বর্তমান কটক, কটক জেলা, ওড়িশা রাজ্য, ভারত )
ভারতীয়
ভারতীয় জাতীয়তাবাদী নেতা, রাজনীতিবিদ ও ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামী

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু 23 জানুয়ারী 1897 জন্মগ্রহণ করেন।

ওড়িশার কটক শহরে ১৮৯৭ খ্রিঃ ২৩ শে জানুয়ারী নেতাজী সুভাষচন্দ্রের জন্ম। তাঁর বাল্যজীবনও কেটেছিল এই শহরেই। তাঁর পিতার নাম জানকীনাথ বসু, মাতার নাম প্রভাবতী দেবী। এঁদের আদি বাড়ি ছিল চব্বিশ পরগনার অন্তর্গত কোদালিয়া গ্রামে। সুভাষচন্দ্র ছিলেন তাঁর পিতামাতার ষষ্ঠ সন্তান।

জানকীনাথ নিজে ছিলেন গরীবের ছেলে। কঠোর পরিশ্রমের ফলে তিনি আইন পরীক্ষায় পাশ করে ওড়িশার কটক শহরে আইন ব্যবসা আরম্ভ করেন। তিনি ছিলেন অসাধারণ প্রতিভাশালী ও উদ্যোগীপুরুষ। কিন্তু উকিল হিসাবে আইনের মধ্যেই তিনি তাঁর প্রতিভা ও কর্মশক্তিকে আবদ্ধ করে না রেখে জনসাধারণের কল্যাণকর্মের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নানা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গেও নিজেকে জড়িত করেন।

আরও পড়ুন: অ্যালেকজান্ডার ফ্লেমিং জীবনী

আরও পড়ুন: মেরী কুরি জীবনী

আরও পড়ুন: গুলিয়েলমো মার্কনি জীবনী

আরও পড়ুন: আলবার্ট আইনস্টাইন জীবনী

আরও পড়ুন: হারম্যান জোসেফ মুলার জীবনী

বিভিন্ন জনহিতকর কর্মের জন্য তিনি সমগ্র ওড়িশায় বিখ্যাত হয়ে উঠেছিলেন। বিভিন্ন গঠনমূলক কাজের জন্য জানকীনাথ ইংরাজ সরকারের কাছ থেকে রায়বাহাদুর খেতাবে সম্মানিত হয়েছিলেন। জানকীনাথ ছিলেন অত্যন্ত তেজস্বী প্রকৃতির মানুষ। সরকারী উকিল হলেও তিনি সরকারের অন্যায় অবিচারের সমালোচনা করতে দ্বিধা করতেন না। দেশে আইন অমান্য আন্দোলনের সময় সরকারের দমন নীতির প্রতিবাদে জানকীনাথ সরকারের দেওয়া রায় বাহাদুর খেতাব বর্জন করে লাঞ্ছিত দেশভক্তদের শ্রদ্ধা অর্জন করেন।

সুভাষচন্দ্রের জননী প্রভাবতীও ছিলেন স্বামীর মতই আত্মসচেতন মহিলা। সকল ব্যাপারেই তার আত্মমর্যাদাজ্ঞান ও তেজস্বিতা সকলের মনে সম্ভ্রমের উদ্রেক করত। প্রতিবেশী ও অন্যান্য সকল শ্রেণীর মানুষের দুঃখ দুর্দিনে হৃদয়ভরা সহানুভূতি ও দরদ এই দম্পতির মধ্যে প্রকাশ পেত।

সুভাষচন্দ্রের প্রাথমিক শিক্ষা আরম্ভ হয়েছিল কটক শহরের প্রোটেস্ট্যান্ট স্কুলে — সাহেবদের ছেলেদের সঙ্গে। কিন্তু বালক বয়স থেকেই সুভাষচন্দ্র স্বাধীন ইচ্ছা ও রুচি মেনে চলতে অভ্যস্থ হয়েছিলেন। তাঁর বিদ্রোহী প্রকৃতির অংকুর শৈশব জীবনেই ফুটে উঠেছিল। সাহেবী স্কুলের পরিবেশ ভাল না লাগায় তিনি সেখান থেকে নাম কাটিয়ে ভর্তি হলেন ব্যাভেনস কলেজিয়েট স্কুলে।

বিখ্যাত শিক্ষাব্রতী বেনীমাধব দাস ছিলেন র্যাভেনস স্কুলের বিশিষ্ট শিক্ষক। তার অমায়িক আচরণ, শিক্ষার ধারা, সর্বোপরি বাঙালীসুলভ পরিচ্ছদ সুভাষের মনের ওপর গভীর প্রভাব সৃষ্টি করেছিল। নেতৃত্বের স্বাভাবিক প্রতিভা নিয়েই জন্মেছিলেন সুভাষচন্দ্র। অল্পদিনের মধ্যেই তিনি ক্লাশের ছেলেদের নিয়ে একটা দল গড়ে তুললেন। তার ক্লাশের ছেলেরা ছাড়াও অন্যান্য ক্লাশের ছেলেরাও তার দলে যোগ দিল।

বিভিন্ন বয়সের ছেলেদের পরিচালনা করার ক্ষমতা সেই বয়সেই তিনি তাঁর দল গঠনের মাধ্যমে লাভ করেছিলেন। সুভাষচন্দ্র কেবল তার ক্লাসেই নয়, সারা স্কুলের মধ্যেই ছিলেন সেরা ছেলে। বন্ধু প্রীতি ছিল গভীর। একবার যাঁরা তাঁর সংস্পর্শে আসতেন, তাঁর সহৃদয়তায় মুগ্ধ ও আকৃষ্ট না হয়ে পাড়তেন না। জীবনে তিনি অনেক বন্ধু লাভ করেছিলেন। ক্লাশে ছাত্ররা বরাবরই তার অনুগামী থাকতো। ছাত্র – শিক্ষক সকলের সঙ্গেই তাঁর সম্পর্ক ভালবাসা ও শ্রদ্ধায় আত্মীয়তার রূপ লাভ করেছিল।

কটক কলেজিয়েট স্কুলের প্রধান শিক্ষক বেনীমাধব মহাশয়ের আদর্শ, প্রকৃতি ও শিক্ষকোচিত গুণাবলী সুভাষকে বিশেষভাবে আকৃষ্ট করেছিল। স্কুলের ছাত্রজীবনেই তার সংস্পর্শে সুভাষের আধ্যাত্মিক ভাবের উন্মেষ ঘটে। বিবেকানন্দের তেজস্বীতা, গভীর স্বদেশপ্রাণতা, ভারতকে জগৎসভায় উচ্চস্থানে প্রতিষ্ঠার আকাঙ্ক্ষা, আত্মজ্ঞান, আত্মশক্তিতে বিশ্বাস ও নির্ভরতা, জীবনে কুমার ব্রতের সৃজনীশক্তি — ছাত্রজীবনেই সুভাষচন্দ্রের মানসিক গঠন তৈরি করেছিল। বা

ঙ্গালীর ঐক্যবন্ধনকে দুর্বল করার হীন উদ্দেশ্যে লর্ড কার্জন শাসনকার্যের সুবিধার অজুহাতে ১৯০৫ খ্রিঃ বাংলাকে দ্বিখন্ডিত করার উদ্যোগ নেন। বঙ্গ ব্যবচ্ছেদকে কেন্দ্র করে সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বাঙ্গালী জাতি জাতীয়তার তুমুল আন্দোলন গড়ে তোলে। ব্রিটিশের সঙ্গে অসহযোগ ঘোষণা করে বাংলায় হল রাখীবন্ধন উৎসব।

১৯০৫ খ্রিঃ ৭ ই আগস্ট কলকাতায় এক বিরাট জনসভায় গৃহীত হল বিলাতী বর্জন প্রস্তাব। দলে দলে বাঙ্গালী নেমে পড়ল রাজনীতির সমরক্ষেত্রে। এই আন্দোলনকে অবজ্ঞা করে, দাম্ভিক শাসক কার্জন ১৯০৫ খ্রিঃ ১৬ ই আগস্ট বাংলাকে দ্বিখন্ডিত করল। ১৯০৫ খ্রিঃ বারাণসীতে কংগ্রেসের অধিবেশনে গোপাল কৃষ্ণ গোখলে বললেন, “ বঙ্গভঙ্গের ফলে যে বিরাট আন্দোলনের উদ্ভব হয়েছে, বাংলায় জাতীয় উন্নতির ইতিহাসে তা স্মরণীয়। ব্রিটিশ শাসন প্রবর্তনের পর এদেশে এই প্রথম জাতিধর্মনির্বিশেষে জনগণ অনুপ্রাণিত হয়েছে একই উদ্দেশ্যে। সমগ্র দেশ আজ বাংলার নেতাদের পশ্চাতে দন্ডায়মান ……….। ”

ভারতের জাতীয় আন্দোলন এইভাবে বাংলার মাটিতে লালিত হয়ে বাঙ্গালীর চেষ্টায় ক্রমে ছড়িয়ে পড়ে সমগ্র ভারতে। পিতার মুখে সরকারী দমননীতির প্রতিবাদ শুনে কিশোর সুভাষের মনেও ব্রিটিশ শাসকের বিরুদ্ধে বিরাগের ভাব সৃষ্টি হয়েছিল। তাঁর ছাত্রজীবনের এই বিরাগ ক্রমশঃ বিদ্বেষে পরিণত হয়ে ওঠে। এই সময় একদিন সুভাষ জানতে পারলেন, স্বদেশী আন্দোলনের সহায়ক বিবেচনা করে ইংরাজ সরকার সরকারী কলেজিয়েট স্কুলের প্রধান শিক্ষক বেণীমাধব দাসকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

আরও পড়ুন: যীশু খ্রীষ্ট জীবনী

আরও পড়ুন: গুরু নানক জীবনী

আরও পড়ুন: চৈতন্য মহাপ্রভু জীবনী

আরও পড়ুন: স্বামী বিবেকানন্দ জীবনী

আরও পড়ুন: হজরত মুহাম্মদ জীবনী

সুভাষ স্কুল ও কলেজের ছাত্রদের সংগঠিত করে সরকারী আদেশের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানালেন। সরকারী হাইস্কুলের শিক্ষক বেণীমাধব দাস, তাঁকে শেষ পর্যন্ত কৃষ্ণনগর কলেজিয়েট স্কুলে বদলী হতে হল। সুভাষ তখন দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্র। পরের বছরেই ১৯১৩ খ্রিঃ র্যাভেনশ কলেজিয়েট স্কুল থেকেই সুভাষচন্দ্র প্রবেশিকা পরীক্ষা দিয়ে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে বৃত্তি লাভ করলেন। এরপর কলকাতায় এসে প্রেসিডেন্সি কলেজে ভর্তি হন।

আই.এ.পড়তে পড়তেই সুভাষ কয়েকজন সঙ্গীর সঙ্গে সদগুরুলাভের উদ্দেশ্যে হিমালয়ের পথে বেরিয়ে পড়েছিলেন, ব্যর্থ হয়ে কিছুদিন পরে ফিরেও এলেন। ১৯১৫ খ্রিঃ আই.এ পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হয়ে দর্শনে অনার্স নিয়ে সুভাষ প্রেসিডেন্সিতেই বি.এ পড়তে লাগলেন। এখানেই তিনি উদ্ধত বিদেশী অধ্যাপক ই.এফ.ওটেনকে উপযুক্ত শিক্ষা দেবার ব্যবস্থা করে কলেজ থেকে বহিষ্কৃত হয়েছিলেন। পরে স্যার আশুতোষের সৌজন্যে স্কটিশচার্চ কলেজ থেকে দর্শন বিভাগে প্রথম স্থান অধিকার করে বি.এ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।

ছাত্রাবস্থায় তিনি বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন। এই সময় তিনি এমন কিছু অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছিলেন যা উত্তরকালে তার জীবনে কার্যকরী ভূমিকা নিয়েছিল। বি.এ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবার পর সুভাষকে আই.সি.এস পরীক্ষার জন্য বিলেত পাঠানো হলো। বিলাতে তখন ভারতীয়দের ইন্ডিয়ান মজলিস নামে একটি সমিতি ছিল। এই সমিতিতে সরোজিনী নাইডুর বক্তৃতা শুনে সুভাষ মুগ্ধ হয়েছিলেন। সুভাষ তার ব্যক্তিত্ব ও চরিত্রবলে ভারতীয় ছাত্রদের শ্রদ্ধা আকর্ষণ করেত সমর্থ হয়েছিলেন।

আই.সি.এস পরীক্ষায় সুভাষ চতুর্থ স্থান অধিকার করে কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হন। এরপর তিনি কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স সহ বি.এ ডিগ্রিলাভ করে দেশে ফিরে আসেন। দেশসেবার দুরন্ত আকাঙ্ক্ষা সুভাষকে এতটাই প্রভাবিত করেছিল যে তিনি সরকারী উচ্চপদের চাকরির প্রলোভন ত্যাগ করে দেশে ফিরেই মহাত্মা গান্ধীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তিনি সুভাষকে পরামর্শ দেন দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জনের সঙ্গে দেখা করতে। দেশবন্ধু তখন বাংলা তথা ভারতবর্ষের সকলের প্রিয় নেতা। তাঁর অসামান্য ত্যাগ, বাগ্মীতা ও রাজনৈতিক প্রতিভা সম্পর্কে সুভাষও বিলক্ষণ অবগত ছিলেন।

তিনি দেশবন্ধুর কাছে দেশসেবার ব্রতে দীক্ষা নিলেন। দেশে শিক্ষা বিস্তারের জন্য দেশবন্ধু তখন ন্যাশনাল কলেজ গড়ে তুলেছেন। তিনি সুভাষকে সেই কলেজের অধ্যক্ষপদের দায়িত্ব দিলেন। সেই সঙ্গে তাঁকে দেওয়া হল বঙ্গীয় প্রাদেশিক কংগ্রেস কমিটির প্রচার বিভাগের দায়িত্ব। এই সময়ে দেশ জুড়ে স্বেচ্ছাসেবক গঠনের আন্দোলন আরম্ভ হয়েছে। সুভাষের নেতৃত্বে অল্প সময়ের মধ্যেই সুনিয়ন্ত্রিত স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী গড়ে উঠল।

কিছুদিনের মধ্যেই গান্ধীজীর ডাকে দেশব্যাপী শুরু হল অসহযোগ আন্দোলন। ১৯২১ খ্রিঃ ১০ ই ডিসেম্বর, দেশবন্ধু, মৌলানা আজাদ, দেশপ্রাণ বীরেন্দ্রনাথ শাসমল প্রমুখ নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সুভাষচন্দ্রকেও গ্রেপ্তার করা হল। দেশবন্ধু ও সুভাষের প্রায় তিন মাসকাল কারাদন্ড ভোগ করতে হয়। ১৯২২ খ্রিঃ উত্তরবঙ্গে প্রবল বন্যায় অসংখ্য মানুষ গৃহহীন ও আশ্রয়হীন হয়ে পড়ে। কারাগার থেকে মুক্তিলাভ করেই সুভাষ বন্যাদুর্গতদের সাহায্যের কাজে ঝাপিয়ে পড়লেন। উত্তরবঙ্গ – প্লাবন – সাহায্য – সমিতির সম্পাদক রূপে এই সময় তিনি আর্ড ও দুর্গতের সেবায় যে নিষ্ঠা ও তৎপরতার পরিচয় দেন তার জন্য বাংলার গভর্নর লর্ড লিটন তাকে আন্তরিক অভিনন্দন জানান। সমস্ত দেশে সুভাষের খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ল।

আরও পড়ুন: প্রফুল্ল চাকী জীবনী

আরও পড়ুন: নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু জীবনী

আরও পড়ুন: মাষ্টারদা সূর্য সেন জীবনী

আরও পড়ুন: মানবেন্দ্রনাথ রায় জীবনী

আরও পড়ুন: আবুল কাশেম ফজলুল হক জীবনী

১৯২২ খ্রিঃ ডিসেম্বর মাসে নীতিগত প্রশ্নে মত বিরোধের জন্য দেশবন্ধু পন্ডিত মতিলাল নেহেরুর সাহচর্যে কংগ্রেসের বাইরে স্বরাজ্যদল গঠন করেন। দেশবন্ধুর সহকারী রূপে সুভাষ এই নবগঠিত দলের কাজে আত্মনিয়োগ করলেন। দেশবন্ধু স্বরাজ্যদলের মুখপত্র ফরোয়ার্ড পত্রিকা প্রকাশ করলে, সুভাষের পরিচালনায় এই পত্রিকার খ্যাতি সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে। ১৯২৩ খ্রিঃ বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সুভাষের অসাধারণ সাংগঠনিক প্রতিভাবলে নির্বাচনে স্বরাজ্যদল জয়লাভ করল।

এই সময়ে তিনি বঙ্গীয় প্রাদেশিক কংগ্রেস কমিটির সম্পাদক নির্বাচিত হলেন। ১৯২৪ খ্রিঃ ১৪ এপ্রিল সুভাষচন্দ্র কর্পোরেশনের প্রধান কর্মকর্তা নিযুক্ত হন। ইংরাজ সরকার কিন্তু সুভাষের নিয়োগ সুনজরে দেখলেন না। ফলে তাঁর পক্ষে বেশিদিন এই পদে থাকা সম্ভব হয়নি। ছয়মাসের মধ্যেই সরকার নতুন এক অর্ডিন্যান্স বলে সুভাষচন্দ্রকে গ্রেপ্তার করলেন। এই অর্ডিন্যান্সের ক্ষমতাবলে এই সময় দেশের বিভিন্নস্থানে সন্দেহভাজন বহু যুবককেও গ্রেপ্তার করা হয়।

প্রথমে আলিপুর সেন্ট্রাল জেলে, পরে মুর্শিদাবাদের বহরমপুর জেলে পাঠিয়ে দেওয়া হল সুভাষকে। কয়েকদিন পরেই পাঠিয়ে দেওয়া হল ব্রহ্মদেশের মান্দালয়ে ৷ সরকারের দমননীতির শিকার হয়েও সুভাষচন্দ্র ব্যবস্থাপক সভার জনসাধারণের প্রতিনিধি নির্বাচিত হলেন। লাঞ্ছিত জননায়ককে সেদিন এই নির্বাচনের মাধ্যমেই দেশবাসী তাঁদের অন্তরের কৃতজ্ঞতা জানিয়ে সম্মানিত করেছিলেন। সুভাষচন্দ্রের মান্দালয়ে কারাবাস কালেই ১৯২৫ খ্রিঃ ১৬ ই জুন দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ দার্জিলিংয়ে দেহত্যাগ করেন।

জেলে বসেই নিদারুণ দুঃখ ও বেদনার সঙ্গে সুভাষ অনুভব করলেন দেশবন্ধুর আরব্ধ কার্য তাকেই সম্পূর্ণ করতে হবে। বাংলাকে পরিচালনা করার দায়িত্ব নিতে হবে তাঁকেই। মান্দালয়ের নির্জন কারাবাসে সুভাষের শরীর ভেঙ্গে পড়ল। দেশের জন্য উদ্বেগ ও দেশবন্ধুর অকাল প্রয়াণ তাঁর শরীরকে আরও বেশি জীর্ণ করল। কিছুদিনের মধ্যেই চল্লিশ পাউন্ডের বেশি ওজন কমে গেল তার। দেহে প্রকাশ পেল ক্ষয়রোগের লক্ষণ। ১৯২৭ খ্রিঃ শয্যাশায়ী হয়ে পড়লেন তিনি।

সরকারী মেডিক্যাল অফিসার সুভাষের শরীরের অবস্থা আশংকাজনক বলে মত প্রকাশ করলে সরকার পক্ষ থেকে মোবার্লি সাহেব প্রস্তাব করলেন, স্বাস্থ্য উদ্ধারের জন্য যদি তিনি ইউরোপ চলে যান তবে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হবে। ইংরাজ সরকার তাকে নির্বাসনে পাঠাবার কৌশল করেছে বুঝতে পেরে সুভাষ ঘৃণাভরে সরকারের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলেন। ইতিমধ্যে বাংলার গভর্নর হয়ে এলেন স্যার স্ট্যানলি জ্যাকসন। দীর্ঘ আড়াই বছর পরে ১৯২৭ খ্রিঃ ১৪ ই মে সরকার সুভাষকে শর্তহীন মুক্তির আদেশ দিলেন।

এই সংবাদে সারা দেশে বিপুল আনন্দের সাড়া পড়ে গেল। কারামুক্ত হয়ে পাটনার এক সভায় অসুস্থ সুভাষ বললেন, ‘ দেশের বর্তমান অবস্থায় আমাদের অসুস্থ থাকা সাজে না। ‘ যথার্থই অসুস্থতা অগ্রাহ্য করেই তিনি আবার কর্মক্ষেত্রে ঝাপিয়ে পড়লেন। দেশের জনজাগরণকে আয়ত্বে আনার নতুন কৌশল নিল ইংরাজ সরকার। ভারতের শাসন পদ্ধতি, শিক্ষা বিস্তার, প্রতিনিধি – মূলক প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন সম্পর্কে সুপারিশ করার জন্য সরকার সাইমন তদন্ত কমিশন নিয়োগ করে। এই কমিশনে কোন ভারতীয়কে স্থান দেওয়া হয়নি।

ভারতবাসী সাইমন কমিশন বর্জন করে সারা ভারতে তুমুল বয়কট আন্দোলন শুরু করল। সুভাষ বাংলা জুড়ে আন্দোলন সংগঠন করলেন। সেদিন স্কুল – কলেজের ছাত্ররা স্বেচ্ছায় কমিশনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ আন্দোলনে যোগ দিলেন। নানা স্থানে গড়ে উঠল ছাত্র ও যুব প্রতিষ্ঠান। এই সময় শ্রমিক আন্দোলন সংগঠন করে সুভাষ দেশব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি করেন। কংগ্রেস নেতৃবৃন্দের মধ্যে শ্রমিক আন্দোলন সমর্থনে সুভাষচন্দ্রই পথ প্রদর্শক।

১৯২৮ খ্রিঃ ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের ৪৭ তম অধিবেশন উপলক্ষে কলকাতায় সুভাষ স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীর জেনারেল কমান্ডিং অফিসার রূপে সামরিক পোশাকে যে শোভাযাত্রা করেছিলেন তা এককথায় ছিল অভূতপূর্ব। “এই অধিবেশনে মহাত্মাগান্ধী আপোশ – রফামূলক স্বায়ত্বশাসনের প্রস্তাব উত্থাপন করেন। সুভাষ এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করে বললেন, ‘আমরা কখনো এই প্রস্তাব মেনে নিতে পারি না, আমরা চাই স্বাধীনতা। এই স্বাধীনতা আমাদের দূর ভবিষ্যতের আদর্শ নয়, বর্তমানেই আমাদের দাবী হচ্ছে স্বাধীনতা”।

সুভাষচন্দ্রের এই প্রস্তাব ১৩৫০-৯৭২ ভোটে অগ্রাহ্য হয়ে যায়। কিন্তু পরের বছরেই কংগ্রেসের লাহোর অধিবেশনে পন্ডিত জওহরলাল নেহেরু ঘোষণা করেন, পূর্ণ স্বাধীনতাই কংগ্রেসের লক্ষ। এরপর সুভাষচন্দ্র গঠন করেন নিখিল ভারত স্বাধীনতা লীগ। তাঁকে সহযোগিতা করলেন জওহরলাল, শ্রীনিবাস আয়েঙ্গার ও অন্যান্য কয়েকজন নেতা। সঙ্ঘের আদর্শ, পূর্ণ স্বাধীনতার আদর্শ প্রচার ৷ ১৯২৭ থেকে ১৯২৯ খ্রিঃ মধ্যে সুভাষ ছিলেন বঙ্গীয় প্রাদেশিক কংগ্রেস কমিটির সভাপতি ও নিখিল ভারত কংগ্রেস কমিটির সাধারণ সম্পাদক।

এই সময় সর্বদল সমিতি নামে যে সমিতি গঠিত হয় সুভাষ তারও একজন বিশিষ্ট সদস্য হন। এই সমিতি নেহেরু কমিটি নামেই সমধিক পরিচিত। ১৯২৯ খ্রিঃ সুভাষচন্দ্র নির্বাচিত হলেন নিখিল ভারতট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেসের সভাপতি। ১৯৩১ খ্রিঃ পর্যন্ত তিনি এই পদ অলঙ্কৃত করেন। ১৯২৯ খ্রিঃ এপ্রিল মাসে বাংলার লাট অকস্মাৎ বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভা ভেঙ্গে দিলে জুন মাসে নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হল। দেখা গেল, কংগ্রেস প্রার্থীরা হয় বিনা বাধায় না – হয় বিপুল ভোটাধিক্যে জয়ী হয়েছেন। সুভাষেরই জয়জয়কার হল।

আরও পড়ুন: সান ইয়াৎ-সেন জীবনী

আরও পড়ুন: আলেকজান্ডার দ্য গ্রেট জীবনী

আরও পড়ুন: আডলফ হিটলার জীবনী

আরও পড়ুন: হো চি মিন জীবনী

আরও পড়ুন: জুলিয়াস সিজার জীবনী

এই বছরই আগষ্ট মাসে নিখিল ভারত লাঞ্ছিত রাজনীতিক দিবস পালন উপলক্ষ্যে সুভাষ কলকাতায় বিরাট শোভাযাত্রা পরিচালনা করলেন। সরকার ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২৪ ধারা বলে সুভাষচন্দ্র প্রমুখ নেতাদের রাজদ্রোহের অভিযোগে অভিযুক্ত করল। এই সময় লাহোর সেন্ট্রাল জেলে লাহোর ষড়যন্ত্র মামলার অন্যতম বন্দি যতীন্দ্রনাথ দাস প্রমুখ কয়েকজন বন্দি রাজবন্দিদের প্রতি জেলবিভাগের অত্যাচারের প্রতিবাদে অনশন আরম্ভ করেন।

এই নিয়ে সারা দেশ তোলপাড় হতে লাগল। টানা ৬৩ দিন অনশন করার পর বাংলার সন্তান বিপ্লবী যতীন্দ্রনাথ দাসের মৃত্যু হল। যতীন্দ্রনাথের মৃতদেহ আনা হল কলকাতায়। সুভাষ এই মহান শহীদের মৃতদেহ নিয়ে কলকাতায় যে শোভাযাত্রা পরিচালনা করেন –কেবল দেশবন্ধুর শবযাত্রার সঙ্গেই তার তুলনা হতে পারে। ১৯২৯ খ্রিঃ ২৯ শে সেপ্টেম্বর পাঞ্জাব ছাত্র সম্মেলনের সভাপতির ভাষণে সুভাষচন্দ্র বলেন, “ পৃথিবীতে বিপ্লব আনতে হলে আমাদের চোখের সামনে এমন একটা আদর্শ তুলে ধরতে হবে যা বিদ্যুতের মত আমাদের শক্তিকে করবে সচকিত। এই আদর্শ স্বাধীনতা। কিন্তু স্বাধীনতার অর্থ সকলে সমান বুঝেন না। আমাদের দেশেও স্বাধীনতার অর্থের দেখা যাচ্ছে ক্রমঃবিবর্তন। স্বাধীনতা অর্থে আমি বুঝি ব্যক্তি ও সমাজ, নর ও নারী, ধনী ও দরিদ্র সকলের স্বাধীনতা। স্বাধীনতা শুধু রাষ্ট্রীয় বন্ধন মুক্তিই নয়।। ভারত স্বাধীন হবেই তাতে এতটুকু সন্দেহ নেই। রাত্রির পর দিবাগমের ন্যায় স্বাধীনতা আসবেই আসবে। আজ পৃথিবীতে এমন শক্তি নেই যা বেঁধে রাখতে পারে ভারতকে। ”

ভারতের স্বাধীনতা সম্পর্কে সুভাষ যে ধারণা পোষণ করতেন, কংগ্রেসের অন্যান্য নেতাদের মতামত ছিল তা থেকে ভিন্ন। এই প্রশ্নেই সুভাষ কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য পদে ইস্তফা দিলেন। লাহোর কংগ্রেসে ১৯২৯ খ্রিঃ মহাত্মা গান্ধী স্বায়ত্বশাসন সমর্থক প্রস্তাব উত্থাপন করলে সুভাষচন্দ্র তার বিরোধিতা করে সংশোধন প্রস্তাব উত্থাপন করেন। তিনি জানালেন, স্বরাজের অর্থ পূর্ণ স্বাধীনতা; ঔপনিবেশিক স্বায়ত্বশাসন নয়। কিন্তু অধিবেশনে সুভাষের প্রস্তাব অগ্রাহ্য হল, গ্রাহ্য হয় গান্ধীজির প্রস্তাব।

সুভাষের এই নতুন দৃষ্টিভঙ্গি পাঞ্জাবের ছাত্র ও যুবসমাজে বিরুপ উদ্দীপনার সঞ্চার করল। লাহোর থেকে ফিরে এসে ১৯৩০ খ্রিঃ ৪ ঠা জানুয়ারী সুভাষ ব্যবস্থাপক সভার সদস্যপদ ও কর্পোরেশনের অলডারম্যানের পদ পরিত্যাগ করলেন। জানুয়ারীর ২৩ তারিখেই রাজদ্রোহের অভিযোগে সুভাষ ধৃত হলেন ও নয় মাস সশ্রম কারাদন্ড ভোগ করেন। কারাগারে থাকা কালেই ১৯৩০ খ্রিঃ ২২ শে আগষ্ট তারিখের নির্বাচনে সুভাষ কর্পোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হলেন। ২৩ শে সেপ্টেম্বর মুক্তি লাভের পর তিনি মেয়রের কার্যভার গ্রহণ করেন।

১৯৩১ খ্রিঃ ২৬ শে জানুয়ারীতে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে কলকাতার পুলিশ কমিশনার আদেশ করেছিলেন যে শহরে কোন প্রকার সভা – শোভাযাত্রা করা চলবে না। সুভাষ এই আদেশ অমান্য করে এক শোভাযাত্রা বার করলেন। ময়দানের কাছে পুলিশের লাঠি চালনার ফলে সুভাষচন্দ্র আহত হন। তার ছয় মাস কারাদন্ডের আদেশ হয়। ভারতের বড়লাট আরউইন ও কংগ্রেসের তরফ থেকে মহাত্মা গান্ধীর সঙ্গে এক চুক্তি হয় ওই বছরেই ৮ ই মার্চ। চুক্তির শর্ত অনুসারে বিভিন্ন জেলে বন্দি অন্যান্য রাজবন্দি এবং সুভাষচন্দ্র মুক্তি পেলেন।

১৯৩১ খ্রিঃ কংগ্রেসের অধিবেশন হয় করাচিতে। এই অধিবেশনে যোগ দিয়ে সুভাষচন্দ্র গান্ধী – আরউইন চুক্তির তীব্র সমালোচনা করেন। এই সময়েই হিজলী বন্দিশালায় পুলিশ নির্মমভাবে গুলি চালালে দুজন বন্দি নিহত ও অনেকে আহত হলেন। ক্ষুব্ধ সুভাষ বঙ্গীয় প্রাদেশিক কংগ্রেস কমিটি ও কলকাতা কর্পোরেশনে অল্ডারম্যান পদে ইস্তফা দিলেন। বন্দিদের ওপরে পুলিশের নির্মম আচরণে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথও অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন। এই সময়ে সুভাষচন্দ্র তৃতীয়বার বেঙ্গল রেগুলেশনে বন্দি হন।

এক বছরের মধ্যেই জেলে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। চিকিৎসার জন্য সরকার তাঁকে ইউরোপ পাঠালে তিনি সেই সুযোগে ইউরোপের বিভিন্ন রাজধানীতে যোগাযোগ স্থাপন করেন। ১৯৩৬ খ্রিঃ দেশে ফিরে এলে পুনরায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং একবছর পরেই মুক্তি দেওয়া হয়। ১৯৩৮ খ্রিঃ সুভাষচন্দ্র হরিপুরা কংগ্রেসে সভাপতি নির্বাচিত হন। পুনরায় ১৯৩৯ খ্রিঃ ত্রিপুরী কংগ্রেসে গান্ধিজীর সমর্থিত প্রার্থী পট্টভি সীতারামাইয়াকে পরাজিত করে সভাপতিপদে নির্বাচিত হন।

কিন্তু পূর্ণ স্বরাজের প্রশ্নে দক্ষিণপন্থী জোটের সঙ্গে মতবিরোধ দেখা দিলে সুভাষচন্দ্র পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। এই সময়েই সুভাষচন্দ্র মহাজাতি সদন প্রতিষ্ঠার আয়োজন করেন। ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করতে এসে রবীন্দ্রনাথ সুভাষচন্দ্রকে দেশগৌরব উপাধি দেন। কংগ্রেসের মধ্যে থেকেই সুভাষচন্দ্র ফরোয়ার্ড ব্লক গঠন করে বাংলার বিপ্লবীদলগুলিকে সংগঠিত করার চেষ্টা করলে, কংগ্রেস দল থেকে তাকে তিন বছরের জন্য বহিষ্কৃত কর হয়। ১৯৪০ খ্রিঃ সুভাষচন্দ্র একটি অস্থায়ী জাতীয় সরকার গঠনের দাবি জানান। এই সময় হল ওয়েল মনুমেন্ট অপসারণের দাবিতে সত্যাগ্রহ শুরু করেন এবং গ্রেপ্তার হন। এই বছরেই কারাগারে অনশন করলে তাকে মুক্ত দিয়ে গৃহে অন্তরীণ অবস্থায় রাখা হয় ৷

অত্যন্ত বিশ্বস্ত কিছু সহযোগীর সহযোগিতায় পুলিশের চোখকে ফাকি দিয়ে সুভাষচন্দ্র ১৯৪১ খ্রিঃ ২৬ শে জানুয়ারী ছদ্মবেশে দেশত্যাগ করেন। উত্তর পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশের মধ্য দিয়ে সুভাষচন্দ্র কাবুল হয়ে রাশিয়া প্রবেশ করেন। দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে শক্তি সংগ্রহের জন্যই তিনি রাশিয়া হয়ে জার্মানীতে আসেন। এখানে এক শক্তিশালী বেতারকেন্দ্র থেকে তিনি ভারতের উদ্দেশে প্রচারকার্য চালাতে থাকেন। ইতিপূর্বে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় থেকে মহাবিপ্লবী রাসবিহারী বসু দক্ষিণ – পূর্ব এশিয়ায় একটি অস্থায়ী স্বাধীন ভারত সরকার গঠন করেছিলেন। তরুণ সুভাষকে তিনি তার আরব্ধ কার্য সম্পূর্ণ করার দায়িত্ব তুলে দেন।

আজাদ হিন্দ ফৌজ ভারতে ব্রিটিশ শাসন উচ্ছেদের উদ্দেশ্যে রাসবিহারী বসু ও ক্যাপ্টেন মোহন সিং গঠিত এবং নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু পরিচালিত রাজনৈতিক সৈন্যবাহিনীরই নাম আজাদ হিন্দ ফৌজ। ১৯৪২ খ্রিঃ। দুনিয়া কাঁপানো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ তখন চলছে পুরোদমে। এই সালের ২৮ শে মার্চ খ্যাতনামা বিপ্লবী রাসবিহারী বসু টোকিওতে ভারতের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের নিয়ে একটি সভায় মিলিত হন। এই সভায় স্থির হয় যে, জাপানের অধিকৃত সমস্ত স্থানের ভারতীয় অধিবাসীদের নিয়ে ভারতীয় স্বাধীনতা সঙ্ঘ বা Indian Independence League স্থাপন করা হবে।

সেই সঙ্গে ভারতীয় সেনানায়কদের অধীনে ভারতের একটি জাতীয় সেনাবাহিনী বা Indian National Ariny গঠন করা হবে। এই সিদ্ধান্তের ওপর ১৯৪২ খ্রিঃ ১৫ ই জুন ব্যাঙ্ককে একটি বিরাট সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় এবং এই সম্মেলনে ভারতীয় স্বাধীনতা সঙ্ঘ গঠিত হয়। রাসবিহারী বসু উক্ত সঙ্ঘের সভাপতি পদে বৃত হন। ক্যাপ্টেন মোহন সিং আজাদ হিন্দ ফৌজের সেনাপতি পদে নির্বাচিত হন। এই সম্মেলনে ৩৫ টি প্রস্তাবের মধ্যে একটিতে সুভাষচন্দ্র বসুকে দক্ষিণ – পূর্ব এশিয়ায় আগমনের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়। কিন্তু ঘটনাচক্রে টোকিও ও ব্যাঙ্কক সম্মেলনের পূর্বেই ক্যাপ্টেন মোহন সিং এর নেতৃত্বে আজাদ হিন্দ ফৌজের সূচনা হয়েছিল।

১৯৪১ খ্রিঃ ডিসেম্বর মাসে মালয় উপদ্বীপে জাপানীরা ইংরাজ সৈন্যকে পরাস্ত করে। এর ফলে ১৪ নং পাঞ্জাব রেজিমেন্টের ক্যাপ্টেন মোহন সিং আর একজন ভারতীয় এবং একজন ইংরাজ সেনানায়ক সৈন্যসহ জঙ্গলে পথ হারিয়ে জাপানীদের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। ১৯৪২ খ্রিঃ ১৫ ফেব্রুয়ারী সিঙ্গাপুরের পতন হয়। সেই সময় ব্রিটিশ সেনানায়ক ৪০,০০০ ভারতীয় সৈন্যকে জাপান সরকারের প্রতিনিধি মেজর ফুজিয়ারার হাতে সমর্পণ করেন। ক্যাপ্টেন ফুজিয়ারা এইসব সৈন্যকে মুক্তি দিয়ে মোহন সিং – এর হাতে সমর্পণ করেন।

আরও পড়ুন: সত্যজিৎ রায় জীবনী

আরও পড়ুন: মুকুন্দ দাস জীবনী

আরও পড়ুন: অতুলপ্রসাদ সেন জীবনী

আরও পড়ুন: শিবনাথ শাস্ত্রী জীবনী

আরও পড়ুন: সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় জীবনী

ক্যাপ্টেন মোহন সিং ভারতীয় সৈন্যদের সেই সময়েই আজাদ হিন্দ বাহিনী গঠনের উদ্দেশ্য ভালভাবে বুঝিয়ে দেন এবং যারা স্বেচ্ছায় এই দলে যোগদান করতে ইচ্ছুক কেবল তাদের নিয়েই ফৌজ গঠন করেন। এইভাবে ব্যাঙ্কক সম্মেলনের পূর্বেই অন্ততঃপক্ষে ২৫,০০০ ভারতীয় সৈন্য ক্যাপ্টেন মোহন সিং – এর অধীনে আজাদ হিন্দ ফৌজে যোগ দেয়। ১৯৪২ খ্রিঃ আগস্ট মাসের শেষ পর্যন্ত এই সংখ্যা বেড়ে ৪০,০০০ দাঁড়ায়। টোকিও সম্মেলন থেকে ফিরে এসেই মোহন সিং ভারতীয় সামরিক নায়কগণকে নিয়ে এক সভা করেন এবং ১৯৪২ খ্রিঃ এপ্রিল মাসে আজাদ হিন্দ ফৌজ বিধিবদ্ধভাবে গঠিত হয়।

১৯৪২ খ্রিঃ ১ লা সেপ্টেম্বর আজাদ হিন্দ ফৌজের প্রতিষ্ঠা প্রকাশ্যে ঘোষণা করা হয়। প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য যে, আজাদ হিন্দ ফৌজের প্রথম পরিকল্পনা নেতাজী সুভাষচন্দ্রই করেছিলেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় কলকাতায় গৃহে অন্তরীণ থাকাকালে সুভাষচন্দ্র ১৯৪১ খ্রিঃ ১৭ ই জানুয়ারী গোপনে কলকাতা ত্যাগ করেন এবং আফগানিস্তান ও রাশিয়ার মধ্য দিয়ে জার্মানীতে উপস্থিত হন। ওই বছরের ২২ শে জুন জার্মানী রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করলে সুভাষচন্দ্র প্রস্তাব করেন, জার্মানদের হাতে বন্দি ভারতীয় সৈন্যদের নিয়ে তিনি একটি সেনাদল গঠন করবেন এবং জার্মান সৈন্যের সঙ্গে সঙ্গে রাশিয়ার মধ্য দিয়ে ভারতের অভিমুখে অগ্রসর হবেন।

জার্মান সরকার এই প্রস্তাবে সম্মত হলে সুভাষচন্দ্র বন্দি ভারতীয় সৈন্যদের নিয়ে সেনাদল গঠন করেন এবং জার্মান কর্মচারীদের সাহায্যে তাদের বিশেষভাবে সামরিক শিক্ষা দেন। এটিই ছিল আজাদ হিন্দ ফৌজের প্রথম পকিল্পনা। এই সময়েই জার্মানীর ভারতীয় সম্প্রদায় সুভাষচন্দ্রকে নেতাজী উপাধি দেন এবং জয়হিন্দ বলে অভ্যর্থনার পদ্ধতি প্রচলন করেন। সুভাষচন্দ্র কিন্তু বুঝতে পেরেছিলেন বার্লিনের মত একটি দূরবর্তী কেন্দ্র থেকে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রাম প্রত্যক্ষভাবে পরিচালনা সম্ভব নয়।

তাই তিনি ব্যাঙ্কক সম্মেলনের আহ্বান গ্রহণ করেন এবং এক দুঃসাহসিক অভিযানে জার্মান সাবমেরিনে আফ্রিকার পূর্বদিকের সমুদ্র এবং সেখানে থেকে জাপানী সাবমেরিনে সুমাত্রা হয়ে টোকিও উপস্থিত হন ১৯৪৩ খ্রিঃ ১৩ ই জুন। জাপানের প্রধানমন্ত্রী তোজো তাকে সাদরে গ্রহণ করেন। ১৯৪৩ খ্রিঃ ২ রা জুলাই নেতাজী সিঙ্গাপুরে এলে তিনি বিপুলভাবে সম্বর্ধিত হন। রাসবিহারী বসু নিজে ৪ ঠা জুলাই পদত্যাগ করে সুভাষচন্দ্রকে ভারতীয় স্বাধীনতা সঙ্ঘের সভাপতি পদে বৃত করেন। ওই বছরেই ২৫ শে আগস্ট নেতাজী আনুষ্ঠানিকভাবে আজাদ হিন্দ ফৌজের সেনাপতিপদ গ্রহণ করেন।

১৯৪৩ খ্রিঃ ২১ শে অক্টোবর সুভাষচন্দ্র সমবেত পূর্ব এশিয়ার প্রতিনিধিগণের সমক্ষে অস্থায়ী আজাদ হিন্দ অর্থাৎ স্বাধীন ভারত সরকারের প্রতিষ্ঠা ঘোষণা করেন। ১৯৪৪ খ্রিঃ ১৯ শে মার্চ আজাদ হিন্দ ফৌজ ব্রহ্মদেশের সীমানা পার হয়ে ভারতে প্রবেশ করে এবং ২১ শে মার্চ জাপানের প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেন যে ভারতের যে সব অংশ থেকে ইংরাজ সৈন্য বিতাড়িত হয়েছে সেসব স্থান নেতাজীর প্রতিষ্ঠিত অস্থায়ী স্বাধীন ভারত সরকারের শাসনাধীন হবে। মণিপুরের রাজধানী ইম্ফলের পতন হলে আজাদ হিন্দ বাহিনীর কোহিমায় অবস্থানের সিদ্ধান্ত হয় যাতে প্রয়োজন মতো তারা ব্রহ্মপুত্র নদ অতিক্রম করে বঙ্গদেশ আক্রমণ করতে পারে।

আরও পড়ুন: সুনির্মল বসু জীবনী

আরও পড়ুন: শিবরাম চক্রবর্তী জীবনী

আরও পড়ুন: আশাপূর্ণা দেবী জীবনী

আরও পড়ুন: সুকুমার সেন জীবনী

আরও পড়ুন: মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় জীবনী

কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে আজাদ হিন্দ ফৌজের এই পরিকল্পনা সাফল্যমন্ডিত হয়নি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের গতিপ্রকৃতি ইতিমধ্যে পরিবর্তিত হয় এবং আমেরিকা বিপুল সৈন্য নিয়ে প্রশান্ত মহাসাগরের পথে জাপানের দিকে অগ্রসর হলে জাপান ভারত আক্রমণের আশা ত্যাগ করে স্বদেশভূমি রক্ষার জন্য ব্রহ্মদেশের মধ্য দিয়ে পশ্চাদপসরণ করতে থাকে। সঙ্গে সঙ্গে আজাদ হিন্দ ফৌজকেও পিছু হটতে হয় এবং এরপর ইংরাজ ও আমেরিকার বিপুল সেনাদল ব্রহ্মদেশ আক্রমণ করলে কিছুকাল যুদ্ধ করার পর আজাদ হিন্দ ফৌজ আত্মসমর্পণ করে। আজাদ হিন্দ ফৌজ নেতাজী সুভাষচন্দ্রের অসাধারণ সাংগঠনিক এবং সামরিক প্রতিভার স্বাক্ষর।

এই বাহিনী ভারত সীমান্তের মধ্যে ২৪১ কিলোমিটার পর্যন্ত অগ্রসর হয়েছিল। ইংরাজ সৈন্যদের সঙ্গে যুদ্ধেআজাদ হিন্দ ফৌজের ৪,০০০ সৈন্য নিহত হয়েছিল। যদিও নেতাজীর আজাদ হিন্দ ফৌজ প্রত্যক্ষভাবে ভারতবর্ষের স্বাধীনতা অর্জন করতে সমর্থ হয়নি, তথাপি এই বাহিনীর অতুল পরাক্রম ও দেশপ্রেম, কষ্টসহিষ্ণুতা, ত্যাগ ও আত্মোৎসর্গ ভারতের মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসে একটি উজ্জ্বল অধ্যায়। ১৯৪৫ খ্রিঃ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপান আত্মসমর্পণ করলে নেতাজী তার বাহিনীকে সরিয়ে নিতে বাধ্য হন। এই সময় তাইহোকু বিমান বন্দরে একটি বিমান দুর্ঘটনায় নেতাজির মৃত্যু হয়েছে বলে প্রচার করা হয়।

Share this:

  • Click to share on WhatsApp (Opens in new window)
  • Click to share on Facebook (Opens in new window)
  • Click to share on Telegram (Opens in new window)
  • Click to share on Twitter (Opens in new window)
  • Click to share on Pinterest (Opens in new window)
  • Click to print (Opens in new window)

Leave a Reply Cancel reply

নতুন চাকরির খবর.

SSC Staff Recruitment 2024

এসএসসির মাধ্যমে প্রচুর কর্মী নিয়োগ 2024 | SSC Staff Recruitment 2024

Upper Division Clerk Recruitment 2024

আপার ডিভিশন ক্লার্ক নিয়োগ 2024 | Upper Division Clerk Recruitment 2024

AI Airport Services Limited Recruitment 2024

মাধ্যমিক পাশে এয়ারপোর্টে কর্মী নিয়োগ 2024 | AI Airport Services Limited...

South East Central Railway Recruitment 2024

দক্ষিণ পূর্ব মধ্য রেলে অ্যাক্ট অ্যাপ্রেন্টিস নিয়োগ 2024 | South East...

Kolkata Metro Rail Accounts Recruitment 2024

কলকাতা মেট্রো রেলে অ্যাকাউন্ট নিয়োগ 2024 | Kolkata Metro Rail Accounts...

Omg ক্যামেরার সামনে সম্পূর্ণ নগ্ন হয়ে পোজ দিলেন কিম কার্দাশিয়ান, স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ায় po কর্মী নিয়োগের নতুন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ –....

       SKGUIDEBANGLA

  • মাধ্যমিক
  • উচ্চমাধ্যমিক
  • নবম শ্রেণি
  • চাকরির প্রস্তুতি
  • চাকরির খবর
  • অনলাইন মকটেস্টে
  • জীবনী

নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু জীবনী PDF | Netaji Subhash Chandra Bose Biography in Bengali Pdf

নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু সংক্ষিপ্ত জীবনী pdf – netaji subhash chandra bose biography in bengali pdf download.

Netaji Subhash Chandra Bose Biography in Bengali । নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু জীবনী বাংলাতে।

আজকে আমি আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর সম্পূর্ণ জীবনী | Netaji Subhash Chandra Bose full Biography in Bengali , যা যেকোন পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ, বা আগত টেস্ট ও ফাইনাল পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভাবে আপনাকে সাহায্য করবে‌ ।

তাই দেড়ি না করে এই পোস্টটা ভালো করে পড়ে নিন বা নীচে দেওয়া Download লিংকে ক্লিক করে নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু জীবনী pdf download করে নিতে পারেন। এবং প্রতিদিন বাড়িতে বসে YouTube Live Class এর মাধ্যমে  ক্লাস করতে চাইলে আমাদের YouTube Channel এ ভিজিট করো ও Subscribe করে নিতে পারেন।

YouTube Link - .   OUR ONLINE SCHOOL    SUBSCRIBE                 

     : আরও পোস্ট :     B   

A. কবি কাজী নজরুল ইসলাম জীবনী PDF

নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর সংক্ষিপ্ত জীবনী pdf–  Netaji Subhash Chandra Bose Short Biography in Bengali Pdf

আজকের সময়ে ভারত তার বৈচিত্রময় সংস্কৃতি, প্রাচীন ঐতিহ্য এবং সমৃদ্ধশালী ইতিহাসের সাথে গত কয়েক বছর ধরে অগ্রগতির পথে অসাধারণ বেগ লাভ করেছে। ক্রমবর্ধমান অর্থনীতি, প্রযুক্তিগত উন্নতিসাধন এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে অগ্রগতির সাথে সাথে ভারত আজ সারা বিশ্বে একটি শক্তিধর রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। মহাকাশে চন্দ্রযান মিশন থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রযুক্তিগত আবিষ্কার, আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থা, শক্তিশালী সেনাবাহিনী, উন্নত স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা ব্যবস্থা, বাইরের দেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন সহ বিভিন্ন কাজের জন্য সারা বিশ্বে আজ ভারতের নাম কেই না জানে। কিন্তু ভারতের এই যে এতো উন্নতি, এতো অগ্রগতি আদৌ কি সম্ভব হতো? যদি ভারত স্বাধীনতা লাভ না করতে পারতো। আর ভারতের স্বাধীনতার লাভের কথা যখন আলোচনায় আসে তখন এমন এক রহস্যময় ব্যক্তিত্বের কথাও উঠে আসে যার অদম্য চেতনা এবং স্বাধীনতার প্রতি নিরোলস সাধনা কথা আজও সারা বিশ্ববাসীকে অনুপ্রাণিত করে।

অদম্য সাহসী এবং ভারতের মুক্তির জন্য আন্তরিকভাবে নিবেদিত নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু ঔপনিবেশিক নিপীড়নের অন্ধকার ছায়ার মধ্যে সাহসের এক উজ্জ্বল আলোকবার্তা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন। ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাসে এই অসাধারণ ব্যক্তি নেতাজি নামেও পরিচিত।

ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে নেতাজি হলেন এক উজ্জ্বল ও মহান চরিত্র যিনি নিজের সমগ্র জীবন ভারতের স্বাধীনতার জন্য উৎসর্গ করেছিলেন। আজকের নিবন্ধে ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামের এই চিরস্মরণীয় কিংবদন্তি নেতা সম্পর্কে সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য অর্থাৎ নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্ম, শৈশবকাল, শিক্ষা, কর্মজীবন থেকে শুরু করে তার রাজনৈতিক জীবনে প্রবেশ, সেনাবাহিনী গঠন ও জীবনের শেষ পর্যায়ে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আলোচনা করব।

নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর জন্ম |নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর জন্ম (Netaji Subhash Chandra Bose’s Birthday in bengali)

বর্তমান ভারতের উড়িষ্যা রাজ্যের কটকে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু 1997 সালের 23 শে জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেছিলেন। সুভাষচন্দ্র বসুর বাবা হলেন জানকীনাথ বসু যিনি পেশায় একজন সফল সরকারি আইনজীবী ছিলেন এবং মায়ের নাম হল প্রভাবতী বসু। সুভাষচন্দ্র বসু ছিলেন তার বাবা-মায়ের চৌদ্দ সন্তানের মধ্যে নবম সন্তান। 

নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর পিতার ও মাতার নাম (Netaji Subhash Chandra Bose’s Father and Mother in Bengali) :

নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর সংক্ষিপ্ত জীবনী –  netaji subhash chandra bose short biography in bengali.

নাম (Name): নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু (Netaji Subhas Chandra Bose)

জন্ম (Birthday) 1997 সালের 23 শে জানুয়ারি বর্তমান ভারতের উড়িষ্যা রাজ্যের কটকে।

অভিভাবক (Guardian) পিতার নাম জানকীনাথ বসু ও মাতার নাম প্রভাবতী বসু।

ছদ্দনাম (Pseudonym) নেতাজী

দাম্পত্যসঙ্গী (Spouse) এমিলি শেংকেল

পেশা (Career) স্বাধীনতা সংগ্রামী

মৃত্যুস্থান জাপান

মৃত্যু (Death) 1945 খ্রিস্টাব্দের 20 আগস্ট

নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর শৈশব জীবন| (Netaji Subhash Chandra Bose’s Childhood in bengali)

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু শৈশব জীবনে তার পাঁচ বড় ভাইয়ের সঙ্গে 1902 সালে কটকের প্রটেস্ট্যান্ট ইউরোপীয় স্কুলে ভর্তি হয়েছিলেন যা বর্তমানে স্টুয়ার্ট স্কুল নামে পরিচিত। বিদ্যালয়টিতে সমস্ত শিক্ষাদানের মাধ্যম ছিল ইংরেজি, কোনও ভারতীয় ভাষা শেখানোর ব্যবস্থা ছিল না।

বিদ্যালয়টি সুভাষচন্দ্র বসুর বাবার ভীষণ পছন্দ ছিল কারণ তিনি চেয়ে ছেলে যেন নির্দ্বিধায় ত্রুটিহীন ইংরেজি বলতে পারে। বাড়িতে সুভাষ চন্দ্র বসু বাংলা ভাষায় কথা বলতেন।

মা প্রভাবতী বসুর সঙ্গে শৈশবকালে সুভাষচন্দ্র বসু বিভিন্ন দেব দেবীর উপাসনা, মহাভারত ও রামায়ণ মহাকাব্য পড়া এবং বাংলা ভক্তিগীতি গাইতেন।

তিনি দুর্দশা গ্রস্ত লোকেদের সাহায্য করতেন ও প্রতিবেশী ছেলেদের সঙ্গে খেলাধুলা করতে মিশতে ভালোবাসতেন। ছোটবেলায় মায়ের কাছ থেকেই সুভাষচন্দ্র এই স্নেহশীল স্বভাব লাভ করেন। 

নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর শিক্ষা জীবন | (Educational Qualification of Netaji Subhash Chandra Bose in bengali ) :

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আগের মত আবারো তার পাঁচ ভাইকে অনুসরণ করে 12 বছর বয়সে 1909 সালে কটকের রাভেনশ ভর্তি হয়। সেখানে তিনি বাংলা ও সংস্কৃত ভাষা সম্পর্কে শিক্ষা লাভ করতেন এবং পাশাপাশি বিভিন্ন হিন্দু ধর্মগ্রন্থ উপনিষদ সম্পর্কেও জ্ঞান লাভ করতেন।

সুভাষচন্দ্র বসু ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনার প্রতি অত্যন্ত মনোযোগী ও মেধাবী ছিলেন। বিভিন্ন প্রতিযোগিতা ও পরীক্ষায় সহজেই নিজের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করতে পারতেন। তিনি 1912 সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় দ্বারা পরিচালিত ম্যাট্রিক পরীক্ষায় দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছিলেন। তারপরে 1913 সালে কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজে ভর্তি হন। সেখানে তিনি দর্শন বিষয়কে প্রধান বিষয় হিসেবে বেছে নিয়ে বিভিন্ন পাশ্চাত্য দার্শনিক সম্পর্কে পড়াশোনা করতে থাকেন।

তার বাবা চেয়েছিলেন নেতাজি একজন সরকারি কর্মচারী হোক এবং তাই তাকে ভারতীয় সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য ইংল্যান্ডে পাঠান। সুভাষচন্দ্র বসু ইংরেজিতে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে চতুর্থ স্থান লাভ করেন। কিন্তু স্বাধীনতা আন্দোলনে অংশগ্রহণের জন্য তার তাগিদ তীব্র ছিল এবং 1921 সালের এপ্রিল মাসে, বিপ্লব সচেতন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে নিয়োগপত্র প্রত্যাখ্যানও করেন। তারপরে ভারতে ফিরে আসেন।

নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর কর্মজীবন | Career of poet Netaji Subhash Chandra Bose in bengali

সুভাষচন্দ্র বসু, ইংল্যান্ড থেকে ফিরে বর্তমান ভারতের মুম্বাইতে পাড়ি দেন এবং সেখানে গান্ধীর সঙ্গে সাক্ষাতের আয়োজন করেন। সেইসময়, 51 বছর বয়স্ক গান্ধী, অসহযোগ আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন, যা পূর্ববর্তী বছরে ভারতের সমাজে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল।

গান্ধী সেদিন বিকেলেই বসুর সাথে দেখা করতে সম্মত হন। অনেক বছর পরে এক লেখায় এই সাক্ষাতের বিবরণে তিনি লেখেন, তিনি গান্ধীকে প্রশ্নবাণে জর্জরিত করেছিলেন। তাঁর মতে গান্ধীর লক্ষ্য অস্পষ্ট এবং তার পরিকল্পনা সুচিন্তিত ছিল না। গান্ধী এবং বসু প্রথম সাক্ষাতেই আন্দোলনের উপায় সম্পর্কে ভিন্নমত পোষণ করেন।

বসুর মতে, ঔপনিবেশিক শক্তির বিরুদ্ধে যেকোনো উপায়ই গ্রহণযোগ্য ছিল। সুভাষচন্দ্র বসু একনায়কতান্ত্রিক শাসনের প্রতি আকৃষ্ট ছিলেন কিন্তু গান্ধী পরিপূর্ণভাবে এর বিপরীত মত পোষণ করেছিলেন।

তার রাজনৈতিক গুরু ছিলেন বাংলার মহান জাতীয়তাবাদের প্রবক্তা দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাস। এছাড়াও স্বামী বিবেকানন্দের ভাবাদর্শ তাকে আরও উদ্বুদ্ধ করেছিল এবং ছাত্রাবস্থা থেকে তিনি রাজনৈতিক জীবনে প্রতি অগ্রসর হন। দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাস সুভাষচন্দ্র বসুকে জাতীয়তাবাদী রাজনীতিতে প্রবেশ করান।

এরপরে সুভাষচন্দ্র বসু 'সরাজ' নামক সংবাদপত্রে লেখালেখি শুরু করেন এবং বঙ্গীয় প্রদেশ কমিটির প্রচারের দায়িত্বে নিযুক্ত হন। 1923 সালে সুভাষচন্দ্র বসু সর্বভারতীয় যুব কংগ্রেসের সভাপতি এবং একইসঙ্গে বঙ্গীয় প্রাদেশিক কংগ্রেসের সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন। এর পাশাপাশি তিনি চিত্তরঞ্জন দাস দ্বারা প্রতিষ্ঠিত ফরওয়ার্ড পত্রিকার সম্পাদক হিসেবেও কর্মরত ছিলেন।

এরপরে 1924 সালে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাস কলকাতার মেয়র নির্বাচিত হলে সুভাষচন্দ্র বসু কলকাতা পৌরসংস্থার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবেও কাজ করেন। 1925 সালে সুভাষচন্দ্র বসুকে গ্রেফতার করে মান্দালয়ে র কারাগারে পাঠানো হয়।

জেল থেকে ফিরে 1927 সালে সুভাষচন্দ্র বসু ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন। তারপরে নেতাজি জহরলাল নেহেরুর সঙ্গে ভারতের স্বাধীনতার লক্ষ্যে কাজ শুরু করেন। এর কিছুদিন পরেই নেতাজিকে আইন অমান্য আন্দোলনের জন্য আবার গ্রেফতার করে জেলে পাঠানো হয়। এই পর্যন্ত গত কুড়ি মধ্যে সুভাষচন্দ্র মোট 11 বার গ্রেফতার হয়েছিলেন।

1938 সাল অবধি সুভাষচন্দ্র জাতীয় পর্যায়ের নেতায় পরিণত হয়েছিলেন এবং কংগ্রেস দলের সভাপতি হিসেবে মনোনীত হয়েছিলেন। তিনি ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে শক্তি দেখিয়ে শর্তহীন স্বরাজের পক্ষে মত প্রদান করেন। ফলে তাঁর সাথে গান্ধীজীর সংঘাত সৃষ্টি হয়, যিনি বসুর সভাপতি পদের বিরোধিতা করেন। ফলশ্রুতিতে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস দলটি বিভক্ত হয়ে যায়।

বসু ঐক্যবধ্য করে রাখার চেষ্টা করেন, কিন্তু গান্ধী সুভাষকে তাঁর নিজস্ব পরিষদ গঠন করার পরামর্শ দেন। এই ঘটনায় বসু ও নেহেরুর মধ্যেও বিভাজন সৃষ্টি হয়। পরে সুভাষচন্দ্র 1939 সালের কংগ্রেস সভায় হাজির হয়ে গান্ধীর পছন্দের প্রার্থী পট্টভি সীতারামাইয়াকে পরাজিত করে পুনরায় সভাপতি নির্বাচিত হন। যাহোক, কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটিতে গান্ধী নেতৃত্বাধীন দলের বিভিন্ন কৌশলের কারণে, সুভাষচন্দ্র কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন।

নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর পারিবারিক জীবন |

1934 সালে বর্তমান মায়ানমারের বার্মার মান্দালয়ের জেলে বন্দি থাকা অবস্থায় সুভাষচন্দ্র গুরুতরভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। ব্রিটিশ সরকার তাকে এক শর্তে মুক্তি দিতে রাজি হন যে, ভারতের কোনো ভূখণ্ড না-ছুঁয়ে তিনি যদি বিদেশে কোথাও পাড়ি দেন তবেই মুক্তি পাওয়া যাবে।

সুভাষচন্দ্র তখন ইউরোপে যাওয়ার মনস্থিন করেন ও ভিয়েনাতে গিয়ে পৌঁছান। সেখনে দুই বছর চিকিৎসাধীন থাকার সময়ে অবসরে তিনি দুটি বই লেখার সিদ্ধান্ত নেন, তার আত্মজীবনী 'Indian Pilgrim' আর 'India's Struggle for Freedom'। সেই সময়ে তার পাণ্ডুলিপি লেখার জন্যে এক অস্ট্রিয়ান মহিলা এমিলি শেংকেল তাকে সাহায্য করেন যিনি পরবর্তীকালে তার সচিবও হন।

এই এমিলি শেংকেলের সঙ্গেই পরবর্তীকালে তার বিবাহ হয়। তাদের এক কন্যাসন্তান আছে যার নাম অনিতা বসু পাফ। এমিলি শেংকেল কখনো ভারতে আসেননি, কিন্তু বৃহত্তর বসু পরিবার ও নেতাজির সহযোগীদের সঙ্গে তার চিরকাল যোগাযোগ ও সুসম্পর্ক ছিল।

1996 খ্রিষ্টাব্দে তিনি প্রয়াত হন। অনিতা বসু পাফ তার পিতার দেশ ভারতে বহুবার এসেছেন। তিনি পেশায় অর্থনীতিবিদ, তার স্বামী মার্টিন পাফ জার্মান পার্লামেন্টের প্রাক্তন সদস্য। তাদের দুই পুত্র ও এক কন্যা সন্তান আছে।

আজাদ হিন্দ ফৌজ গঠন :

পশ্চিমের দেশ গুলিতে যখন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ঘনঘটা তখন সুভাষচন্দ্র পূর্ণ স্বাধীনতা সংগ্রামের সুযোগের অপেক্ষায় রইলেন। 1940 সালে তিনি আবার বন্দি হলেন। শেষমেষ স্বাস্থ্যের অবনতির জন্য ইংরেজ সরকার তাঁকে মুক্তি দিয়ে নিজগৃহে নজরবন্দী অবস্থায় থাকতে দিল।

এরপরেই সুভাষচন্দ্র একা থাকতে শুরু করলে এবং হঠাৎ করেই 1941 সালের 16 জানুয়ারি তিনি নিরুদ্দেশ হলেন। জিয়াউদ্দিনের ছদ্মবেশে ‘হজযাত্রী’ হয়ে দেশ ছাড়লেন।

প্রথমে কাবুল পরে রাশিয়া, জার্মানি, জাপান, সিঙ্গাপুরে এসে পৌঁছন। জাপানিদের হাতে ভারতীয় যুদ্ধবন্দিরা সিঙ্গাপুরে তাঁর উপস্থিতিতে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা প্রকাশ করে। ইতোমধ্যেই জাপানে থাকা অন্যতম ভারতীয় বিপ্লবী রাসবিহারী বসু পূর্ব এশিয়ায় ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলন সংগঠিত করেন। তিনি আজাদ হিন্দ ফৌজ (Indian National Army) গঠন করেন। রাসবিহারী বসু আনুষ্ঠানিকভাবে আজাদ হিন্দ ফৌজের দায়িত্বভার সুভাষ বসুকে অর্পণ করেন।

1943 সালের 25 আগস্ট সুভাষ আই.এন.এ-র (INA) সর্বাধিনায়ক হন এবং ঐ একই বছর 21 অক্টোবর অস্থায়ী আজাদ হিন্দ সরকার গঠনের কথা ঘোষণা করেন। 1944 সালের জানুয়ারি মাসে তিনি রেঙ্গুনে আইএনএ-র সদরদপ্তর স্থানান্তর করেন। তিনি রেঙ্গুন থেকে ভারত-বার্মা সীমান্তে ব্রিটিশ বাহিনীর বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করেন এবং ভারতের দিকে অগ্রসর হন। 1944 সালের মার্চ মাসে তিনি তাঁর অগ্রাভিযানে ইম্ফল ও কোহিমায় দুটি ব্রিটিশ সামরিক চৌকি দখল করেন ও সেখানে স্বাধীন ভারতের পতাকা উত্তোলন করেন। এই সময়েই তাকে “নেতাজি” বলে সমাদৃত করা হয়েছিল যার দ্বারা তাকে আজও সাধারণভাবে উল্লেখ করা হয়।

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মৃত্যু বিতর্ক :

ঐতিহাসিকদের মতে, 1945 সালের 18 আগস্ট, সুভাষচন্দ্র বসুকে বহনকারী জাপানি বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পর, আগুনে পুড়ে গিয়ে নেতাজির মৃত্যু ঘটে। তবে, তার অনেক অনুগামীই, বিশেষত বাংলায়, সে সময় এই ঘটনাটি অস্বীকার করে এবং এমনকি এখনো তার মৃত্যু সম্পর্কিত পরিস্থিতি ও তথ্য অবিশ্বাস করে। তার মৃত্যুর কয়েক ঘন্টার মধ্যেই বহু ষড়যন্ত্র তত্ত্ব আবির্ভূত হয়।

বিমান দুর্ঘটনার পর চিকিৎসা সত্ত্বেও সুভাষচন্দ্র বসু কোমায় চলে যান। কয়েক ঘণ্টা পর, 1945 সালের 18 আগস্ট, শনিবার, রাত নয়টা থেকে দশটার মধ্যে , 48 বছর বয়স্ক সুভাষচন্দ্র বসু মৃত্যুবরণ করেন। দুদিন পর, 1945 খ্রিস্টাব্দের 20 আগস্ট, তাইহোকু শ্মশানে সুভাষচন্দ্র বসুর মরদেহ দাহ করা হয়। যদিও তার মৃত দেহ কাউকে দেখানো হয়নি, এমনকি, মৃতদেহের কোনো ছবিও তোলা হয়নি। 1945 খ্রিস্টাব্দের 23 অগস্ট জাপানি সংবাদ সংস্থা কর্তৃক সুভাষচন্দ্র বসুর মৃত্যুর খবর ঘোষণা করা হয়। যদিও এটি ব্যাপকভাবে বিশ্বাস করা হয় যে তার পরেও তিনি বহু বছর বেঁচে ছিলেন।

নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু এর সম্পর্কে প্রায়শই জিজ্ঞাসিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর | Nazrul Islam Biography related FAQ

প্রশ্ন: নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু কে ?

উত্তর : নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু ছিলেন ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামী ও নেতা ।

প্রশ্ন: নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর কত তারিখে?

উত্তর : 1997 সালের 23 শে জানুয়ারি।

প্রশ্ন: নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর জন্ম স্থান?

উত্তর : বর্তমান ভারতের উড়িষ্যা রাজ্যের কটকে নেতাজীর জন্ম হয়।

প্রশ্ন: নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর পিতা ও মাতার নাম কি?

উত্তর : কবি কাজী নজরুল ইসলামের পিতার নাম ফকির আহমদ ও মাতার নাম জাহেদা খাতুন।

প্রশ্ন: নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর স্ত্রীর নাম কী ?

উত্তর : নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর স্ত্রীর নাম এমিলি সেঙ্কল।

প্রশ্ন: নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর সন্তানের নাম কী ?

উত্তর : নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর সন্তানের নাম অনিতা বসু পাফ ।

প্রশ্ন: নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর রাজনৈতিক দলের নাম কী ?

উত্তর : নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর রাজনৈতিক দলের নাম ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস ।

প্রশ্ন: নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর সৌধ কোথায় আছেন?

উত্তর : জাপানের তাইহোকু শ্মশানে

বিনামূল্যে শিক্ষা বিষয়ক বিভিন্ন তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন

File Details:-

File Name :- Netaji Subhash Chandra Bose Biography in pdf download 

File Format:- PDF

File Location :- Google Drive

  Download :     Click Here to Download  

      : আরও পোস্ট দেখো    : B            

শেষ কিছু কথা :-

বন্ধুরা, আশা করি আপনারা নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর জীবন সম্পর্কে কিছু টা হলেও পরিচিতি পাবেন। আপনি অবশ্যই নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর জীবনী ব্লগটি পছন্দ করেছেন। আপনি যদি আমার এই ব্লগটি পছন্দ করেন তবে এটি আপনার বন্ধুদের সাথে এবং আপনার সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে শেয়ার করুন।

যদি আপনার কোন মন্তব্য থাকে, তাহলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন, আপনি আমাকে ইমেল করতে পারেন বা আমাকে সোশ্যাল মিডিয়াতে অনুসরণ করতে পারেন, আমি শীঘ্রই একটি নতুন লেখা নিয়ে আপনার সাথে দেখা করব, ততক্ষণ পর্যন্ত আমার ব্লগে থাকুন " ধন্যবাদ"

Netaji Subhas Chandra Bose - The hero of India's freedom movement

Speeches and Writings Collections can be found here

The following major resources have been used as source materials -, history of freedom movement in india by dr. ramesh chandra majumdar, ami subhas bolchi (bengali) by shailesh dey, subhas chandra bose by girija mukherjee, the sign of the tiger by rudolph hartog, udyato khargo (bengali) by achintya kumar sengupta, the springing tiger by major hugh toye, the indian struggle - 1920-42 by subhas chandra bose, an indian pilgrim by subhas chandra bose, subhas chandra bose by nanda mukherjee , jayasree publications, my uncle netaji by ashok nath bose, netaji o azad hind fauj (bengali) by jyoti prasad basu, netaji dead or alive by samar guha, india's greatest cover up by anuj dhar, netaji, living dangerously by kingshuk nag, gumnami baba, a case history by adheer som, amar bandhu subhas (bengali) by dilip kumar roy, conundrum - life after death of subhas chandra bose by anuj dhar & chandrachud ghosh, justice mukherjee commission report 2000-2006, oi mahamanab ase (bengali) by charanik, jayasree publications, https://jayasreepatrika.wordpress.com/, testament of subhas bose by arun, rajkamal publishers, jaruri kichu lekha by subhas chandra bose, published by netaji research bureau, subhas ghare phere nai (bengali) by shyamal bose, netaji rahasya (bengali) by dr. satyanarayan sinha, bose or gandhi, who gave india her freedom - major general g.d bakshi, subhas a political biography by sitanshu das, unto him a witness by s.a ayer, jai hind : the story of a rebel daughter of india with the rani of jhansi regiment - amritlal sheth, his majesty's opponent by dr. sugato bose, selected speeches of subhas chandra bose by s.a ayer, crossroads - works of subhas chandra bose, 1938-1940 by netaji research burea u, azad hind fauzer court martial o gana bikkhov (bengali) by ladli mohan roy chaudhury, i.n.a and its netaji by shahnawaz khan, netaji subhas chandra bose - contemporary anecdotes...by priyadarshi mukherjee, india's struggle for freedom, major general a.c chatterjee, the forgotten army, by peter ward fay, story of the i.n.a by s.a ayer, mahanayak by vishwas patil (english version), subhaschandra o netaji subhaschandra by chattopadhyay, sabitriprasanna, mrityunjayi subhas, taihoku theke bharate by sri abhijeet, netaji life and works - edited by shri ram sharma, muktisangrame bangali sainik, by nitailal basu, history of freedom movement of india volumes 2 and 3 by dr. r.c majumdar, sabar alakhye by bhupendra kishore rakshit roy, mukti sangrame bangali by nitailal bose, bharater swadhinata sangram, basu bari by sisir kumar bose, rabindranath o subhas chandra, netaji sango o prasango - narendra narayan chakrabarty, banhiman netaji, discussion forums, mission netaji discussion group on facebook, india's biggest cover up discussion group on facebook, jayasree, the voice of netaji - facebook group, facebook pages of dr. jayanta choudhuri, dr. madhusudan pal, anuj dhar - researchers on netaji, netaji discussion forum on facebook, web resources, mission netaji, jayasree publications, http://focusnetaji.org/, netaji research bureau, www.archive.org (books and audio), netaji papers (declassified files on national archive, https://en.wikipedia.org/wiki/subhas_chandra_bose, https://www.britannica.com/biography/subhas-chandra-bose, https://www.revolutionarydemocracy.org/rdv7n1/bose.htm, https://en.wikiquote.org/wiki/subhas_chandra_bose, other resources.

What happened to Netaji by Anuj Dhar

Indian National Army by K.K Ghosh

Netaji Rediscovered by Kanailal Basu

Netaji Subhas Chandra Bose: Feared even in Captivity by Santanu Banerjee

Netaji in Germany - A Little Known Chapter by N.G Ganpule

Subhas Chandra Bose as I know him by Kitty Kurti

Der Tiger Indiens: Subhas Chandra Bose by Alexander Werth

Netaji Theke Bhagwanji - Dr. Madhusudan Pal

Netaji - Kichhu Bitorko Kichhu Tathyo - Dr. Madhusudan Pal

Chakravyuhe Netaji - Keshab Bhattacharya

Subhas Chandra Bose: A Biography by Marshall J Getz

Brothers against the Raj by Leonard Gordon

Bose, the Indian Samurai by Major Gen G.D Bakshi

Laid to Rest: The controversy over Subhas Chandra Bose's death by Ashish Roy

Netaji Subhas Chandra Bose by Dr. Sisir Kumar Bose

Netaji Subhas Chandra Bose, from Kabul to Battle of Imphal by H. N Pandit

Raj, Secrets, Revolution: A Life of Subhas Chandra Bose by Mihir Bose

Women at War - Subhas Chandra Bose and the Rani of Jhansi Regiment by Vera Hildebrand

Internet Archive Audio

netaji biography in bengali pdf

  • Grateful Dead
  • Old Time Radio
  • 78 RPMs and Cylinder Recordings
  • Audio Books & Poetry
  • Computers, Technology and Science
  • Music, Arts & Culture
  • News & Public Affairs
  • Spirituality & Religion
  • Radio News Archive

netaji biography in bengali pdf

  • Flickr Commons
  • Occupy Wall Street Flickr
  • NASA Images
  • Solar System Collection
  • Ames Research Center

netaji biography in bengali pdf

  • All Software
  • Old School Emulation
  • MS-DOS Games
  • Historical Software
  • Classic PC Games
  • Software Library
  • Kodi Archive and Support File
  • Vintage Software
  • CD-ROM Software
  • CD-ROM Software Library
  • Software Sites
  • Tucows Software Library
  • Shareware CD-ROMs
  • Software Capsules Compilation
  • CD-ROM Images
  • ZX Spectrum
  • DOOM Level CD

netaji biography in bengali pdf

  • Smithsonian Libraries
  • FEDLINK (US)
  • Lincoln Collection
  • American Libraries
  • Canadian Libraries
  • Universal Library
  • Project Gutenberg
  • Children's Library
  • Biodiversity Heritage Library
  • Books by Language
  • Additional Collections

netaji biography in bengali pdf

  • Prelinger Archives
  • Democracy Now!
  • Occupy Wall Street
  • TV NSA Clip Library
  • Animation & Cartoons
  • Arts & Music
  • Computers & Technology
  • Cultural & Academic Films
  • Ephemeral Films
  • Sports Videos
  • Videogame Videos
  • Youth Media

Search the history of over 866 billion web pages on the Internet.

Mobile Apps

  • Wayback Machine (iOS)
  • Wayback Machine (Android)

Browser Extensions

Archive-it subscription.

  • Explore the Collections
  • Build Collections

Save Page Now

Capture a web page as it appears now for use as a trusted citation in the future.

Please enter a valid web address

  • Donate Donate icon An illustration of a heart shape

The Indian Struggle 1920-1942

Bookreader item preview, share or embed this item, flag this item for.

  • Graphic Violence
  • Explicit Sexual Content
  • Hate Speech
  • Misinformation/Disinformation
  • Marketing/Phishing/Advertising
  • Misleading/Inaccurate/Missing Metadata

This item is part of a library of books, audio, video, and other materials from and about India is curated and maintained by Public Resource. The purpose of this library is to assist the students and the lifelong learners of India in their pursuit of an education so that they may better their status and their opportunities and to secure for themselves and for others justice, social, economic and political.

This library has been posted for non-commercial purposes and facilitates fair dealing usage of academic and research materials for private use including research, for criticism and review of the work or of other works and reproduction by teachers and students in the course of instruction. Many of these materials are either unavailable or inaccessible in libraries in India, especially in some of the poorer states and this collection seeks to fill a major gap that exists in access to knowledge.

For other collections we curate and more information, please visit the Bharat Ek Khoj page. Jai Gyan!

plus-circle Add Review comment Reviews

16,031 Views

45 Favorites

DOWNLOAD OPTIONS

For users with print-disabilities

IN COLLECTIONS

Uploaded by associate-eliza-zhang on December 6, 2018

SIMILAR ITEMS (based on metadata)

Granthagara

Free Online Bengali Library

নেতাজী | Netaji

Netaji by Shailesh Bishi - শৈলেশ বিশী

লেখকের অন্যান্য বই

  • বিপ্লবী শরৎচন্দ্রের জীবন প্রশ্ন
  • বিপ্লবী শরৎচন্দ্রের জীবন প্রশ্ন [সংস্করণ-২]

সম্পর্কিত বই

  • বরের বাপ [সংস্করণ-১]
  • জ্ঞানদারঞ্জন নাটক
  • শান্তি-রহস্য [সংস্করণ-৩]
  • শান্তি-পাগল

বই থেকে নমুনা পাঠ্য (মেশিন অনুবাদিত)

  • Issue: * Copyright Infringement Spam Invalid Contents Broken Links
  • Your Name: *
  • Your Email: *

Leave a Comment Cancel reply

Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.

  • Academic Books
  • Childrens Novel
  • Children’s Book
  • Computer & Internet Books
  • Classic Books
  • Educational
  • Islamic Books
  • Kishore Sahitya
  • Liberation War
  • Magical Realism
  • Non-Fiction
  • Questions Bank
  • Rachanabali
  • Rare Bangla Books
  • Science Fiction
  • Spiritual Books
  • Story Books
  • Supernatural
  • Latest Release
  • Autobiography

1975_shal by Syed Ali Ahsan

IMAGES

  1. নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু জীবনী PDF

    netaji biography in bengali pdf

  2. Biography of netaji in bengali| নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জীবনী| নেতাজির

    netaji biography in bengali pdf

  3. Netaji Biography in Bengali » Online Shikkha Site

    netaji biography in bengali pdf

  4. নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু জীবনী

    netaji biography in bengali pdf

  5. নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর জীবনী

    netaji biography in bengali pdf

  6. নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জীবনী

    netaji biography in bengali pdf

VIDEO

  1. নেতাজি দেশে ফিরতে চেয়েছিলেন শুধু দেহ রাখতে : স্বাধীনতা সংগ্রামী বিমল নন্দী

  2. নায়িকা দেবশ্রী রায় এর জীবন কাহিনী

  3. Netaji Jayanti Speech in Bengali || Netaji Subhash Chandra Bose Biography || নেতাজি জয়ন্তী বক্তব্য

  4. অভিনেত্রী আনোয়ারা এর জীবন কাহিনী!

  5. NETAJI 🙂🙏💯

  6. নায়িকা পারভীন সুলতানা দিতি এর জীবন কাহিনী

COMMENTS

  1. সুভাষচন্দ্র বসু

    PDF ডাউনলোড ... Tamilnation.org এ মিহির বসুর "The lost hero: A Biography of Subhas Bose" এর কিছু অংশ ...

  2. নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জীবনী বাংলায় প্রবন্ধ রচনা Netaji Subhas

    Netaji Subhas Chandra Bose Biography in Bengali, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জীবনী, জন্ম,বাবা মা ...

  3. নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু জীবনী

    নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু জীবনী PDF | Netaji Subhash Chandra Bose Biography in Bengali নেতাজী ...

  4. নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জীবনী

    নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জীবনী-Netaji Subhas Chandra Bose Biography In Bengali

  5. নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু জীবনী বাংলা pdf || নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু রচনা

    Wbstudy.in Provide Gk, Current Affairs, Notebook, Questions Paper, Answer Key, Admit, Result, Book, Job News, Career, Online Free Course in Bengali.

  6. নেতাজীর জীবনী ও বাণী [সংস্করণ-১]

    Price:Rs.0 | Pages:180 | Size:4 MB | Author:Nripendranath Singha - নৃপেন্দ্রনাথ সিংহ | নেতাজীর জীবনী ও ...

  7. Netaji Sangha O Prasangha Bangla ebook pdf

    Netaji Sangha O Prasangha by Narendra Narayan Chakrabarty Bangla ebook pdf. ebook name- Netaji Sangha O Prasangha (নেতাজী সঙ্গ ও প্রসঙ্গ) part- 1, 2 and 3. Writer- Narendra Narayan Chakrabarty. Book genre- Biography ebook. File format- PDF. Quality- best, without any watermark.

  8. নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু বায়োগ্রফি Netaji Subhas Chandra Bose Biography

    নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু ২৩-শে জানুয়ারি, ১৮৯৭ সালে কটকে (উড়িষ্যা) জানকীনাথ বসু এবং প্রভাবতী দেবীর ঘরে জন্মগ্রহণ করেন। আট ভাই ও ছয় ...

  9. Subhas Chandra Bose

    Subhas Chandra Bose was born January 23, 1897 to an affluent Bengali family in Cuttack, Orissa in India. His father, Janakinath Bose, was a public prosecutor who believed in orthodox nationalism, and later became a member of the Bengal Legislative Council. Bose was educated at Ravenshaw Collegiate School, Cuttack, Scottish Church College ...

  10. নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু জীবনী

    নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু র জন্ম: Netaji Subhas Chandra Bose's Birthday. নেতাজি ...

  11. নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু জীবনী PDF

    নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর সংক্ষিপ্ত জীবনী - Netaji Subhash Chandra Bose Short Biography in Bengali

  12. Books and Resources

    Subhas Chandra Bose by Nanda Mukherjee, Jayasree Publications. My Uncle Netaji by Ashok Nath Bose. Netaji o Azad Hind Fauj (Bengali) by Jyoti Prasad Basu. Netaji Dead or Alive by Samar Guha. India's Greatest Cover Up by Anuj Dhar. Netaji, Living Dangerously by Kingshuk Nag. Gumnami Baba, a Case History by Adheer Som.

  13. Netaji Research Bureau

    NETAJI BHAWAN in Kolkata, the ancestral house of Subhas Chandra Bose—38/2 Lala Lajpat Rai Sarani, formerly 38/2 Elgin Road—is a place of national pilgrimage for Indians of all regions, faiths and classes. On 23 January 1947, Sarat Chandra Bose, eminent freedom fighter and Netaji's older brother, dedicated this historic house to the nation.

  14. নেতাজী সুভাষচন্দ্র

    Price:Rs.0 | Pages:184 | Size:4 MB | Author:Hemendra Bijoy Sen - হেমেন্দ্রবিজয় সেন | নেতাজী ...

  15. Netaji Subhas Chandra Bose Declassified Files

    ALL files declassified by the current government (from 23 Jan 2016 to 28 Oct 2016) in PDF format. An excel sheet containing the details of the files such as... Skip to main content. Ask the publishers to restore access to 500,000+ books. ... netaji Identifier-ark ark:/13960/t20d0dp9r Ocr ABBYY FineReader 11.0 Ppi 600 Scanner Internet Archive ...

  16. PDF N E T A J I' S LIFE and WRITINGS

    The NetaJi Publishing Society has great pleasure in present-ing to the public the unfinished utobiography of`Netaji Sub-has Chandra Bose. Netaji wanted to give his autobiography, when completed, the title "An Indian Pilgrim". That is how his autobiography derives the name. "An Indian Pilgrim" takes the reader from Netaji's

  17. Netaji : Subhas Chandra Bose's Life, Politics & Struggle

    Krishna Bose (1930-2020) was a Member of Parliament for three terms, elected to the Lok Sabha from West Bengal. From 1999 to 2004, she chaired the parliamentary standing committee on external affairs. In her professional life, she was a professor of English Literature. In December 1955, Krishna (nee Chaudhuri) married Dr Sisir Kumar Bose (1920 ...

  18. Subhas Chandra Bose

    Subhas Chandra Bose. Subash Chandi Bose (Bengali: সুভাষ চন্দ্র বসু) was an Indian freedom fighter and one of the biggest causes to Bharat's freedom. He was known as Netaji. He was the President of Indian National Congress from 1938 to 1939. He attempted to get rid of British rule in Bharat during World War II.

  19. Subhas Chandra Bose

    Subhas Chandra Bose (/ ʃ ʊ b ˈ h ɑː s ˈ tʃ ʌ n d r ə ˈ b oʊ s / ⓘ shuub-HAHSS CHUN-drə BOHSS; [12] 23 January 1897 - 18 August 1945) was an Indian nationalist whose defiance of British authority in India made him a hero among many Indians, but his wartime alliances with Nazi Germany and Imperial Japan left a legacy vexed by authoritarianism, anti-Semitism, and military failure.

  20. The Indian Struggle 1920-1942 : Subhas Chandra Bose

    PDF download. download 1 file . SINGLE PAGE ORIGINAL JP2 TAR download. download 1 file . SINGLE PAGE PROCESSED JP2 ZIP download. download 1 file . TORRENT download. download 25 Files download 11 Original. SHOW ALL. IN COLLECTIONS Hind Swaraj JaiGyan: Bharat Ek Khoj ...

  21. নেতাজী বাংলা বই পিডিএফ ডাউনলোড| Netaji Bengali Book PDF Download

    Price:Rs.0 | Pages:122 | Size:4 MB | Author:Shailesh Bishi - শৈলেশ বিশী | নেতাজী বাংলা বই পিডিএফ পড়ুন ডাউনলোড বিনামূল্যে অনলাইন Netaji in Bengali Free PDF Read And Download.

  22. Best Bangla Historical PDF Collection

    Agnigarbha Kashmir By Alokranjan Paul. Agniputra By Sunil Gangopadhyay. Agniswakhar By Rahul Sankrityayan. Akbar by Laurence Binyon By BDeBooks. Alatchakra By Taradas Bandyopadhyay. Allan and the Holy Flower Bangla Onubad Book By Henry Rider Haggard. Allan Quatermain Bangla Translated Book By Henry Rider Haggard.

  23. Best Bangla Biography PDF Collection

    Download free books from of Biography Genre. Biography - PDF Bangla Books. We have large collection of Bengali Biography. Download free books from of Biography Genre. Biography - PDF Bangla Books. Books. Genres. ... Jaytu Netaji. 0. 2. 17-04-2023. Je Alo Choriye Gelo Shobkhane By Avijit Roy. Je Alo Choriye Gelo Shobkhane. 0. 1.